গল্প: নীলাভ প্রেম। || Story: Blue Love. 💙 ( Part-4)
সোনমের চোখ পরলো ছাদে তার বসার জায়গায় লাল রঙের ইট দিয়ে কিছু লিখে রেখেছে। সে অবাক চোখে তাকিয়ে থাকে, কি এসব?
সেখানে লিখা -
সোনম আমি নিজেকে আর সত্যিই সামলাতে না পেরে তোমায় কথাগুলো লিখছি, আমি তোমাকে না দেখে ভালোবেসেছি। তোমার সবকিছু আমার ভীষণ ভালো লাগে। তুমি কি আমার গ্রহন করবে?
সাথে ফুল দিয়ে চাপা দেয়া ছোট্ট চিঠি তোমায় ভালোবাসি সোনম।
তবে লিখাটা রক্তে লিখা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।
সোনমের ভীষণ রাগ হচ্ছে কি হচ্ছে এসব তার সাথে। এই মেয়েটা কি সত্যিই পাগল নাকি? তাকে জানেনা শুনেনা তাহলে কিভাবে পাগলের মতো ভালোবাসতে পারে। তবে ভেতরে ভেতরে একদিক থেকে তার ভীষণ ভালো অনুভূতি হতে থাকে এটা ভেবে কেউ তাকে এভাবে পাগলের মতো ভালোবাসে। তবে রাগ হচ্ছে মেয়েটা রক্ত দিয়ে এসব লিখতে গেছে, এটা পাগলামি। তাকে দ্রুত একটা ঝাড়ি দিতে হবে। কিন্তু তার আগে জায়গাটা থেকে দ্রুত সবকিছু মুছে ফেলতে হবে। তাড়াতাড়ি বেশ কিছুটা মুছে ফেলতে পেরেছে সে।
যাইহোক এবার মেয়েটাকে ধরতে হবে, আসলে ব্যাপারটা কি। সোনম ধীরে ধীরে ছাদের অন্যপাশে ছুটে যায়, অপ্সরার ঠিক সামনাসামনি সোনম। অপ্সরার হাত পা মনে হয় যেন কাঁপছে, ফর্সা সুন্দর চেহারায় হঠাৎ যেন একরাশ মেঘ জমেছে। সোনম অনেকটা রাগে ফুঁসছে যেন।
সোনমের প্রশ্ন, এই মেয়ে নাম কি তোমার? খুব ক্ষীন সুরে আওয়াজ আসলো অপ্সরা।
আবারো সোনম, আচ্ছা তুমি আমাকে কতটুকু চেনো? হুট করে প্রেম পত্র লিখে ফেললে। আর কিসের চিঠি এটা? কি দিয়ে লিখেছো, রক্ত? তোমার রক্ত কি এতটাই সস্তা হয়ে গেছে? ঝাড়ি মেরে বললো সোনম। সোনম স্পষ্ট দেখতে পেলো হাতের আঙ্গুলে ব্যান্ডেজ করা। মেয়েটার চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে। এবার সোনম ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়। মেয়েটা চোখ মুছতে মুছতে দৌড়ে চলে যায়।
তার এই চোখ মুছতে মুছতে দৌড়ে চলে যাওয়া সোনমের ভীষণ খারাপ লাগে, তবে মেয়েটা অনেক বেশি বাড়াবাড়ি করে ফেলেছে। সোনম কি ওভার রিয়েক্ট করে ফেলেছে? আপন মনে ভাবতে থাকে, ওকে হয়তো বুঝিয়ে বলতে পারতো সে। যাইহোক সে ধীরে ধীরে তার বসার জায়গায় চলে আসে এবং মনমরা হয়ে বসে থাকে।
এরপর ভাবলো নিচে যেয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেবে, তাই করলো। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হলে সোনম তার মন কোন কিছুতেই বসাতে পারছেনা, শুধু বারবার মেয়েটার অশ্রুজল চোখে ভাসতে থাকে। বন্ধুরা জিঙ্গেস করে দোস্ত কি হয়েছে আজ তোর? সোনম জানায় শরীর তেমন ভালো লাগছেনা, বাসায় চলে যাবো।
এদিকে বাসায় ফিরেও মনমরা হয়ে বসে থাকে। মা ডেকে বললো সোনম খেতে আয়, কোন উত্তর দেয়না। মা কাছে এসে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়, কি হয়েছে বাবা? খেতে আয়।। মা আসছি তুমি যাও, সোনম মাথা নেড়ে বলে। খাবার টেবিলে বসে, সে একদম খাবার খেতে পারলো না। দুপুরে কিছুটা সময় শুয়ে থেকে বিকেলে আবারো ছাদে দৌড়ে যায়, না মেয়েটাকে সরি বলতে হবে। কিন্তু আজ সে কোথাও নেই, তন্ন তন্ন করে পুরো ছাদ ঘুরতে থাকে সোনম কিন্তু মেয়েটা কোথাও নেই।।।।।।।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
https://x.com/emranhasan1989/status/1884964018521268677?t=4oGY49UQMxAgNd2sIr6ZvA&s=19
কিছু কিছু গল্প রয়েছে পড়তে অনেক ভালো লাগে। ভালোলাগা খুঁজে পাওয়া যায় সেই গল্পের মাঝে। ঠিক তেমনি আপনার আজকের গল্পটা ছিল। এমন প্রেম কাহিনী গুলো রোমান্টিকতার জন্য যেন আরো মাধুর্য ফিরিয়ে আনে। যায়হোক অনেকটা ভালো লেগেছে আপনার এই গল্প।
ভালোবাসা সত্যি অদ্ভুত কখন কিভাবে হয়ে যায় বলা মুশকিল। তবে সত্যি কারের ভালোবাসার মধ্যে চমৎকার অনুভূতি কাজ করে। চমৎকার একটি গল্প পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। দেখা যাক নতুন পর্বে কি হয়। প্রতিনিয়ত চমৎকার সব পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ তোমাকে গল্পটা পড়ার জন্য।
আশাকরি পরবর্তী পর্ব আরো বেশি ভালো লাগবে।
সোনমের মনে মেয়েটার জন্য একটা সহানুভূতি একটা ভালোবাসার সৃষ্টি হয়েছে। এইজন্যই তার কোন কিছুতেই মন বসছে না কোন কিছুই তার ভালো লাগছে না। দারুণ জায়গাই গিয়ে আজকে শেষ করেছেন ভাই। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।।
ধন্যবাদ ইমন, আশাকরি পরের পর্বটা ভালো লাগবে।