গল্প: নীলাভ প্রেম। || Story: Blue Love. 💙 ( Part-1)
সোনম খুব লাজুক প্রকৃতির ছেলে। হুট করে কেউ তাকে খুব বেশি চালাক চতুর বলতে পারবেনা, তবে তার সাথে কিছু সময় অতিবাহিত করার পর সে কি জিনিস ধীরে ধীরে বুঝতে পারবে। আসলে সোনম নিজেকে একটু একটু করে বহু গুণে গুণান্বিত করেছে। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হলেও তার স্বপ্ন বহুদূর এগিয়ে যাওয়া, ঠিক এই কারনেই সে বহু কিছু রপ্ত করতে চায়।
দেখতে আহামরি সুন্দর না হলেও বহু মেয়ের কাছে সে ভীষণ ভালো একটা ছেলে। তার প্রতি আকর্ষণের আরো একটা কারন হলো তার চমৎকার বাচনভঙ্গি, মানে কোন মেয়ে যদি কিছু সময় তার সাথে কথা বলে পটে যাওয়া খুব স্বাভাবিক ব্যাপার।
এইতো সেদিনের কথা হঠাৎ করেই বন্ধু অসিম এসে বললো সে একটা মেয়েকে ভীষণ পছন্দ করে। কিন্তু মেয়েটা তাকে কিছুতেই পাত্তা দিচ্ছে না, উপায় না পেয়ে সে সোনমের সরণাপন্ন হয়। সোনম অনেকক্ষণ চিন্তা করে বলে তাহলে তোর জন্য আমি কি করতে পারি। অসিম জবাব দেয় তুই মেয়েটার সাথে কথা বল এবং আমাকে ভালোবাসার জন্য রাজি করা। কি আর করা সোনম মেনে নেয় বন্ধুত্বের খাতিরে। মেয়েটার ফোন নাম্বার নিয়ে বন্ধুর হয়ে কনভিন্স করতে চায় মেয়েটাকে কিন্তু ঘটনা ঘটে যায় একদমই উল্টো, মেয়েটা তিনদিন সোনমের সাথে কথা বলে ঠিক চতুর্থ দিন উল্টো সোনমকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বসে। সোনম এতে বেশ রেগে যায়, কিন্তু বেচারির কি দোষ সোনমের বাচনভঙ্গি আর মিষ্টি কথার প্রেমে পরে যায় মেয়েটা। রাগ করে সোনম আর সেই মেয়েটাকে আর ফোন দেয় না, এদিকে অসিমকে ব্যাপারটা জানালে সে উল্টো তাকেই ভুল বুঝতে থাকে। যাইহোক এভাবেই চলে সোনমের জীবন, সে আর কখনোই কোন মেয়ের সাথে কথা বলতে রাজি না। কারন এসব প্রেম ভালোবাসা তার জন্য না, তাকে এগিয়ে যেতে হবে বহুদূর।
দিনগুলো খেলাধুলা আর আনন্দেই কাটছিলো ভালোই, হঠাৎ সে ইন্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়ে যায়। মহা আনন্দে সে কলেজে পড়তে চলে যায় আর কলেজ হোস্টেলে নিজের নতুন ঠিকানা স্থাপন করে। এদিকে তার এলাকায় ঘটতে থাকে অন্য ঘটনা। এক মিষ্টি মেয়ে হঠাৎ বেড়াতে আসে তার বোনের বাসায়। চুপচাপ একটা মেয়ে তবে ভীষণ গুণবতী, তবে রাগ পুষে রাখতে পারে ভীষণ। নাম তার অপ্সরা, যেমন নাম দেখতেও ঠিক তেমন। জন্মের সময় তার বাবা রেখেছিলেন, তার সুন্দর চেহারা দেখে।
অপ্সরা এলাকার হাতে গোনা কিছু মেয়ের সাথে মেশার চেষ্টা করে। তাদের মধ্যে একজনের কাছে সোনমের ব্যাপারে সবকিছু জেনে, সে রিতিমত তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দেয়। এরপর আরো কিছু মানুষ যখন তার ব্যাপারে বলে তখন সে আরো দূর্বল হতে থাকে তার দিকে। কিন্তু অপ্সরা নিজেও অবাক কিভাবে একটা মানুষকে না দেখে শুধুমাত্র তার কথা শুনে তাকে এভাবে হঠাৎ করেই ভালোবেসে ফেলা যায়? অপ্সরার রাতের ঘুম ধীরে ধীরে কমতে থাকে, আর এদিকে সোনম দিব্যি কলেজ আর হোস্টেল লাইফ উপভোগ করতে থাকে। তার চিন্তা চেতনার বাইরে একজন মানুষ তার জন্য স্বপ্নের ভালোবাসার বীজ বপন করে ফেলেছে। 💙
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
https://x.com/emranhasan1989/status/1877424327517241560?t=-TZAh0-F92M0-Cj_dSOTuA&s=19
বন্ধুর গার্লফ্রেন্ড কে মানাতে গিয়ে সে সোনম এর প্রেমেই পড়ে যায় ব্যাপার টা বেশ তো। তবে সোনম ঠিক কাজই করেছে মেয়েটাকে পাওা দেয়নি। অথচ তার বন্ধু তাকে ঠিকই ভুল বুঝেছে। অন্যদিকে গল্পে মনে হয় নায়িকার আর্বিভাব ঘটে গেল। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম ভাই।
ধন্যবাদ ইমন। সামনের পর্বটি পড়ার অগ্রিম আমন্ত্রণ রইলো, হয়তো ভালো লাগবে তোমার।❤️
বেশ কিছু কারনে আজকে মনটা খারাপ। তবে আপনার লেখা নীলাভ প্রেম গল্পটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। এধরনের ঘটনা গুলো মাঝে মধ্যে হয়ে থাকে। বন্ধুর কথা মতো মেয়ের সাথে কথা বলতে গিয়ে উল্টো প্রেমের প্রস্তাব পেয়ে যায়। তবে তার বন্ধু কে না বলে ঠিক করেছে। অপ্সরা নামটি সত্যি ভীষণ সুন্দর। চমৎকার একটি গল্প তুলে ধরেছেন আপনার নতুন পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল ❣️