গল্প: নরখাদক আলভিন (পর্ব -০২) || Story: Alvin the Cannibal (Episode-02)
(পর্ব -০২) |
---|
আলভিন পিতা মাতার মৃত্যুতে ভীষণভাবে ভেঙ্গে পরেছে। এদিকে জুলিয়াকে শেরিফ জনারধন আলভিনের মানসিক সমস্ত সমস্যাগুলো বুঝিয়ে বলেছেন। আলভিন এখন একদমই একা তাই তার দেখভালের জন্য জুলিয়ার সাথে বিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে শেরিফের আত্মবিশ্বাস রয়েছে তার বুদ্ধিমতি মেয়ে আলভিনকে হয়তো কিছুটা সুস্থ করে তুলতে পারবে। জুলিয়া সবসময়ই তার পিতার মতামতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসছে এবং সে জানে এতে হয়তো তার মঙ্গল হবে।
জুলিয়া প্রথমেই পুরো বাড়ি গুছিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছে কারন অগোছালো পরিবেশে কখনো সুস্থভাবে বেঁচে থাকা যায় না। এবার সে আলভিনের মানসিক অবস্থা বোঝার চেষ্টা করছে। আলভিন সত্যিই বোঝে না বিয়ে কি এবং কেনইবা এই মেয়েটি তার বাড়িতে রয়েছে। তবে যেহেতু শেরিফ আংকেল বলেছেন এটা তার মেয়ে এবং সে এখন থেকেই আলভিনের দেখাশোনা করবে তাহলে হয়তো তার ভালোর জন্য রাখা হয়েছে। আলভিন আর কিছু ভাবতে পারে না কারন তার বাবা-মা মারা গেছে সে বড্ড একা হয়ে পরেছে, তবে এই একাকীত্ব তার ভালো লাগে।
জুলিয়া ধীরে ধীরে আলভিনের কাছে আসার চেষ্টা করে চলেছে। ছোট ছোট টুকটাক কথা বলার মাধ্যমে সে আলভিনকে বুঝতে চাইছে, তবে সে কেন যেন একা থাকতে ভীষণ পছন্দ করে। জুলিয়া খেয়াল করেছে আলভিনের ঘরটা কেমন অন্ধকারাচ্ছন্ন তবে কোথাও সূর্যের কিরণ কিংবা আলোকরশ্মি দেখলে সে অস্থির হয়ে পরে। কেমন যেন আলোকরশ্মি ছুঁতে চায় কিন্তু ভয় পায়। জুলিয়া আলভিনের হাতটা ধরে আলোক রশ্মি কাছে নিয়ে যায় এবং স্পর্শ অনুভব করায়। এবার আলভিনের মুখে কেমন একটা অভিব্যাক্তি দেখা যায়, না এটাকে হাসি বলা যাবেনা। তখন জুলিয়া ধীরে ধীরে তাকে বাইরের আলোতে নিয়ে যায়, প্রথমেই সে বিরক্তি প্রকাশ করলেও ধীরে ধীরে তার ভালো লাগতে শুরু করে।
এভাবেই আলভিন কিছুটা স্বাভাবিক হতে থাকে এবং জুলিয়াকে বেশ কাছের মানুষ ভাবতে শুরু করে। কয়েকদিনের মধ্যেই জুলিয়া আলভিনকে অনেকটাই বুঝতে পেরেছে। জুলিয়া সত্যিই আশা করছে সে আলভিনকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে পারবে। কিন্তু বিধাতার খেলা হয়তো ভিন্ন ছিল।
হঠাৎ একদিন রাতে ডাকাত দল ওদের বাড়িতে হানা দেয়। তাদের বাড়িতে অস্ত্র থাকলেও আলভিনের এর সম্পর্কে তেমন ধারণা নেই। ওরা প্রথমেই আলভিনকে বেঁধে ফেলে এবং জুলিয়ার উপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। আলভিনের ভেতর কেমন পশুত্ব জেগে ওঠে এবং বাঁধন ছিঁড়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ডাকাতদের উপর। প্রথমেই একজনের ঘাড়ে কামড় বসিয়ে দিয়ে সাথে সাথেই রক্তাক্ত করে ফেলেছে। আর লোকটা মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। অপর ডাকাত একটি গুলি ছুড়ে দেয় আলভিনের দিকে নিমেষেই হাতে বিঁধে যায় এবং রক্ত বইতে থাকে।
আলভিন আরো রেগে গিয়ে সমানে কামড়াতে থাকে, এ যেন রক্তের নেশায় পেয়ে গেছে তাকে। একে একে চারজনকে মাটিতে শুইয়ে দিয়েছে। এবার ছুটে যায় জুলিয়ার দিকে, কিন্তু ততক্ষণে তার প্রান নিয়েছে ওরা। আলভিন চিৎকার করতে থাকে বুক ফাটিয়ে। সে পুরোপুরি মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছে। এবার জুলিয়ার থেকে দূরে গিয়ে পরে থাকা লাশগুলো কামড়ে খেতে থাকে। এ যেন রক্তের নেশায় পেয়েছে, না সে এখন আর মানুষ নেই। আলভিন যেন এক নরপিশাচে রুপ নিয়েছে।
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1644599216831107074?t=acrOSIxkzF0qIGwwZDgzuQ&s=19
আহ ভাগ্য কত নির্মম।
যাকে ঘিরে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছিল সেই তাকে আবার আগের মত করে রেখে চলে গেলো । আর একেই বোধয় ভাগ্য বলে। যাইহোক প্রথম পর্বটি পড়েছিলাম বেশ ভালো লেগেছিল। দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে বেশ আগ্রহ ছিল। এবং পরবর্তী পর্বের জন্যও অপেক্ষায় রইলাম।
আসলে ভাগ্য মানুষকে কোন দিকে নিয়ে যায় বোঝার উপায় নেই। তবে সামনের পর্বগুলো হয়তো আপনার আরো ভালো লাগবে।
অনেক ধন্যবাদ ভাই।
ভাবলাম জুলিয়া হয়তো আলভিনকে ধীরে ধীরে সুস্থ করতে পারবে। কারণ আলভিনের আগে অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ ভালো লাগতো। কিন্তু ধীরে ধীরে সে আলোতে আসতে ভালোলাগা অনুভব করে তবে ডাকাত দলের হঠাৎ আক্রমণ তাদের এই ঘটনাটাকে উল্টে দিল। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদ ভাই আমার গল্পটি পড়ার জন্য।
আলভিনের ভাগ্য মনে হয় সত্যিই খারাপ।
আশাকরি সামনের পর্বগুলো পড়বেন।