অহংকার পতনের মূল।|| Pride is the root of downfall.
মানুষ বড় আজব জিনিস। এই দেখবেন ভালো আবার হুট করেই ভাব ভঙ্গিমা বদলে যায়। আবার কিছু কিছু মানুষের বদলে যাওয়াটা একবারেই মেনে নেয়া যায় না। যাইহোক আমি আজকে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চাইছি তা হলো অহংকার পতনের মূল।
বাস্তব জীবনে প্রতিনিয়ত আমাদের মানুষজনের সাথে মিলেমিশে চলতে হয়। এই চলার পথে কিছু মানুষ আমাদের বন্ধুর মতো হয়ে যায় এবং তাদের নিয়ে খুব স্বাচ্ছন্দ্যে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। আবার কিছু কিছু মানুষ এমন থাকে যারা স্বার্থপরতার পরিচয় দেয় এমনকি অহংকারী মনোভাব পোষণ করে। ধরুন একটি প্রতিষ্ঠানে আপনি কাজ করেন, হুট করে দেখবেন একজন মানুষ খুব ভাব নিয়ে চলাফেরা করছে। আপনাকে বিভিন্নভাবে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করছে এবং প্রতিনিয়ত হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে। এধরনের মানুষগুলোকে অহংকারী বলা যায়। ভালো করে খোঁজ খবর নিয়ে দেখা যাবে এরা যতটুকু ভাব নেয় বাস্তবে এদের তেমন কিছুই নেই।
আবার কিছু মানুষ আছে হুট করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যায়। এদের অহংকারে মাটিতে পা পরতেই চায় না, অন্য মানুষদের মনে করে বানের জলে ভেসে এসেছে। যাইহোক এধরনের আঙ্গুল ফুলে যারা কলাগাছ হয়ে যায় এদের যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত, কারন এরা তখন আর সাধারণ অবস্থায় থাকে না। এদের থেকে ক্ষতি হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
অহংকারী মানুষ সাময়িক সুখি বোধ করলেও এরা এক সময় না একসময় ধ্বংসের দিকে চলে যায়। অহংকার এমন পর্যায়ে চলে যায় যে সুখের সাগরে ভাসতে থাকে। তবে এদের ডুবে যেতেও সময় লাগে না, কারন এরা দিনদিনই ভারসাম্যহীন হয়ে পরে। আর মানুষের অভিশাপ এবং বদ দোয়া এদের এমনভাবে লেগে যায়, পরিনতি হয় ভীষণ খারাপ।
তাই যতটা সম্ভব এই সমস্ত অহংকারী মানুষ থেকে দূরে থাকতে হবে এবং এদের জন্য দোয়া করতে হবে সৃষ্টিকর্তা যেন এদের হেদায়েত দান করেন।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
https://x.com/emranhasan1989/status/1882110939589386677?t=xNJCNHu0blbWDygyBMtntQ&s=19
অহংকার ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। অহংকারী মানুষ কখনো মানুষের মঙ্গল কামনা করে না। বর্তমান সমাজের দিকে লক্ষ্য করলে, আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ এবং রাতারাতি বড়লোক হওয়ার স্বপ্ন দেখে। এ সকল মানুষদের থেকে দূরে থাকাই ভালো। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে বাস্তবমুখী পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য।
অহংকারী মানুষ কখনো সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে না। আপনি যখন অহংকার করবেন তখন আপনার মতন অবশ্যই নিশ্চিত হবে। তাইতো জীবনে বাঁচতে গেলে সর্বপ্রথম সরলভাবে চলতে হবে এবং মানুষকে ভালবাসতে হবে।
যেখানে অহংকার রয়েছে সেখানেই ক্ষতি রয়েছে। অহংকার মানুষকে কখনো উন্নতির দিকে নিয়ে যায় না। অহংকার মানুষের ক্ষতি বয়ে আনে। তাই সব সময় চেষ্টা করতে হবে অহংকারকে এড়িয়ে চলার।
অহংকার পতনের মূল কথাটি চিরন্তন সত্য কথা। বর্তমান সমাজে এধরনের লোকজন বেশি দেখা যায়। ঠিক বলেছেন এধরনের লোকজন থেকে দূরে থাকতে হবে। ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে ধন্যবাদ আপনাকে।
অহংকারী লোকজন থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকতে হবে। এরা বিষাক্ত ধরনের লোক।
অহংকারীদের দেখলে মাঝে মাঝে আমার বেশ খারাপ লাগে। মনে হয় নিজের এই তুচ্ছ জীবন নিয়ে একজন মানুষের এতো অহংকার। আর হঠাৎ আঙুল ফুলে কলাগাছ এদের কথা আর বললাম না ভাই। অহংকারীদের সৃষ্টিকর্তা নিজেও পছন্দ করেন না।
সৃষ্টিকর্তার ইশারায় সব হয়। যারা অহংকারের বিষ ছড়িয়ে দেয় তাদের শেষ পরিণতি করুন হয়।