বাচ্চাদের জন্য উপহার। || Gift for my Kids 🎁
আলহামদুলিল্লাহ গত বার্ষিকী পরীক্ষায় ইলমা বেশ ভালো রেজাল্ট করেছে। সেই সুবাদে আমার কাছে সে একটা গিফট পাওনা ছিল। পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন কারনে তাকে তেমন বিশেষ কিছু উপহার দিতে পারিনি। তবে আমার কিন্তু ব্যাপারটা মাথায় ছিলো কিন্তু তাকে কি উপহার দেবো সেটা বুঝতে পারছিলাম না। যাইহোক গতকাল সে বলেছিলো স্কুল এবং প্রাইভেটের সময়গুলো দেখতে তার বেশ ঝামেলা হচ্ছে। তখনই মাথায় এলো তাকে একটা সুন্দর হাতঘড়ি উপহার দিলে ব্যাপারটা মন্দ হয়না। যেই চিন্তা সেই কাজ, বিকেলের দিকে একটু সময় পেয়ে চলে গেলাম ঘড়ি কিনতে।
ঘড়ি কিনতে গিয়ে কোন ঘড়িটা কিনবো কিছুতেই মাথায় আসছিলো না। যেহেতু আমি মধ্যবিত্ত মানুষ তাই সাধ এবং সাধ্যের মধ্যে সবকিছু করতে হবে। আসলে ইদানিং জিনিসপত্রের দাম ভীষণ বেড়েছে, এতে আমাদের প্রতিনিয়তই হিমসিম খেতে হচ্ছে। প্রথমেই চার পাঁচটা দোকান ঘুরলাম, যেটা পছন্দ হয় সেটার দাম বেশি। আবার যেটার দাম একটু কম সেটা পছন্দ হয়না। তবে আমিও ছেড়ে দেয়ার পাত্র না, খুঁজতেই থাকলাম।
বেশ কিছু ঘড়ি দেখার পর কয়েকটি ঘড়ি প্রাথমিক নির্বাচন করলাম। এরপর মাথায় আরো একটা চিন্তা এলো যদি একটা ঘড়ি নিয়ে যাই তাহলে সেটা আস্তো থাকার সম্ভাবনা কম কারন ইয়ান তখন এটা নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলবে, তার মানে আমাকে দুটো ঘড়ি নির্বাচন করতে হবে।
যাক অনেক হয়েছে, এখন দুটো ঘড়ি ফাইনাল সিলেকশন করলাম। এবার দাম দর করতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ। দোকানদার যখন বুঝতে পারলো এই দুটো ঘড়ি পছন্দ হয়েছে আমার, সেটা আমার প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি। যেহেতু আমার পছন্দ হয়েছে তাই একটু ছাড় দিতেই হবে আমাকে। তারপরও দামাদামি করে ঘড়ি দুটো কিনেই ফেললাম। তখন বারে বারে তাদের হাসিমাখা মুখগুলো ভেসে আসছিলো। তাড়াতাড়ি একটা রিকশা নিয়ে বাসার দিকে রওনা দিলাম।
বাসায় আসা মাত্র যেইনা বললাম দুজনের জন্য ঘড়ি এনেছি, খুশিতে দু'জনেই আত্মহারা। সত্যিই ভেতর থেকে একটা ভীষণ আনন্দ আর তৃপ্তি অনুভব করলাম। আমার সারাদিনের ক্লান্তি দূর হয়ে গেছে ওদের হাসিমাখা মুখ দেখে।
ওদের স্টাইলিশ ভাব ভঙ্গিমা দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন ওরা কতটা খুশি। যাইহোক দোয়া করবেন আমার বাচ্চাদের জন্য।
যখনই সুযোগ পাবেন বাচ্চাদের উপহার দেবেন। হোক সেটা কম দামের জিনিস, কিন্তু তারা সেটা পেলে যতটা আনন্দ পাবে, তা দেখে আপনি তার থেকে বেশি আনন্দিত হবেন। সৃষ্টিকর্তা সবাইকে ভালো রাখুন এই কামনা করছি।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
https://x.com/emranhasan1989/status/1884298991262916754?t=W9wwpo2utexXN_bfdelIVg&s=19
বাচ্চাদের জন্য উপহার কিনে দিতে সত্যিই বড়দের খুব ভালো লাগে। আসলে উপহার দেওয়ার পরে তাদের যে হাসিমুখটা দেখা যায় সেটাই যেন অনেক বড় প্রাপ্তি হয়ে থাকে। আপনি খুব সুন্দর দুটি ঘড়ি দুজনকে কিনে দিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। দেরিতে হলেও শুভ জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা জানালাম।।
সন্তানের ভালো রেজাল্ট উপলক্ষে এরকম উপহার দিলে তাদের লেখাপড়ার প্রতি আরো বেশি উৎসাহ বেড়ে যায়। খুবই ভালো লাগলো ভাই আপনার সন্তানের ঘড়ি উপহার দেওয়ার কথাটি জানতে পেরে। একই সাথে আপনার সন্তানের হাতে ঘড়িটি দেখতেও অনেক বেশি সুন্দর লাগছে। আর সন্তানের হাসি মুখ দেখলে বাবার সারাদিনের ক্লান্তি দূর হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইলো আপনার সন্তানের জন্য এবং আপনার পরিবারের জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাই।
সন্তানের হাসিমুখ দেখলে এমনিতেই সারাদিনের ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।
প্রথমেই ইলমাকে অভিনন্দন জানাই বার্ষিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার জন্য। সেই উপলক্ষে আসলেই সে একটা গিফট পাওনা। দুই ভাই বোনকে খুব সুন্দর ঘড়ি কিনে দিয়েছেন আপনি। দুইজন তো দেখছি ঘড়ি পেয়ে খুব সুন্দর পোজ দিয়েছে ছবিতে। ছোট সাহেবের পোজ দারুন ছিলো। সুন্দর এই মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
ঘড়ি পেয়ে সত্যিই ওরা ভীষণ খুশি ছিল।
দোয়া করবেন ওদের জন্য।
বাচ্চারা কখনো বড় কিছু আশা করে না। তারা অতি সামান্য জিনিস পেলে বেশি আনন্দ প্রকাশ করে। আর সেই আনন্দটা হয়ে ওঠে বেশ মধুর। যাহোক ভালো লাগলো বাবুদের আনন্দঘন মুহূর্ত দেখে। তারা গিফট পেয়ে অনেক আনন্দিত। বাবুদের আনন্দ মাখা মুখ যেন সবসময় আপনাদের চোখের সামনে থাকে সেই দোয়া রইল।
বাচ্চাদের ভঙ্গি দেখে বুঝতে পারছি খুবই খুশি।ভালো রেজাল্টের জন্য উপহার টা বেশ দরকার হ'য়ে ভাইয়া।দুটো ঘরি কিনে খুব ভালো করেছেন নইলে দিদির ঘরি ভাইয়ের দখলে চলে যেতো।আসলে আমরা মধ্যবিত্ত তাই সব কিছু হিসাবনিকাশ করে কিনতে হয় তবে অনেক ক্ষেত্রে কিছু পছন্দ হয়ে গেলে ছার দিতেই হয় নিজেকে।বেশ উপভোগ করলাম পোস্ট টি।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
হ্যা দুটো ঘড়ি না কিনলে ঝামেলা হতো। দুজনেই বেশ খুশি।