সামর্থ্য থাকলে ব্যাবসা করুন। || Do business if you can afford it.
সামর্থ্য থাকলে ব্যাবসা করা উচিত। এই কথাটা কেন বললাম এর যুক্তিযুক্ত বেশ কিছু কারন রয়েছে।
দেখুন (চাকরি = চাকর + ই) মানে একজন চাকর। সোজা বাংলায় এর থেকে সহজভাবে হয়তো আর বোঝাতে পারছিনা। যখন আপনি চাকরি করবেন তখন মালিক আপনাকে যেভাবে বলবে ঠিক সেভাবেই কাজ করতে হবে, অন্যথায় লাঞ্ছনা কিংবা চাকরি হারানোর ভয় থাকে। একজন প্রতিষ্ঠানের মালিক আপনাকে আপনার ইচ্ছার বিরুদ্ধে যেকোন কাজ জোর করে করাতে বাধ্য করতে পারে। এমনকি আপনি আপনার ন্যায্য মূল্য এবং অধিকার টুকু নাও পেতে পারেন।
এমন অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে মাসের পর মাস বেতন দেয়না এবং শ্রমিকের উপর অন্যায় অত্যাচার করে। তবুও শ্রমিক পেটের দায়ে মুখ থুবড়ে পরে থাকে। বাংলাদেশে শ্রমিক আছে আবার শ্রমিক আইনও রয়েছে শুধুমাত্র তার প্রতিফলন নেই। কেউ দেখার নেই সেই সমস্ত মানুষগুলোকে যারা অন্যের বাড়ি গাড়ি আর ব্যাংক ব্যালেন্স বাড়াতে দিনের পর দিন খেটে মরে। কোন শ্রমিক জানেনা তার কোম্পানির মালিকের লাভ কত টাকা হয়েছে, শুধু শুনতে পায় বিশাল বড় ক্ষতির মুখে রয়েছে মালিক। এখানে আমার প্রশ্নটা হলো মালিক যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে একটা কোম্পানি থেকে কিভাবে দশটা কোম্পানি হলো?
আমি জানি এই প্রশ্নের উত্তর কেউ দেবে না। আমার কোম্পানীর মালিক আজ আমাদের সাথে মিটিং করেছেন ভার্চুয়ালি তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন এবারে এক পয়সাও ইনক্রিমেন্ট হবে না। অথচ তিনি আমাদের প্রতিষ্ঠানের উপার্জন দিয়ে আরো ছয় থেকে সাতটা কোম্পানি তৈরি করেছেন। আজ তিনি বিশাল বিশাল লসের গল্প সাজিয়ে আমাদের সামনে উপস্থাপন করলেন এবং স্পষ্ট করে বোঝালেন যদি ভালো লাগে থাকো, না হয় বিদায় নাও।
না আমি এটা বলবো না শুধুমাত্র আমাদের কোম্পানি এমন তা নয়, হাতে গোনা কয়েকটা কোম্পানি ছাড়া সবাই এমন। এরা লাভের অংশ দিয়ে নিজেরা বিত্তবান হতেই থাকে আর শ্রমিক গরিব থেকে আরো বেশি গরিব হতে থাকে। এরা ক্ষতির গল্প সাজিয়ে শ্রমিককে বোকা বানাতে বেশি পছন্দ করে।
যাইহোক যদি কিছুটা সামর্থ্য থাকে তাহলে ব্যাবসা করুন, অন্তত নিজের লাভ এবং লসের খবর জানতে পারবেন। দেখুন কে কি বললো সেটা বড় বিষয় নয়, আপনি সৎ পথে উপার্জন করছেন এটাই সবচেয়ে বড় বিষয়। একজন অশিক্ষিত মূর্খ মুড়ি ওয়ালা দিন শেষে হাজার থেকে পনেরশ টাকা ইনকাম করে আর একটা শিক্ষিত ছেলে তিন থেকে চারশ টাকা রোজগার করে। তাহলে এখানে কে এগিয়ে থাকলো? নিশ্চয়ই মুড়ি ওয়ালা। তাই আসুন সামর্থ থাকলে উদ্যোক্তা হবার জন্য চেষ্টা করি ইনশাআল্লাহ উপর ওয়ালা বরকত দান করবেন।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
সব প্রতিষ্ঠানের মালিকরা শুধু বলে তাদের প্রতি মাসে লজ। আমাদের তো বোঝার ক্ষমতা রয়েছে লাভ হচ্ছে না লজ হচ্ছে। একদমই ঠিক বলেছেন দিন শেষে মুড়ি ওলায়ার ইনকাম বেশি। ব্যবসা ছোট হোক বা বড় হোক ব্যবসাই ভালো। ছোট ছোট উদ্যোক্তা এক সময় বড় উদ্যোক্তা হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। আমাদের ব্যবসার দিকে ফোকাস দেওয়া উচিত। চমৎকার একটি পোস্ট করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
কোম্পানি সব সময় নিজের স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তাই আমি মনে করি নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে যে কোন ব্যবসার মধ্য দিয়ে। যারা ব্যবসা করে তারা নিজের স্বাধীন। কিছু কিছু ব্যবসা রয়েছে যেগুলো মানুষকে হালাল পথে থেকে হালাল রুজি উপার্জন করতে সহযোগিতা করে। তাই ব্যবসাটা হালাল পথে থেকে যদি গড়ে তোলা যায় তাহলে সেখানে কোম্পানির চাকরির চেয়ে অনেক ভালো।
ধন্যবাদ ভাই।
যারা ব্যাবসা করে তারা সত্যিই স্বাধীন এবং কিছু কিছু ব্যাবসা বেশ ভালো।
বরাবরই কোম্পানির মালিকরা শ্রমিকদের লসের গল্প শুনায়। আমি তো মনে করি এটার একটাই কারণ যাতে শ্রমিকদের বেতন না বাড়ানো লাগে এবং শ্রমিকদের কোনো বোনাস দিতে না হয়। বরাবরই বিভিন্ন কোম্পানির মালিকরা শ্রমিকদের এভাবে বোকা বানিয়ে যায়। এদিকে আবার বছরের পর বছর নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়। তাই আপনার সাথে আমিও সহমত, সম্ভব হলে আমাদের ব্যবসা করাই উচিত। তবেই নিজের জীবনে কিছুটা হলেও সাফল্য পাওয়া যাবে।
কোম্পানির মালিকেরা সেলারি বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের কৌশল খাটায়। যাইহোক সামর্থ্য থাকলে ব্যাবসা করা উচিত।