আমার ছেলে নবজাতক নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে রয়েছে (NICU) || I am Applying for help from Amar bangla blog Charity || 100% beneficiary for @abb-charity
"সন্তানের কষ্টের চিৎকার
পিতা-মাতার রক্তের
শিরায় শিরায় প্রতিধ্বনিত হয়"
পিতা-মাতার রক্তের
শিরায় শিরায় প্রতিধ্বনিত হয়"
সকলের দোয়ায় গত ১৪/০৭/২০২১ আমি পুত্র সন্তান লাভ করি। সকাল ১১.৩০ মিনিটে তার জন্ম হয়। আমরা প্রথমে ধরে নিয়েছিলাম সে সুস্থ রয়েছে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই আমরা বুঝতে পারলাম তার বুকে কেমন একটা শব্দ হচ্ছে এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। দ্রুত চিকিৎসককে ডাক দেয়ার পর উনি পরিক্ষা করে জানালেন তার নিওমুনিয়া এবং শ্বাসকষ্ট রয়েছে দ্রুত ভালো হাসপাতালে ভর্তি করতে না পারলে তাকে বাঁচানো কোনভাবেই সম্ভব নয়। আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। আমি সময় নষ্ট না করে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স নেয়ার চেষ্টা করলাম কিন্তু দূরভাগ্য মনে হয় এখানেই শুরু, হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স নষ্ট।
আমি দিশেহারা হয়ে পড়লাম। রাস্তায় গাড়ি খুঁজতে থাকলাম হন্যে হয়ে। দেখলাম এটি ব্যাক্তিগত গাড়ি আসছে, আমি এটিকে থামিয়ে সব খুলে বললাম।
চালক কিছুটা শুনেই বললেন আর কিছু বলতে হবেনা ভাই তাড়াতাড়ি বাচ্চা নিয়ে আসুন, আমি আমার মালিককে পড়ে সব বুঝিয়ে বলবো। আমি তাড়াতাড়ি ছেলেকে কোলে নিয়ে গাড়িতে উঠে পড়লাম। এম আর খান শিশু হাসপাতালটি প্রায় ২০ মিনিটের রাস্তা আর এই গাড়িতে তো অক্সিজেন নেই। আমি ড্রাইভারকে বললাম ভাই আমার ছেলেকে বাঁচান, তাড়াতাড়ি চলুন। আমি দেখলাম তার কষ্ট হচ্ছিল। আমার শাশুড়ি আমার সাথে ছিলেন তিনি মুখে মুখ লাগিয়ে অক্সিজেন দেয়ার খুব চেষ্টা করছিলেন। আর আমি শুধুমাত্র আল্লাহকে ডাকছিলাম আর আমার চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ছিল। অবশেষে হাসপাতালে পৌঁছালাম তাকে অক্সিজেন সাপোর্ট দেয়া হলো এবং নবজাতক নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি করা হলো
শুরু হলো জীবন বাঁচানোর যুদ্ধ:-
নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে চিকিৎসা শুরু হলো। তাকে ৮-১২ লিটার গতিতে অক্সিজেন দেয়া হয়েছে।
এর কিছুক্ষণ পরেই আমার হাতে একটি ঔষধ এবং আনুষঙ্গিক জিনিসপত্রর কাগজ আসল।
আমি এগুলো সব সংগ্রহ করে দিলাম তার ঠিক পরপরই পরীক্ষার কাগজ দেয়া হলো।
চিকিৎসকরা জানালেন আমার ছেলের অবস্থা খুব খারাপ তার নিওমুনিয়া, শ্বাসকষ্ট এবং রক্তের ইনফেকশন রয়েছে, তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে এবং আমাকে সান্তনা দিলেন এবং কাগজে স্বাক্ষর নিলেন।
তার ক্রমেই অবস্থার অবনতি হওয়ায় চারদিন পর আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে (ইউনিভার্সাল হাসপাতাল) নিয়ে যেতে বললেন আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য। আমি তাই করলাম। কিন্তু এখানে চিকিৎসা ভালো হলেও আকাশচুম্বি খরচ আমার চারদিনে খরচ চলে আসলো এক লাখ ত্রিশ হাজার টাকা। আমি মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লাম, এভাবে চলতে থাকলে আমি শেষ হয়ে যাবো। কিন্তু একটা জিনিস এখানে চিকিৎসা ভালো এবং সবধরনের যন্ত্রপাতি রয়েছে। আমার ছেলে চারদিনে কিছুটা ভালো হলো তবে শ্বাসকষ্ট আর ব্লাড ইনফেকশন রয়ে গেল। খুব কষ্ট করে ছোট ভাই এবং স্বজনদের সহযোগিতা নিয়ে বিল পরিশোধ করলাম।
এম আর খান শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা খরচ কম হওয়ায় এবং আমার ছেলে কিছুটা ভালো আছে বিধায় আবার ভর্তি করলাম। এখন এম আর খান শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। কিন্তু প্রতিদিন তার ঔষধ এবং বিভিন্ন পরিক্ষা বাবদ ১০ হাজার টাকা নগদ খরচ হচ্ছে আর হাসপাতাল খরচ জমে রয়েছে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০-৩৫ হাজার। আর আমার এখন পর্যন্ত আমার খরচ সব মিলিয়ে দুই লাখের উপর হয়ে গেছে।
এখন ও একটু একটু করে সুস্থ হচ্ছে। তার শ্বাসকষ্ট এবং রক্তের ইনফেকশন কিছুটা কমে এসেছে কিন্তু আরও কিছুদিন এভাবে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। আমার আনুমানিক আরো এক লাখ টাকার অধিক লাগতে পারে।
আমি আসলে আর পেরে উঠছি না। আমি একবার চিন্তা করেছিলাম যে আর চিকিৎসা করাবো না। কিন্তু ছেলেকেতো যেভাবেই হোক বাঁচাতে হবে, তাই একান্ত বাধ্য হয়ে @rme দাদাকে সব জানালাম। তিনি একটি তহবিল গঠন করেছেন, আমি তার এই উদ্যোগকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে সাধুবাদ জানাই এবং @amarbanglablog এর সকল সদস্য সহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
তাই ডোনেশন এক লাখ টাকা দরকার।
এখন স্টিমের দাম অনুপাতে ২৮০০-২৯০০ স্টীম প্রয়োজন।
আমরা সামনের পোষ্ট এর পে আউট থেকে সম্পূর্ণ এসবিডি আপনাকে দেওয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। আর চিন্তা করবেন না সব ঠিক হয়ে যাবে। আল্লাহ তাআলা উপর ভরসা রাখেন৷ তিনি সব ঠিক করে দিবেন।
ইনশাআল্লাহ। দোয়া করবেন।
ইনশাআল্লাহ,আমরা সবাই আপনার পাশে আছি আল্লাহ তালা আপনার ছেলে সন্তানকে সুস্থতা দান করবেন। নিজেকে একটু শক্ত করেন @emranhasan স্যার একেবারেই ভেঙ্গে পড়েন না। আল্লাহয় প্রতি ভরসা রাখেন। আল্লাহ ঠিক একজন বাবা চিৎকার শুনবেন। আপনার ছেলে সন্তানের জন্য শুভকামনা রইলো
ইনশাআল্লাহ আপনাদের সকলের দোয়া আমার বাচ্চার সুস্থতার নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে।
আমরা পাশে আছি ভাই, আপনি টেনশন কইরেন না। ইনশা-আল্লাহ খুব দ্রুত সব ঠিক হয়ে যাবে। ভালো সময় আসবে
ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহর রহমতে সুস্থ হয়ে যাবে।চিন্তা করিয়েননা।
ইনশাআল্লাহ ভাই
দোয়া করি আল্লাহ তায়ালা যেন, আপনার সন্তানকে খুব তারাতারি সুস্থ করে দেন।
দোয়া করবেন ভাই।
অবশ্যই ভাই। আল্লাহ যেন তারাতারি সুস্থ করে দেয়।
আল্লাহর কাছে দোয়া করি, আল্লাহ যেন খুব তারাতারি আপনার সন্তান কে সুস্থ করে দেন।
আমিন।
আল্লাহ আপনার দোয়া কবুল করুন।
আমিন
ভগবান আপনার ছেলেকে সুস্থতা দান করুক এই প্রার্থনাই করি।ধৈর্য্য রাখুন সব ঠিক হয়ে যাবে।
দিদি উপর ওয়ালার উপর বিশ্বাস রাখছি আর ধৈর্য ধারণ করছি।
দুঃখজনক ভাই ।এই সিচুয়েশন গুলো আমার চোখের সামনেও বেশ কয়েকবার ঘটেছে । আমি আপনার মনের অবস্থা বুঝতে পেরেছি । যাইহোক যদি কোন সরকারী মেডিকেল কলেজের পেসেন্ট হতো তাও একটা রেফারেন্সের ব্যবস্থা করা যেত । প্রাইভেট হসপিটাল কিছুই শুনতে চায় না । যাইহোক তবুও আপনার বাচ্চার জন্য আশীর্বাদ রইল ভাই, সব ঠিক হয়ে যাবে। আমার ওয়াইফের ডেলিভারী ডেট পরবর্তী মাসে ।আমি নিজেও ভীষণ দুশ্চিন্তার মাঝে আছি ভাই ।
শুভ ভাই। ঢাকা শিশু হাসপাতালে তিন দিন চেষ্টা করে এন আই সিওতে সিট পাইনি। অনেক অনুরোধ করেছিলাম ভাই।
যাক ভাই ভাই বিশেষ করে ভাবীর দিকে খেয়াল রাখুন যাতে কোন মতেই তার ঠান্ডা না লাগে।
আর ভাবীর যাতে কোন মতেই জ্বর না আসে।
ভাই ভাবী যদি পুরোপুরি সুস্থ থাকে তাহলে বাচ্চা সুস্থ হবার সম্ভাবনা থাকে অনেক বেশি।
শুভ ভাই দোয়া করবেন আমার বাচ্চার জন্য।
ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি খুব তাড়াতাড়ি আপনার সন্তানকে সুস্থ করে আপনার কোলে ফিরিয়ে দিক । ধৈর্য ধরুন ,সৃষ্টিকর্তার ওপর বিশ্বাস রাখুন।
জি অবশ্যই।
ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করছি আর উপর ওয়ালার উপর আস্থা রাখছি।
আশীর্বাদ করবেন।
দোয়া করি। আপনার সন্তান যেন খুব তারাতারি সুস্থ হয়ে উঠে । ভেঙে পরবেন না। সবকিছু খুব দ্রুতই স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
ইনশাআল্লাহ ভাই।
এই ধৈর্য পরীক্ষা একসময় অবসান হবে।
দোয়া করবেন।