আমার স্ত্রীর একটি অপারেশন হয়েছে।
বেশ খারাপ যাচ্ছে দিনগুলো।
কিছুদিন আগে সহকর্মী ব্রেইন স্ট্রোক করেছেন, সেই ধাক্কা সামলাতে হচ্ছে এখনো। কাজের চাপ এতটা বেড়েছে বলে বোঝাতে পারবো না, আর এদিকে স্ত্রীর এই অসুস্থতা নতুন করে আমাকে ভীষণ বিপর্যস্ত করে তুলেছে। গত প্রায় তিন মাস থেকে তার চিকিৎসা চলছে কিন্তু তবুও সে সেড়ে উঠছে না। কি আর করা প্রতিনিয়ত আমি ভীষণ চাপ নিয়ে সবকিছু সামলিয়ে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
যাইহোক গত পরশু ময়মনসিংহে স্বদেশ নামক বড় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে তার প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়েছি এবং ডাক্তার দেখিয়েছি। আর সেখানেই জানানো হয় তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে অপারেশন করাতে হবে। এরপর সেই হাসপাতালে যাবতীয় খরচ সম্পর্কে জানলাম, দেখলাম আকাশচুম্বী এদের খরচ। এরপর বাসায় ফিরে টাকার বন্দোবস্ত করার চেষ্টা করলাম। ইতিমধ্যে গতকাল ভাবলাম আমাদের আশেপাশে কোন হসপিটালে খবর নিয়ে দেখি অন্য কোথাও একটু কম খরচে করানো যায় কিনা।
যাইহোক রাত নয়টার সময় আমরা আমাদের এখনকার সবথেকে ভালো হাসপাতালে তার অপারেশনের সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করি। তাদের হাসপাতালের সমস্ত টাকা পরিশোধ করে দেই খুব দ্রুত। এরপর রাত এগারোটার সময় তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়। আমার স্ত্রী বেশ আতঙ্কে ছিল এবং তার চোখ মুখে বেশ দুশ্চিন্তার আভাস দেখতে পেলাম। তাকে আশ্বস্ত করলাম আমি পাশে রয়েছি, তাছাড়াও তার বড়বোন আমাদের সাথে রয়েছেন।
বেশ কিছুটা সময় পর তাকে অবজারভেশন রুমে আনা হয়। তার তখনো অজ্ঞানের ইনজেকশনের ডোজ কাটেনি এবং সে বেশ অস্বস্তি বোধ করছিল। তার পাশে দাঁড়িয়ে বেশ কিছুটা সময় স্বান্তনা দিলাম এবং ব্যাথা অনুভব করার চেষ্টা করলাম। সত্যিই এটা বেশ কষ্টকর একটা মূহুর্ত ছিল।
এরপর প্রায় দুই ঘণ্টা সেখানে রাখার পর তাকে কেবিনে দেয়া হয়। এরপর সমস্ত রাত কেটে যায়, দুশ্চিন্তা আর উদ্বিগ্নতায়।
সবার দোয়া কামনা করছি।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
ভাবির অসুস্থতার কথা শুনে সত্যি অনেক খারাপ লাগলো ভাইয়া। এই বিপদ সত্যি কাউকে বলে বোঝানোর মত নয়। সবদিক থেকেই দেখছি একদম অবস্থা খারাপ। ভাবির জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো ভাইয়া। আশা করছি দ্রুতই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
আপু বিপদ পিছু ছাড়ছেই না।
দোয়া করবেন এটাই চাওয়া।
ভাবীর সুস্থতা কামনা করছি।জেনে খারাপ লাগলো আপনার সহকর্মী স্ট্রোক করেছেন। প্রিয়জনও কাছের মানুষদের অসুস্থ মেনে নেয়া কষ্টকর হয়।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি শেয়ার করবার জন্য।
ধন্যবাদ আপু।
দোয়া করবেন।
ভাবি খুব অসুস্থ তা অনেক দিন ধরেই জানি। কিন্তু এতটা অসুস্থ হয়ে যাবে সেটা বুঝতে পারিনি। যাইহোক গতকাল আপনার সঙ্গে দেখা করে জানতে পারলাম সমস্ত বিষয় সম্পর্কে। ভাবির দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। সেই সঙ্গে সৃষ্টিকর্তা আপনাকে চাপ সামলানোর তৌফিক দান করুক এই কামনাই করি।