আমার তোলা আলোকচিত্র:) প্রাণীর সান্নিধ্যে। || My exceptional photography.
প্রাণীর সান্নিধ্যে |
---|
শুভ রাত্রি #amarbanglablog পরিবার 🤗 সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন। আমার চোখে যা ভালো লাগে তা সবসময়ই চেষ্টা করি সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে আপনাদের সামনে তুলে ধরার। আমি সবসময়ই চেষ্টা করি ব্যাতিক্রম কিছু জিনিস সংগ্রহ করার। আমি যেখানেই যাই আমার মোবাইলের ক্যামেরা সবসময়ই সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি প্রতিটি জিনিস অনেক নিখুঁত এবং সুন্দর। তিনি তার মতো করে নিখুঁত ডিজাইনের মাধ্যমে প্রতিটি প্রাণী তৈরি করেছেন। যাইহোক আমরা মানুষজন এই প্রাণীগুলো কে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাই এবং নিজেদের মতো করে তাদের উপর নিজের নিয়ন্ত্রন নেয়ার চেষ্টা করি। তবে প্রতিনিয়ত মানুষজন কঠিন হৃদয়ের হয়ে যাচ্ছে এবং এই প্রাণীদের বেশ ক্ষতি করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। মানবসৃষ্ট প্রাণীকূলের অন্যতম ক্ষতি হচ্ছে আবাসস্থল ধ্বংস এবং খাবারের ঘাটতি সৃষ্টি করা। যাইহোক প্রতিনিয়ত এই প্রাণীগুলো খাবারের সন্ধানে আমাদের চারি পাশে ঘুরঘুর করে। কিন্তু আমরা তাদের সাথে নির্মম আচরণ করি। যা একদমই নিকৃষ্টতম কাজগুলোর মধ্যে একটি। সকলের উচিত এদের উপর দয়া দেখানো।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
ছোট্ট খরগোশের বাচ্চাদের দেখে ভীষণ ভালো লাগছিলো, কিন্তু এরা বন্দি। একজন মানুষ তাদের বন্দি করে রেখেছে এবং বেশ চড়া দাম হাকাচ্ছে। আমার খুব ইচ্ছে করছিলো এদের কিনে নিয়ে ছেড়ে দেই কিন্তু যা দাম বললো তাতে আমি কেনার সাহস করলাম না। তবে দোয়া করলাম এরা যাতে ছাড়া পেয়ে যায়।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
ভেড়া গুলো খাবারের সন্ধানে দিকবিদিক ছুটে চলেছে। কি আর করা চারিদিকে ঘাস আর খাবারের সঙ্কট। অবশেষে দেখলাম ময়লার স্তূপ থেকে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করছে।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
ক্ষুধার্ত কুকুর। ওর চোখগুলোর দিকে তাকিয়ে বড্ড মায়া লাগছিলো। মনে হলো যেন সে বলছে, আমার খাবার নেই কিছু খাবার দিয়ে যাও। ভীষণ খারাপ লাগলো ওর চোখের চাহনি।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
রাজহাঁস বড় দিঘিতে থাকতে পছন্দ করে এবং খাবার সংগ্রহ করে। কিন্তু এই কঠিন শহরে কোথায় পাবে সেই খাবারের জায়গা আর মনোরম পরিবেশ। তবুও সামান্য বৃষ্টির পানিতে দুটো হাঁস কিছুটা খুশিতে মেতেছিল।
পরিশেষ
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আমার ছবিগুলো আপনাদের ভীষণ ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত বিদায় নিলাম।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টির কোন তুলনা হয় না। প্রতিটি প্রাণী এখন হুমকির মুখে। মানবসৃষ্ট প্রাণীকূলের অভিযোজন প্রক্রিয়া নষ্ট হচ্ছে। যাইহোক ভাই আপনার আজকের আলোচিত্র গুলো খুবই ভালো লেগেছে। খরগোশের বাচ্চাদের দেখে আমার কাছেও ভীষণ ভালো লাগলো। অনেকদিন পর খরগোশ দেখতে পেলাম। বিভিন্ন পোষা প্রাণী গুলো এখন রাস্তায় খাবার খাচ্ছে এগুলো দেখলেও কষ্ট লাগে ভাই। চমৎকার একটি পোস্ট বর্ণনা সহ উপস্থাপনা করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
খুবই খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। বিশেষ করে খরগোশের ফটোগ্রাফি দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। এই খরগোশ অনেকগুলো পালন করেছিলাম। যার কারণে দেখি বেশি ভালো লেগেছে।
আজকে আপনি সুন্দর সুন্দর প্রাণীদের ফটোগ্রাফি করেছেন। সুন্দরভাবে বর্ণনা দিয়েছেন। এই ফটোগ্রাফি পোস্ট দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো।
আমার পোস্টের কোন ছবি কিংবা বর্ননা আপনার ভালো লেগেছে??
আসলে এধরনের মন্তব্য করার থেকে না করা ভালো।
আশাকরি বুঝতে পেরেছেন।
প্রাণীর সান্নিধ্যে বেশ কিছু প্রাণীর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি এবং বর্ননা সব সময়ই ভালো লাগে। অনেক দিন পরে আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে ভেড়া দেখলাম। রাজহাঁস দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে তাদের খুনসুটির দৃশ্য গুলো। ভালো লাগলো আপনার পোস্ট ভিজিট করে। শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
আজ আপনি দারুণ দারুণ কতগুলো প্রাণীদের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে এই প্রাণীগুলো আমাদের চারিপাশে ঘুরে বেড়ায় এবং অনেকে এগুলোকে পোষে মানিয়ে নেয়। ধন্যবাদ এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
খরগোশ আমার বেশ পছন্দের প্রাণী। একসময় আমার কয়েকটা ছিল। তখন আমি ৪০০ টাকা জোড়া কিনেছিলাম। এখন দাম সম্পর্কে ধারণা নেই। অন্য প্রাণীর ফটোগ্রাফি গুলো বেশ চমৎকার লাগছে। খুবই সুন্দর করেছেন ভাই ফটোগ্রাফি গুলো। ধন্যবাদ আপনাকে।।
আজকে আপনি ভিন্ন রকম কিছু প্রাণীর ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি মানেই অসাধারণ। তবে খরগোশের ফটোগ্রাফি আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো। আমার ইচ্ছা আছে খরগোশ লালন পালন করার জন্য। যদিও খরগোশের দাম বেশি এই কারণে খরগোশ আপনি কিনেন নাই। আপনার অন্যান্য ফটোগ্রাফি গুলো খুব চমৎকার হয়েছে।