আমি সিরাজ মেম্বারের নাতি। নানা ভালো নেই 😕
নানা ভালো নেই 😕 |
---|
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন।
আমি ময়মনসিংহ এসেছি শেকড়ের টানে, সময়টা সত্যিই নিজের মতো করে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। আজ সকালে এসেছি নানার বাড়িতে। নানার বাড়ি নেত্রকোনা জেলার প্রত্যন্ত গ্রামে। নানা ছিলেন এলাকার খুব প্রভাবশালী এবং ধনী ব্যক্তি। তখনকার সময়ে তিনি মেম্বার নির্বাচন করেন এবং জয়ী হোন। এরপর তিনি বেছে নেন বেহিসেবি জীবনযাপন এবং প্রচুর অর্থ সম্পদ নষ্ট করছেন মানুষের পেছনে।
এমনো গল্প শুনেছি তিনি এলাকার গন্যমান্য লোকজন নিয়ে একটি খাসি একবারে খেয়ে উঠতেন। যাইহোক আমি যখন বুঝতে শিখেছি তখন দেখলাম তার সম্পদ ফুরিয়ে আসতে শুরু করেছে, তখন তিনি কাপড়ের ব্যাবসা করতেন। কিন্তু তখনো হিসেবে তেমন সতর্ক ছিলেন না। ধীরে ধীরে তার সম্পদ আরো কমতে থাকে, একটা সময় তিনি বেশ বিপদে পরতে থাকেন। যাইহোক তিনি এখন প্রায় নব্বই বছর বয়সী একজন বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ, বিভিন্ন অসুখ বিসুখে জর্জরিত। উনার একটি চোখ নষ্ট হয়ে গেছে এবং কথা খুব সামান্য পরিমাণ দেখতে পান, তার শরীর একদম শুকিয়ে গেছে। দেখে সত্যিই খারাপ লাগলো, মনে হলো যেন আর একবার এসে হয়তো দেখবো না 😞
নানার জন্য আমার বাবা মা উমরাহ হজ্জ করা কালীন জুব্বা কিনে এনেছিলেন, সেটাই তাকে উপহার দিলাম এবং আমি তার প্রয়োজনীয় বেশ কিছু জিনিস উপহার দিলাম। নানা এতোটাই খুশি হয়েছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। তিনি মন ভরে দোয়া করলেন, সত্যিই ভেতর থেকে ভীষণ ভালো লাগলো।
আমার বাবা নানার সাথে অনেকক্ষণ কথা বলেছিলেন। নানা আমাদের জন্য হাত তুলে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করলেন। এটা যে আমার জন্য কতবড় প্রাপ্তি তা হয়তো লিখে বোঝাতে পারবো না। দুপুরে নানার বাড়িতে খাবার খেয়ে দাদুর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম। সন্ধ্যায় দাদুর বাড়ির উঠানে পা দিলাম। তবে প্রথমেই দাদা দাদুর কবর জিয়ারত করেছি 🥺 কেউ বেঁচে নেই এখন, দুহাত তুলে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করেছি।।।।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
প্রমোশন
https://x.com/emranhasan1989/status/1870872932920197230?t=YYHRIhBNpNejA0_uWNu3ZQ&s=19
ভাইয়া আপনি আপনার নানার বাড়ি গেলেন।আর নানার জন্য উপহার নিয়ে গিয়েছিলেন যা পেয়ে আপনার নানা খুব খুশি হয়েছেন দেখে আরো বেশী ভালো লাগলো। তার বয়স ও হয়েছে অনেক।তারপরেও তিনি আলহামদুলিল্লাহ ভালোই আছেন।এই বয়সে এটা কম নয়।দোয়া করি আপনার নানার নেক হায়াত আল্লাহ দান করবেন।অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাই।
প্রথমেই আপনার দাদা দাদি এবং নানার জন্য দোয়া রইল। আমাদের সকলের প্রিয় মানুষ এরা। আমার নানা আমার সব থেকে প্রিয় মানুষ ছিলেন। বেশ কিছুদিন আগে মারা গেছেন। নানার মৃত্যু আমাকে ভিতর থেকে নারা দিয়েছে। প্রিয় মানুষ গুলোর মৃত্যু সত্যি বেদনা দায়ক। তবে কি করার নিয়তির নিয়মে আমাদের কেও একদিন চলে যেতে হবে। সবাই ওপারে ভালো থাকুক এই দোয়া করি। আপনার নানা আপনার জন্য দোয়া করছেন এটাই বড় প্রাপ্তি। সুন্দর একটি পোস্ট উপহার দিয়েছেন। নতুন পোস্ট এর অপেক্ষায় রইলাম।
আগের দিনের বেশিভাগ প্রভাবশালী ব্যাক্তি তাদের বিশাল সম্পদের বেহিসাবি জীবন যাপন করার ফলে ও মানুষের পিছনে টাকা পয়সা নষ্ট করার কারণে এক সময় অভাবে পড়ে যায়।এসমস্ত ব্যাক্তিদের জন্য সত্যি খুব কষ্ট হয়।আগের বিলাশবহুল জীবন ছেড়ে মানবেতর জীবন যাপন করে।আপনার বাবা,মা হজ্জে গিয়ে অনেক কিছু এনেছে এবং তা পেয়ে হাত তুলে দোয়া করছে আপনাদর নানা দেখে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ পোস্ট টি ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।