ময়মনসিংহ তাঁত ও বস্ত্র মেলা।
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন। গত কিছুদিন আগে আমি ময়মনসিংহ শহরের তাঁত এবং বস্ত্র মেলায় ভ্রমণ করেছিলাম। ইতিমধ্যে কয়েকটি পর্ব শেয়ার করেছিলাম, আজকে পরবর্তী পর্ব নিয়ে ফিরে এলাম। আজকের পর্বটি আশাকরি আপনাদের ভীষণ ভালো লাগবে।
প্রতিটি মেলায় বাচ্চাদের জন্য বেশ কিছু রাইট এবং খেলাধুলার বন্দোবস্ত করা হয়ে থাকে। বিশেষ করে এখানে বেশ বড়সড়ো জায়গা জুড়ে হাওয়ার বেলুন দিয়ে রাইড এর মত করে ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে বাচ্চারা বেশ আনন্দ সহকারে এগুলো উপভোগ করছে দেখলাম। আর টিকিটের দামও দেখলাম বেশ চড়া তবে মন খুলে খেলাধুলা করতে পারছে বাচ্চারা।
এখান থেকে সেই যে বড় রাইডটির স্লাইডিং অংশটি দেখা যাচ্ছে। অনেক বাচ্চারা এই স্লাইড বেয়ে নিচের দিকে নেমে আসছে এবং প্রতিনিয়ত এই কাজটি বারংবার করছে। এতে তারা অনেক বেশি আনন্দ পাচ্ছে।
এরপর আরো কিছু বাচ্চাদের খেলার সামগ্রী দেখলাম পানির উপরে। এই ব্যাপারটা আমার কাছে একদমই ভিন্ন রকম লেগেছে। পানির উপরে ছোট ছোট হাঁসের মতো করে বেলুন ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে। আর বাচ্চারা এগুলোতে চড়ে মনের আনন্দে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চড়ে বেড়াচ্ছে। সত্যিই অসাধারণ একটি দৃশ্য।
বন্ধুকের গুলি দিয়ে বেলুন ফাটানো, এই ব্যাপারটা আমি ভীষণ উপভোগ করি। এটা দেখে কেমন জানি ছোটবেলায় হারিয়ে যাই, আমিও ছোটবেলায় মেলায় গেলে বন্দুক দিয়ে বেলুন ফাটানোর জন্য ভীষণ জেদ করতাম। অধিকাংশ সময়েই লক্ষ্য ভেদ করতে পারতাম না, কিন্তু তবুও টাকা দিয়ে এটা চেষ্টা করতাম।
এরপর এই তন্দুরি চায়ের দোকান দেখে লোভ সামলাতে পারছিলাম না। কিন্তু ওখানে ভীষণ ভিড় থাকায় চা না খেয়েই চলে আসতে বাধ্য হয়েছিলাম।
যাইহোক এই এই ছিল আজকের আয়োজন। সামনের পর্বে তাঁত এবং বস্ত্র মেলা সম্পর্কে আরো বিস্তারিত আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত বিদায় নিলাম।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
ময়মনসিংহ তাঁত ও বস্ত্র মেলার বেশ কিছু পর্ব তুলে ধরেছেন। মেলার মধ্যে ছোটদের জন্য বেশ কিছু খেলাধুলার আয়োজন করা হয়েছে দেখে খুব ভালো লাগলো। মেলার মধ্যে বন্দুক দিয়ে বেলুন আগে অনেক ফুটিয়ে ছিলাম। ভীষণ আনন্দ উপভোগ করা যায়। আপনার পোস্ট দেখে মনে পড়ে গেল। চমৎকার একটি পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ লিমন।
আসলে বন্দুক দিয়ে বেলুন ফাটানোর ব্যাপারটা সবসময়ই ভালো লাগতো আমার।
ময়মনসিংহের তাঁত ও বস্ত্র মেলা ভ্রমন করে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার পোষ্টের লেখাগুলো পড়ে এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার। তবে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে বন্দুক দিয়ে বেলুন ফোটানোর কথাগুলো জানতে পেরে।
ধন্যবাদ ভাই। আমার পোস্ট আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। বেলুন ফাটানোর ব্যাপারটা সবসময়ই উপভোগ করতাম।