চালকুমড়া দিয়ে চিংড়ি মাছ রান্না 🍤
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন। আজকে আমি চমৎকার একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
যাইহোক আমার সেলারি প্রিওড চলছে এবং এই সময়টাতে আমি সর্বোচ্চ ব্যস্ত থাকি। ইদানিং সময় গুলো এত ব্যস্ততা মাঝে কেটে যাচ্ছে বলে বোঝাতে পারবো না। যাইহোক তবুও চেষ্টা করে যাচ্ছি আপনাদের সাথে যুক্ত থাকার। ইদানিং সামুদ্রিক চিংড়ি মাছগুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সবজি এবং ভুনা করে খাওয়ার চেষ্টা করি। সেদিন বাজার থেকে একটি চাল কুমড়া কিনেছিলাম এবং সেটা দিয়েই এই চমৎকার রেসিপিটি তৈরি করেছি। চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে তরকারিটা রান্না করলাম।
চালকুমড়া | একটি | চিংড়ি মাছ | ২০০ গ্রাম |
---|---|---|---|
কাঁচামরিচ | স্বাদমতো | পেঁয়াজ কুচি | এক কাপ |
হলুদ গুঁড়া | এক চামচ | মরিচ গুঁড়া | এক চামচ |
জিরা গুঁড়া | এক চামচ | রসুন বাটা | এক চামচ |
লবণ | স্বাদমতো | সোয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
প্রথমে চাল কুমড়াটি কেটে টুকরো করে নিলাম। তারপর ধুয়ে একটি চালনিতে উঠিয়ে নিলাম।
এবার চিংড়ি মাছ গুলো কেটে পরিষ্কার করে নিলাম এবং একটি প্লেটে উঠিয়ে নিলাম।
এবার একটি বাটিতে সামান্য হলুদ মরিচ এবং লবণ মিশিয়ে মাখিয়ে নিলাম।
এরপর একটি পাতিলে সামান্য সয়াবিন তেল দিয়ে চিংড়ি মাছ গুলো কড়া করে ভেজে নিলাম। এরপর একটি বাটিতে উঠিয়ে নিলাম।
এবার একটু পাতিলে পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল দিয়ে পেঁয়াজকুচি দিয়ে দিলাম এবং বাদামি রঙের করে ভেজে নিলাম।
এবার একে একে সমস্ত মসলা দিয়ে দিলাম এবং ভালোভাবে মশলাগুলো কষিয়ে নিলাম।
এবার মসলার মধ্যে চাল কুমড়ার টুকরোগুলো দিয়ে দিলাম এবং ঢাকনা দিয়ে পাঁচ মিনিট কষিয়ে নিলাম।
এই ধাপে পরিমাণ মতো ঝোল দিয়ে দিলাম।
এবার চিংড়ি মাছ এবং স্বাদমতো কাঁচা মরিচ ছড়িয়ে দিলাম।
তরকারিটা মধ্যম আছে বিশ মিনিট রান্না করলাম। বিশ মিনিট পর ঝোল শুকিয়ে এলে চুলা বন্ধ করে দিলাম। আমাদের সুস্বাদু তরকারি তৈরি হয়ে গেছে এবার পরিবেশন এর পালা।
🍱 পরিবেশন করলাম 🍱
এই খাবারটি শুধুমাত্র লোভনীয় নয়, এটি তৃপ্তিদায়ক খাবারও বটে। আমরা পরিবারের সবাই মিলে বেশ তৃপ্তি সহকারে খেয়েছিলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের সবার ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন।
ছবি যন্ত্র | রিয়েলমি সি-২৫ |
---|---|
ছবির কারিগর | @emranhasan |
ছবির অবস্থান | ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ। |
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
চাল কুমড়ো আমার বেশ পছন্দ। চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করলে তো কথাই নেই। চাল কুমড়া চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করেছেন। রেসিপিটা দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। ভালো লাগলো আপনার আজকের রেসিপি টা দেখে। ধন্যবাদ ভাইয়া মজার একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু।
এটা আমার খুব প্রিয় একটা খাবার।
মজার মজার রেসিপি কার না পছন্দের। আমি চাল কুমড়ার রেসিপি এত পছন্দ করি যে কি বলবো আর। দেখলেই ইচ্ছে করে সাথে সাথে খেয়ে ফেলি। মাঝেমধ্যে কিন্তু এই ধরনের খাবারগুলো খেতে একটু বেশি ভালো লাগে। মনে তো হচ্ছে, এই চাল কুমড়ার রেসিপিটা বেশ জমিয়ে খেয়েছিলেন। রেসিপি টা অনেক বেশি লোভনীয় ছিল।
চিংড়ি মাছ অনেক সুস্বাদু মাছ আর যদি তা হয় সামুদ্রিক চিংড়ি মাছ তাহলে তো কোন কথায় নেই।দারুণ হয়েছে ভাইয়া আপনার চিংড়ি মাছ দিয়ে লাউ রেসিপিটি।খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে রেসিপিটি দেখেই বুঝতে পারছি।ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।
চালকুমড়া দিয়ে চিংড়ি মাছের চমৎকার রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাই। কুমড়োর সাথে চিংড়ি মাছের মিশ্রন করে দূর্দান্ত রেসিপি করেছেন। আপনার রেসিপিটি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। আপনার রেসিপিটি দেখে লোভনীয় লাগছে খেতে ও মনে হয় অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।
ধন্যবাদ ভাই, আমার রেসিপি দেখে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
চিংড়ি মাছ দিয়ে যে কোন কিছু রান্না করলে সেটার স্বাদ অনেক গুণ বেড়ে যায়। লাউ অথবা কুমড়ো রান্না যে কোন কিছুতে যদি চিংড়ি মাছ দেয়া হয় তখন এর স্বাদ অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার আজকের রেসিপিটা বেশ দারুণ হয়েছে ভাইয়া।
চিংড়ি মাছ লাউ কিংবা চাল কুমড়া দিয়ে খেতে বেশি ভালো লাগে।
এই রেসিপিটি আমার কাছে বেশ দারুন লাগে। আপনি বেশ দারুন করে রেসিপির ধাপ গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমার কাছে আপনার আজকের রেসিপিটি দেখে তো বেশ লোভনীয় মনে হচ্ছে। এমন একটি রেসিপি দেখে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ না দিয়ে এমন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু।
এই খাবারটি ভীষণ সুস্বাদু এবং লোভনীয়।
সবার ক্ষেত্রে এমনি যাচ্ছে আমাদেরও। এমন অবস্থা অনেক ব্যস্ততার মধ্যে যাচ্ছে সময় গুলো কিভাবে যে শেষ হয়ে যাচ্ছে বুঝতে পারছি না। তারপরও চেষ্টা করি কমিউনিটিতে সময় দেয়ার।আপনি চিংড়ি মাছ দিয়ে চাল কুমড়ার সাথে বেশ মজার একটি রেসিপি তৈরি করলেন। রেসিপির কালার কম্বিনেশন দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে কথাটা সুস্বাদু হয়েছিল। এমনিতে আপনার তৈরি করা রেসিপিগুলো আমার খুব ভালো লাগে দেখতে।
চিংড়ি মাছ দিয়ে যেকোনো সবজি রান্না করলে খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনি আজ চাল কুমড়া চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করলেন।রেসিপিটি খুবই সুস্বাদু হয়েছিল বোঝা যাচ্ছে। খুবই লোভনীয় লাগছে রেসিপিটি।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া দারুন মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।