ময়মনসিংহ তাঁত ও বস্ত্র মেলা।
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন। গত কিছুদিন আগে আমি ময়মনসিংহ শহরের তাঁত এবং বস্ত্র মেলায় ভ্রমণ করেছিলাম। ইতিমধ্যে কয়েকটি পর্ব শেয়ার করেছিলাম, আজকে পরবর্তী পর্ব নিয়ে ফিরে এলাম। আজকের পর্বটি আশাকরি আপনাদের ভীষণ ভালো লাগবে।
এটি একটি নৌকা রাইড, বেশ কায়দা করে লাইটিং করে সাজানো হয়েছে। দূর থেকে এটি দেখতে এককথায় অসাধারণ সুন্দর লাগছিলো। এই রাইডে অনেক মানুষ চড়ছে দেখলাম, তবে আমি পার্সোনালি এটাতে উঠতে তেমন পছন্দ করি না, কারন এটি বিপদজনক রাইড মনে হয়।
সুউচ্চ একটি নাগরদোলা। মেলায় এধরনের নাগরদোলা হামেশাই দেখা যায়। এটাতে দেখলাম অনেক মানুষ চড়ছে। উঁচু থেকে মোটামুটি পুরো মেলাটি দেখা যায় পরিষ্কার।
এখানে দেখলাম পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ডিম কেক তৈরি করছে। তবে এই কেক আমি ঢাকাতে খেয়েছিলাম, সত্যিই অসাধারণ লাগে খেতে। যাইহোক মেলায় এসে এই কেকের স্টল দেখতে পাবো, তা ভাবতেই পারিনি।
এরপর চলে এলাম পিঠা তৈরি উপকরণের দোকানে। যেহেতু শীতকাল চলছে এবং মানুষজন প্রচুর পিঠা খায়, তাই এই স্টলে বেশ ভিড় দেখলাম। মানুষজন প্রচুর পিঠার উপকরণ কেনার চেষ্টা করছে দেখলাম।
এরপর এলাম ঘর সাজানোর বিভিন্ন ছবির ফ্রেমের দোকানে। অসংখ্য মানুষ তাদের পছন্দের ছবি কিংবা উপকরণ কেনার চেষ্টা করছে। এগুলো ঘরে সাজিয়ে রাখতে পারলে সত্যিই সুন্দর দেখায়।
মানুষ ঘর সাজানোর জন্য কত কিছুই না করে। এই যেমন ধরুন এরকম পাখির বাসা দেখলাম অনেকেই কেনার চেষ্টা করছেন। এগুলো ঘরে সাজিয়ে রাখতে পারলে সত্যিই অসাধারণ দেখায়।
যাইহোক এই এই ছিল আজকের আয়োজন। সামনের পর্বে তাঁত এবং বস্ত্র মেলা সম্পর্কে আরো বিস্তারিত আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত বিদায় নিলাম।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
https://x.com/emranhasan1989/status/1881018393459085672?t=pNZNRWQVzsODaUAYxlGkXQ&s=19
ময়মনসিংহ তাঁত এবং বস্ত্র মেলার সম্পর্কে গত পর্বে দারুণ কিছু অনুভূতি শেয়ার করেছেন ভাই। পরে ভীষণ ভালো লেগেছে। এবারেও তার ব্যতিক্রম নয়। নৌকা রাইড আমিও ভীষণ ভয় পাই। যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তারা এই ধরনের রাইডে না উঠায় উত্তম। ঘর সাজানোর জন্য পাখির বাসার জিনিসপত্রগুলো সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। এই ধরনের মেলায় গেলে মন-মানসিকতা ভালো হয়ে যায় । ধন্যবাদ ভাই আপনাকে, আপনার অনুভূতি ব্যক্ত করার জন্য।
এর আগেও তাত এবং বস্ত্র মেলার কিছু ফটোগ্রাফি দেখেছিলাম। আজকে আরো একটা পোস্ট দেখে ভালো লাগলো। প্রত্যেকটা রাইডে খুব সুন্দর ভাবে লাইটিং করা। এগুলো বেশ আকর্ষণীয় লাগছে দেখতে। পাখির বাসা গুলো আমি অনেক আগেও বেশ কয়েকটা মেলায় দেখেছিলাম। এগুলো আসলে সাজিয়ে রাখলে ভালোই লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর এই মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য।
শীতকাল আসলেই যেন মেলার ধুম পড়ে যায়।সব জায়গায় তখন মেলার আয়োজন করা হয়। আপনি ময়মনসিংহে তাঁত এবং বস্ত্র মেলায় গিয়েছিলেন এবং সেখানে ঘোরাঘুরি করেছেন। মেলায় ভালো সময় পার করেছেন। এবং সেটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো।