লোভ নিয়ন্ত্রণ করুন।
আমরা মানুষ এবং সৃষ্টির সেরা জীব। কিন্তু মানুষের ভেতরেও সৃষ্টিকর্তা ভালো খারাপ অনেক কিছু মিলিয়ে দিয়েছেন। তবে তিনি আবার বাছ বিচার করার ক্ষমতা দিয়েছেন। ব্যাপারটা ঠিক এমন ধরুন আপনার অন্যায় কাজ করার ক্ষমতা রয়েছে আবার সেটাকে নিজের ভেতর থেকে শুধরানোর সুযোগ রেখেছেন তিনি। যাইহোক আমাদের খারাপ দিকগুলোর মধ্যে রয়েছে, রাগ, অযাচিত যৌনতা এবং লোভ। প্রথম দুটো মানুষের দেখা গেলেও তৃতীয় যে বিষয়টি লোভ, এটা সমস্ত অন্যায় কাজকে মদদ বা উস্কে দিয়ে থাকে সবথেকে বেশি।
আজকাল পৃথিবীতে বিভিন্ন জায়গায় ভয়ংকর সব অপরাধ সংঘটিত হয়, ভালো করে খোঁজখবর নিয়ে দেখবেন সেখানে কোন না কোন ভাবে লোভ কাজ করেছে। হতে পারে ব্যাপারটা অর্থের কারনে, হতে পারে সম্পত্তির লোভে অথবা কোন নারীকে পাওয়া বাসনা থেকে। তাছাড়াও ক্ষমতার লোভ কিংবা আরো বিভিন্ন লোভকে ঘিরে সৃষ্টি হতে পারে নাশকতা।
লোভ এমন একটা জিনিস যা চট করে বোঝা যায় না, মানে আপনি কোন কারনে কারো লোভের পাল্লায় পড়ে গেছেন তা বুঝতে পারবেন না। এটা বোঝা যাবে যখন এই লোভ থেকে সৃষ্ট কোন বিপদ আপনার ঘাড়ে চেপে যাবে ঠিক তখন। একজন প্রকৃত লোভী ব্যাক্তি খুব কৌশলে নিজের মনের বাসনা লুকিয়ে রাখতে পারে, তাই বোঝা খুব মুশকিল হতে পারে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তার আচরণে অনুমান করা যায়, যেমন ধরুন অতি ভক্তি, চাটুকারিতা, তেলবাজী এবং সব কথায় হ্যা সুচক সম্মতি প্রদান।
যখন আপনি বুঝতে পারবেন কেউ আপনাকে অতিরিক্ত দাম কিংবা মূল্যায়ন দেয়ার চেষ্টা করছে, তখনই বুঝতে হবে ভেতরে ভেতরে কিছু একটা চলছে যা হয়তো আপনাকে বিপদে ফেলতে যথেষ্ট। আর লোকটাকে যদি আপনি বেশি প্রশ্রয় দেন তাহলে আপনি হয়তো সব হারাবেন। তার মানে আমি বোঝাতে চাইলাম আপনি হঠাৎ কারো ব্যাবহারে গলে গিয়ে গদগদ ভাব দেখাবেন না, তাহলে আপনাকে হয়তো মুসিবতকে খুব তাড়াতাড়ি ডেকে আনা হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষ মানুষকে বিপদে ফেলতে নারীদের ব্যাবহার করে, কারন তারা বোঝে, যা সে করতে পারবে না তা একটা মেয়ে করে দেখাতে পারবে। মানে হলো যেসমস্ত মানুষ কিছুটা নারী কেন্দ্রিক দুর্বল তাদের খুব সহজে এই নারী চাল দিয়ে বশ করা যেতে পারে।
যাইহোক সব কথার বড় কথা নিজের লোভ সংবরণ করতে হবে এবং লোভী ব্যাক্তিদের থেকে নিজেকে হেফাজত করতে হবে। মনে রাখবেন আপনি যদি কারো কোন কিছু নিয়ে লোভ জাগ্রত করে রেখেছেন, হয়তো অন্য কেউ আপনাকে তার লোভের টোপ দিয়ে রেখেছে। তাই সবাইকে বলবো নিজে ভালো হোন এবং অন্যকে ভালো রাখার চেষ্টা করুন। লোভ নিয়ন্ত্রণ করুন, কারন লোভী ব্যাক্তি কখনো সুখী হতে পারে না, কারন একজন লোভী কখনো নিজের আত্মকে তৃপ্তি এনে দিতে পারে না।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
আপনার এই ধরনের পোস্ট গুলো ভীষণ ভালো লাগে। ব্যক্তি জীবনে এবং শিক্ষা জীবনে খুব কাজে লাগে। লোভ নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে জীবনে ধ্বংস অবধারিত। তাই লোভী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে নিজেকে সরিয়ে নেওয়া উত্তম। নিজে ভালো থাকতে হলে লোভী ব্যাক্তিদের থেকে নিজেকে হেফাজত করতে হবে। এত সুন্দর গোছানো পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
আসলে লোভ মানুষকে অন্ধ করে দেয়। আর একটা মানুষ যেটার জন্য অনেক বেশি লোভ করে, সেটা পাওয়ার জন্য সবকিছুই করতে পারে। এমনকি কাউকে মেরে ফেলতে ও তাদের হাত কাঁপে না। মানুষের মধ্যে এখন লোভটা অনেক বেশি রয়েছে। তবে নিজের লোভকে অবশ্যই নিয়ন্ত্রনে আনতে হবে। আমাদেরকে এটা মনে রাখতে হবে, লোভে পাপ পাপে মৃত্যু।
লোভ মানুষকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। আপনি শেষের দিকে বেশ সুন্দর একটি কথা বলেছেন। সেটা হচ্ছে নিজে ভালো হোন এবং অন্যকে ভালো রাখার চেষ্টা করুন। একদমই ঠিক বলেছেন। আপনার এধরনের লেখা গুলো থেকে অনেক কিছু শেখার রয়েছে। শিক্ষনীয় বিষয় তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
লোভ একটা মানুষকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিতে পারে। একটা মানুষ তখনই পুরোপুরিভাবে ধ্বংস হয়ে যায়, যখন সে অনেক বেশি পরিমাণে লোভ করে ফেলে। সব মানুষেরই লোভ নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার। জীবনটাও তখন অনেক সুন্দর হবে যখন লোভ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে সবাই।
লোভ জিনিসটা খুবই খারাপ। যে যত বেশি লোভী তার জীবনে তত বেশি কষ্ট। আর এই লোভকে সামনে চলতে পারলে নিজে অনেক ভালো থাকা যায়। লোভের কারণে মানুষ খুব দ্রুত বিপদে পড়ে আর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই আমাদের সকলের এই বিষয়টা মেনে চলা উচিত।