অল্পে তুষ্টি, প্রানে সন্তুষ্টি।
এ জগতে হায় সেই বেশি চায় যার আছে ভূরি ভূরি।
এই জগতে আমরা এসেছি খুব অল্প সময়ের জন্য, আর এই অল্প সময়ের মাঝে বহু মানুষ চেষ্টা করে যাচ্ছে সীমাহীন সম্পদের পাহাড় তৈরি করতে। ভালোভাবে খোঁজখবর নিয়ে দেখবেন তাদের কোন কিছুর অভাব নেই কিন্তু তার পরেও অর্থ আর সম্পদের লোভ তারা ছাড়তে পারে না। এমনকি এদের ভেতরে দান সদকা করার মানসিকতাও নেই, ভাবখানা এমন যেন টাকা পয়সা কমে যাবে। আবার এদের সাথে আপনি যদি কথা বলেন তাহলে তারা বোঝানোর চেষ্টা করবে ভীষণ ঝামেলার মধ্যে দিনযাপন করছে, কারন এ মাসে হয়তো অল্পের জন্য কোটি কোটি টাকা হাতছাড়া হয়ে গেছে।
এধরনের ধনকুবের যারা তারা প্রকৃত পক্ষে সুখি মানুষ না, এদের সম্পদের পিপাসা মিটে না, তাছাড়া সারাক্ষণ হা হুতাশ করতে থাকে। এরা অর্থ সম্পদের প্রকৃত ব্যাবহার এবং মর্যাদা বোঝে না। সৃষ্টিকর্তা মানুষকে ধনসম্পদ দিয়ে পরীক্ষা করেন। উপর ওয়ালা অঢেল দিয়ে যখন এদের পরীক্ষা করেন তখন হয়তো তিনি নিজেই বিচলিত হয়ে পরেন। কারন সম্পদের গরিমায় মানুষ আর মানুষের কাতারে থাকে না। তিনি ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না। একটা সময় তার সম্পদ এবং কৃতকর্মের উপর কৈফিয়ত চাওয়া হবে। তখন হয়তো তাদের লুকানোর জায়গা থাকবে না। কিছু মানুষ এই ব্যাপারগুলো বোঝে কিন্তু তবুও না বোঝার ভান করে দিব্যি তার কার্যকলাপ চালিয়ে যায়। যাইহোক এধরনের মানুষকে হয়তো মৃত্যুর আগে সৃষ্টিকর্তা হেদায়েত দান করবেন।
আমাদের আসলে অল্পতে সন্তুষ্ট থাকা উচিত, তাহলে দেখবেন জীবনের প্রতিটি প্রাপ্তি অনেক বেশি আনন্দের হয়ে উঠবে। আর এই আনন্দ আপনার জীবনকে সুখী এবং সমৃদ্ধশালী করে তুলবে। সুখ হলো শুধুমাত্র মনের একটা অনুভুতি যেখানে কিছুটা ভালোলাগা কাজ করে, তাই ভালোলাগার অনুভূতিটুকু আনার জন্য যতটুকু প্রয়োজন নিজেকে তৈরি করুন। দেখুন সম্পদ কখনো আপনাকে সুখ এনে দিতে পারবেনা, কিন্তু একটি শিশুর মুখে খাবার তুলে দিতে পারলে আপনি অনাবিল আনন্দ খুঁজে পাবেন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুম আপনাকে সাময়িক আরাম দিতে পারে কিন্তু বিধাতার দেয়া সুশীতল ছায়া আপনাকে পরম শান্তি এনে দেবে।
প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠেই সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত, কারন তিনি সুস্থ স্বাভাবিক রেখেছেন। তার দেয়া নিয়ামত প্রতিদিন ভোগ করতে পারছি এবং পরবর্তী দিনগুলো তিনি কিভাবে পার করবেন সেটা তিনিই নিয়ন্ত্রণ করবেন। সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস রেখে তার দেয়া সম্পদ এবং নিয়ামত নিয়ে প্রসন্ন চিত্তে আলহামদুলিল্লাহ বলে আনন্দের সাথে দিনযাপন করা উচিত। একবার ভেতর থেকে যদি সৃষ্টিকর্তার প্রতি সবকিছুর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন দেখবেন এমনিতেই আপনার মন মানসিকতা ভালো হয়ে যাবে।
আসুন আমরা অল্পতেই সন্তুষ্টির হাসি হেসে জীবন উপভোগ করি, নিশ্চয়ই তিনি সবসময়ই আমাদের পাশে রয়েছেন। অনাগত সুখ গুলো তার নিকট থেকে পাবো এবং তিনিই সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ করেন।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
আপনার কথায় সহমত পোষণ করলাম। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে সুস্থ রেখেছেন তাই ঘুম থেকে উঠেই তার প্রার্থনা করা তার প্রতি অনুগত্যা প্রকাশ করা প্রয়োজন। কিন্তু আমরা সেটা করি না। এখানে আমাদের অলসতা বিরাজমান থাকে। তবে প্রতিদিনের যাত্রা যেন সচেতন মূলক হয় সেটাই আমাদের প্রত্যাশা করতে হবে।
একটা মানুষ যত পায় ততই চায়। কেউ অল্পতে সন্তুষ্ট থাকতে পারে না। সবকিছু নিয়ে যেন বাড়াবাড়িটা থাকে। তবে অল্পতেই সন্তুষ্ট আদায় না করলে সৃষ্টিকর্তা কখনো খুশি হবেন না আর আমরাও কখনো ভালো থাকতে পারবো না। সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে সুস্থ রেখেছেন এটা ভেবে সবসময় শুকরিয়া আদায় করা উচিত। আপনি আজকে বাস্তবিক কিছু কথা তুলে ধরে আজকের এই পোস্টটি লিখেছেন দেখেই আমার অনেক ভালো লেগেছে।
অল্পতেই সন্তুষ্টি হয়ে হাসি খুশি ভাবে জীবন উপভোগ করার হচ্ছে সব চেয়ে উত্তম কাজ। সৃষ্টিকর্তা আমাদের কে বিভিন্ন ভাবে পরিক্ষা করার চেষ্টা করে থাকেন। সৃষ্টিকর্তার প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত। আপনার এধরনের লেখা গুলো পড়ে প্রতিনিয়ত শিখতেছি। এভাবেই এগিয়ে যান। আপনার জন্য শুভ কামনা সবসময় রয়েছে ভালো থাকবেন।
আপনার পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছু উপলব্ধি করতে পারি এবং শিখতে পারি। অল্পে তুষ্টি, প্রানে সন্তুষ্টি এনে দেয়। তাই সব সময় সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করতে হবে। মানুষের চাহিদার শেষ নেই, কিন্তু অল্পতেই যে মানুষটি সন্তুষ্ট থাকে তার ভবিষ্যৎ মঙ্গলময়।