লোভনীয় রেসিপি: দেশী মুরগির বাচ্চা ভুনা।
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন। আমরা বাঙালিরা খেতে ভীষণ পছন্দ করি এবং খাবারের মাঝে বৈচিত্র্য রাখার চেষ্টা করি। যাইহোক সেদিন হাটে গিয়েছিলাম। আমাদের ভালুকায় প্রতি শুক্রবার হাট বসে এবং তরতাজা সবজি সহকারে বিভিন্ন দেশি পশুপাখি পাওয়া যায়। সেদিন আমার স্ত্রী এবং আমি দুজনেই হাটে গিয়েছিলাম এবং দুটো হাঁস আর ছোট দেশী মুরগীর বাচ্চা কিনেছিলাম। সত্যি বলতে এই একটা দিন সবকিছুর দাম কিছুটা হাতের নাগালে থাকে। যাইহোক বেশ সাশ্রয়ী দামে মুরগির বাচ্চা পেয়ে বেশ ভালো লাগলো।
গতকাল সেই মুরগির বাচ্চা রান্না করা হয়েছে, যা সবাই মিলে তৃপ্তি সহকারে খেলাম। আর আপনাদের জন্য তৈরি করেছি লোভনীয় এবং পুষ্টিকর রেসিপি। তো চলুন দেখে নেয়া যাক আজকের রেসিপি।
দেশী মুরগী | দুটো | পেঁয়াজ কুচি | এক কাপ |
---|---|---|---|
দারুচিনি | দু টুকরো | এলাচ | চারটি |
হলুদ গুঁড়া | এক চামচ | মরিচ গুঁড়া | এক চামচ |
জিরা গুঁড়া | এক চামচ | রসুন বাটা | এক চামচ |
লবণ | স্বাদমতো | সোয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
প্রথমেই মুরগির বাচ্চা দুটোকে জবাই করে প্রয়োজনীয় মাপে টুকরো করে কেটে নিলাম। এরপর একটি বাটিতে মাংসগুলো ধুয়ে উঠিয়ে নিলাম। এরপর রান্নার অন্যান্য সামগ্রী গুছিয়ে নিলাম।
এবার চুলায় একটি পাত্র বসিয়ে দিয়ে তাতে পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল ঢেলে দিলাম। তেল গরম হলে এতে দারচিনি, এলাচ এবং তেজপাতা দিয়ে কিছুটা সময় ভেজে নিলাম।
এরপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে বাদামি রংয়ের করে ভেজে নিলাম।
এবার একে একে সমস্ত মসলা দিয়ে ভালোভাবে পেঁয়াজের সাথে কষিয়ে নিলাম।
এবার কষানো মসলার মাঝে সামান্য ঝোল যোগ করলাম।
এবার কষানো মসলার মধ্যে মুরগির মাংসগুলো দিয়ে দিলাম।
এবার মুরগির মাংসটা ত্রিশ মিনিট মধ্যম আঁচে রান্না করলাম। ঝোল বেশ কিছুটা শুকিয়ে এলে চুলা বন্ধ করে দিলাম। আমাদের সুস্বাদু মুরগির মাংস রান্না হয়ে গেছে এবার পরিবেশনের পালা।
🍱 পরিবেশন করলাম 🍱
খাবারটি যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। সত্যি বলতে পরিবারের সবাই মিলে বেশ তৃপ্তি সহকারে খেলাম।
ছবি যন্ত্র | রিয়েলমি সি-২৫ |
---|---|
ছবির কারিগর | @emranhasan |
ছবির অবস্থান | ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ। |
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
ভীষণ সুন্দর করে মুরগির বাচ্চা ভুনা রান্না করে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করলেন ভাই। সব থেকে সুন্দর লাগলো উপস্থাপনা করার পাত্রখানি। কী সুন্দর দেখতে। এমন সুন্দর মাংসের রেসিপি আমি ভীষণ পছন্দ করি। আজকাল মাছের দাম বেড়ে যাওয়ায় মাংস টাই বেশি খাওয়া হচ্ছে। একদিন আপনার এই পদটি তৈরি করে দেখব।
শুনে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া দুজনে মিলে বাজারে গিয়েছিলেন আর তাজা তাজা সবকিছু জিনিস কিনে নিলেন। বিশেষ করে ভালো লাগলো বাচ্চা মুরগি কিনতে পেরেছেন তাই। এমনিতে বাচ্চা মুরগি খেতে খুব ভালো লাগে। রেসিপিটি দেখে অনেক ভালো লাগলো।
আমরা প্রায় সকলেই দেশি মুরগি খেতে খুব পছন্দ করি।আর এভাবে দেশি মুরগির বাচ্চা রান্না করলে খেতে কার না ইচ্ছা করবে। আসলে দেশি মুরগি খাবারর মধ্যে অন্যরকম একটা মজা পাওয়া যায়।আজকে আপনার তৈরি করা দেশি মুরগির বাচ্চার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। মজাদার এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে এত সুন্দরভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
দুটো হাঁস এবং ছোট মুরগি কিনে এনেছিলেন বাজার থেকে। সেই ছোট মুরগি আপনি অনেক সুন্দর ভাবে রান্না করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ।ছোট মুরগিতে পচুর পরিমাণ রক্ত পাওয়া যায়। এটি শরীরের জন্য অনেক উপকারি। ধন্যবাদ ভাইয়া রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মুরগির মাংসের ক্ষেত্রে দেশি মুরগির মাংসে অন্যরকম একটা টেস্ট পাওয়া যায়। রেসিপি তৈরি করে পরিবেশন করার পর ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে লোভনীয় এই রেসিপিটি তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
অনেক সুন্দর একটি রেসিপি নিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছেন ভাইয়া। আপনার চমৎকার এই রেসিপি দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর ভাবে মাংস রান্না করেছেন। মাংস রান্নার পর্যায় গুলো তুলে ধরেছেন। সুন্দর একটা রেসিপি দেখেই জেনো বড়লোভনীয় মনে হল।
দেশি মুরগি সুস্বাদু ভুনা রেসিপি তৈরি করেছেন। এই রেসিপির পরিবেশন দেখেই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। তাই খেতে ইচ্ছা করছে, রেসিপিটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে দেশী মুরগির বাচ্চা ভুনার লোভনীয় রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরির রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। এমনিতেই যেকোনো মুরগির মাংস খেতে আমি বেশ পছন্দ করি। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরীর প্রত্যেক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দারুন একটা রেসিপি আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। অন্তত আমাদের এখানে দেশি মুরগির বাচ্চা পাওয়া যায় না। আর পেতে গেলে অনেক বেশি খোঁজাখুঁজির দরকার হয়। দারুন একটা লোভনীয় পোস্টের রেসিপি আপনি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।