সবাইকে রমজানুল মোবারক || রমজানে আমাদের কেমন খাবার গ্রহণ করা উচিত ?
সবাইকে রমজানুল মোবারক
রমজানে আমাদের কেমন খাবার গ্রহণ করা উচিত?
"রমজান যেনো খাবার উৎসব না হয়ে যায়"
"আত্মশুদ্ধির মাস"
রমজানে আমাদের কেমন খাবার গ্রহণ করা উচিত?
"রমজান যেনো খাবার উৎসব না হয়ে যায়"
"আত্মশুদ্ধির মাস"
সবাইকে রমজানুল মোবারকবাদ জানাচ্ছি। আরো একটি রমজান মাস আমাদের সামনে হাজির হয়েছে। রমজান মাস আমাদের অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি মাস, আসলে এটি আত্মশুদ্ধির মাস ও বলা হয়। কারন রমজানের রোজার রাখার ফলে সমস্ত খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকে এবং পরস্পরের সাথে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়। এতে পরিবারে এবং সমাজের শান্তি এবং সমৃদ্ধি ফিরে আসে। ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি রমজান মাস এলেই কেমন একটা আনন্দের বার্তা ধ্বনিত হয় বাতাসে। এটাকে ঈদ আনন্দের আগাম বার্তাও বলা যেতে পারে। আরো একটা ব্যাপার হলো রমজানের রোজা রাখার পর সবাই বেশ পেট পুরে খেতে পছন্দ করেন যা শরীরের ওজন বৃদ্ধিসহ বেশ কিছু জটিলতা তৈরি করতে পারে। আজ এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো। কারন আমি জানি এই সময়টিতে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কোন পুষ্টিবিদ নই কিন্তু চেষ্টা করি কিছুটা জ্ঞান রাখার এসব বিষয়ে। তো চলুন শুরু করি।
ইফতার কেমন হওয়া উচিত ?
দেখুন আমরা সারাদিন রোজা রাখার ফলে সন্ধ্যায় যখন ইফতার করতে বসি তখন শরীর এবং মস্তিষ্কের কোষগুলো তৎক্ষণাৎ শক্তি চায় তার কাজ করার জন্য। এই সময়টিতে আমরা যদি সহজে হজম হয় এধরনের খাবার গ্রহণ করি তাহলে শরীর তৎক্ষণাৎ শক্তি পায় এবং কর্ম ক্ষমতা ফিরে পায়। আর অধিক গুরুপাক খাবার খেলে হজম হতে অনেক দেরি হয় এবং শরীর প্রয়োজনীয় শক্তি পায়না। তাই পুষ্টিবিদগন সহজে হজম হয় এ ধরনের খাবার এবং পানি জাতীয় খাবার বেশি করে খেতে বলেন। আরো একটি বিষয় খেয়াল করা যায় ইফতারের পর পর হঠাৎ মাথায় কেমন একটা খারাপ লাগে এর কারনটা হলো স্নায়ু কোষগুলো ইফতার গ্রহনের পরপরই দ্রুত শক্তি সঞ্চয় করতে থাকে তাই এমনটা অনুভব হয়। নিচে ইফতার গ্রহনের জন্য কিছু নির্দেশনা দেয়ার চেষ্টা করেছি।
ইফতারের শুরুতেই অন্তত কিছুটা পানি এবং খেজুর দিয়ে শুরু করা উচিত। তারপরেই কিছুটা ফলের রস কিংবা তরল জাতীয় খাবার গ্রহন করা উচিত। তবে খেজুর খুব তাড়াতাড়ি শরীরে শক্তি জোগায় তাই এটি খাওয়া জরুরী।
সরাসরি চিনি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা উচিত কারন এতে রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়িয়ে ওজন বাড়াতে পারে।
বাইরের ভাজা পোড়া খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। দেখুন বাইরের খাবার তৈরি হয় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এবং যে তেলটি ব্যাবহার করা হয় তা স্বাস্থসম্মত মোটেও নয়। আর ভাজা পোড়া খেলে পেটে গ্যাসের সমস্যাসহ বুক জ্বালা শুরু হতে পারে। তবে বাসায় তৈরি করা এসব খাবার খাওয়া যেতে পারে তবে পরিমাণটা অবশ্যই নিজের সক্ষমতার মধ্যে হতে হবে।
ছোলা খেতে হবে ইফতারের। ছোলা শরীরে তৎক্ষণাৎ শক্তি যোগায়।
দই চিড়া, ইসুবগুল, ডাবের পানি এবং স্যালাইন খেতে পারেন। এগুলো শরীরের বেশ উপকার করবে।
ইফতার থেকে শুরু করে সেহরি পর্যন্ত অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে। অর্থাৎ সারাদিনের পানির চাহিদা রাতে পূরন করতে হবে।
সেহরিতে কেমন খাবার গ্রহণ করা উচিত ?
সেহরিতে সঠিক খাবার গ্রহণ করলে, সারাদিনের ক্লান্তি, মাথা ব্যাথা এমনকি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা যায়। তাই সঠিক খাবার গ্রহণ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সেহেরিতে গুরুপাক খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চললে রোজা ঠিকভাবে রাখা সম্ভব। তাই সবজি, মাছ খেতে হবে এবং যতটা সম্ভব মাংস এড়িয়ে চলতে হবে। সেহরিতে আপনি খেজুর গ্রহন করতে পারেন। এতেও সারাদিন শক্তি পাবেন। আর একটা বিষয় অনেকেই না খেয়ে রোজা রাখেন যা একদমই উচিত নয়। এতে রোজা সম্পূর্ণ হবেনা এবং শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে।
রোজা রাখার একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ এবং আত্মশুদ্ধি। তাই শুধুমাত্র খাবার উৎসব না ভেবে আসুন সঠিক নিয়মে রোজা রাখি। আর এটি সৌহার্দ্যপূর্ণ মাস তাই সবার প্রতি সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরন করি আর দানের হাত বাড়িয়ে দেই। প্রতিবছর চেষ্টা করি নিজের সাধ্যমতো কিছু মানুষকে ইফতার করানোর। আপনিও তা করতে পারেন এতে ভীষণ সোয়াব পাওয়া যায়। তাছাড়া যতটা সম্ভব এতিম মিসকিনদের দান করা উচিত।
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1510851017352826881?t=wUjJjrKP67nxq3ZTmF2pPg&s=19
রমজানে খাবারের বিষয় নিয়ে আপনি অনেক সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন । আপনার শেয়ার করা পোস্ট টি পড়ে অনেক ভালো লাগলো । আশা করি পরবর্তীতে আরও সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করবেন ।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
জি ভাই আমার পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই ♥️
খুব ভালো থাকুন দোয়া রইল 🥀
আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন যা অনেক ভালো লাগলো। ইফতারের সময় আমাদের নিয়মমাফিক স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত। আমরা রোজা লোক দেখানোর জন্য না রেখে সৃষ্টিকর্তার খুশির জন্য রাখব ইনশাআল্লাহ।
জি ভাই সত্যিই তাই নিয়ম মেনে খাবার খেলে সুস্থ থাকা যায়। আর ইফতার আমরা বেশি খেতে পছন্দ করি যা স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করার জন্য 💌
এ রমজানে দিনগুলোতে যেন আপনি সুস্থ শরীরে রোজা পালন করতে পারেন সেই দোয়া ও কামনা ব্যক্ত করলাম।
অনেক ধন্যবাদ ভাই ♥️
আপনার জন্য অনেক দোয়া রইল 🥀
ভাইয়া আপনি দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। আসলে আমাদের সকলেরই এসব খাবার মেনটেন করে চলা উচিৎ। আমরা জেনে না বুঝে অনেক খাবার খেয়ে ফেলি। এবং যেগুলো দরকার সেগুলো খাই না। যার কারণে আমাদের অনেক ক্ষতি হতে পারে সেটা আমরা নিজেও বুঝতে পারে না। আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু জানতে পেরেছি আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
জি আপু আমি আসলে সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করেই পোস্টটি করেছি।
অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Please check my new project, STEEM.NFT. Thank you!
রমজান মাসকে ঘীরে রেখে আপনি অনেক সুন্দর করে লিখছেন , যে রোজা থাকার পর কি কি খাওয়া ভালো আর কতটুকু খাবার খেলে শরীরের অনিয়ম হবে। অনেক উপকৃত হলাম। শুভকামনা
অনেক ধন্যবাদ ভাই। আমি চাই সবাই সুস্থ থাকুক। আর সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আমার আজকের পোস্টটি।
স্যার আপনাকে রমজানের শুভেচ্ছা। আপনি ঠিক বলেছেন স্যার। গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। পড়ে অনেক কিছুই শিখলাম। ভালো লাগলো। এভাবেই এগিয়ে যান আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময় এই কামনাই করি।
অনেক সুন্দর উপকারী একটা পোষ্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। সত্যিই আমাদের এ রমজান মাসে কি কি খাবার গ্রহণ করা উচিত তা আপনি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। সত্যি বলতে আমরা যেগুলো আমাদের দেহের জন্য ক্ষতিকর সে খাবারগুলি আমরা রমজান মাসে বেশি খেয়ে থাকি। তবে আমাদের সেগুলো এড়িয়ে চলা উচিত। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আসলে পোস্টটি সবার উদ্দেশ্যে করা। সবাই যাতে খাদ্য সচেতন হতে পারে এই রমজানের সময় তাই এই পোস্টটি করা।
অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই চমৎকার একটি মন্তব্যের জন্য 🥀
ভাই আপনি খুবই উপকারী একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আসলেই আমাদেরকে এই রমজান মাসে খাবার মেনটেন করে খাওয়া উচিত। এ আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে এই বিষয়টি আলোচনা করেছেন অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাই আর আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাই আসলে সবার উপকারের জন্য আমার পোস্টটি করা। সবাই যেনো খাবার নিয়ে সচেতন হতে পারে।