ময়মনসিংহ তাঁত ও বস্ত্র মেলা।
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন। গত কিছুদিন আগে আমি ময়মনসিংহ শহরের তাঁত এবং বস্ত্র মেলায় ভ্রমণ করেছিলাম। ইতিমধ্যে একটি পর্ব শেয়ার করেছিলাম, আজকে পরবর্তী পর্ব নিয়ে ফিরে এলাম। আজকের পর্বটি আশাকরি আপনাদের ভীষণ ভালো লাগবে।
মেলার ভেতরে কিছুটা হাঁটতেই চোখ পরলো মেয়েদের চুড়ি আর বিভিন্ন সাজগোজের দোকানের দিকে। আসলে প্রতিটি মেয়ে সাজগোজ করতে পছন্দ করে এবং তাদের কাছে এই জিনিসগুলোর বেশ কদর রয়েছে। যেহেতু আমার ঘরণী আমার সাথে ছিলেন না, তাই মোটামুটি ছবি তুলেই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারলাম। 😄
ছবির অবস্থান :- ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
এবার প্রবেশ করলাম, তাঁত ও বস্ত্র মেলার মূল আকর্ষণ বিভিন্ন কাপড়ের বাহারে। বিভিন্ন কোয়ালিটির শাড়ি, থ্রিপিস এবং মেয়েদের অন্যান্য পোষাক এখানে প্রচুর পরিমাণে ছিল। তবে একটা ব্যাপার খেয়াল করলাম, মানুষজন তেমন কেনাকাটা করছে না। আসলে মেলা সবেমাত্র শুরু হয়েছে তাই হয়তো সবাই দামটা পরখ করতে এসেছে। শেষের দিকে বেচাকেনা বাড়বে বলে সবাই আশা করেছ।
একটা মজার ব্যাপার হলো, অধিকাংশ কাপড়ের দোকানে প্রচুর ছেলে কাস্টমার দেখলাম। হয়তো তারা প্রিয়জনের জন্য কাপড় পছন্দ করার চেষ্টা করছে।
এগুলো বাবল তৈরির অস্ত্র পাতি 😅
মানে বাচ্চাদের বিনোদনের একটা মাধ্যম। আমার ছেলে এগুলো দেখলে অস্থির হয়ে যায়।
এই ছেলেটি নিপুণ দক্ষতায় তার বাবল ফুলানোর কারসাজি দেখাচ্ছে। ব্যাপারটা আমি খুব কাছ থেকে উপভোগ করার চেষ্টা করলাম। ঠিক আমার মতো অনেকেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তার এই কর্মকাণ্ড উপভোগ করছিলো।
পুরো মেলায় বিভিন্ন আর্টিফিসিয়াল ফুলের স্টল রয়েছে। তবে মানুষজন এগুলো বেশ লুফে নেয়। ফুলগুলো কিন্তু বেশ সুন্দর।
একটু ঘুরা ঘুরি করে বেশ খিদে চেপে যায়, এরপর মিষ্টি এবং বিভিন্ন মুখোরোচক খাবারের দোকান দেখতে পেলাম। লাড্ডু আমার ভীষণ পছন্দের খাবার, দোকানদারকে বললাম তিনটি লাড্ডু দিতে কারন আমরা তিনজন ছিলাম। যাইহোক বেশ তৃপ্তি সহকারে খাবারটি খেলাম।
যাইহোক এই এই ছিল আজকের আয়োজন। সামনের পর্বে তাঁত এবং বস্ত্র মেলা সম্পর্কে আরো বিস্তারিত আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত বিদায় নিলাম।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
https://x.com/emranhasan1989/status/1878831359076221397?t=5YxOBsd91oobGhEI2tIrTg&s=19
ময়মনসিংহ শহরের তাঁত এবং বস্ত্র মেলায় ভ্রমণ করতে গিয়ে সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন। প্রথম পর্ব দেখেছিলাম আজকে দ্বিতীয় পর্ব দেখা হয়ে গেলো। লাড্ডু খেতে আমিও পছন্দ করি। মেলায় গিয়ে লাড্ডু খাওয়ার মজাই আলাদা। পরিবার নিয়ে সাথে মেলায় গেলে বেশ ভালো খরচা হতো আপনার। ভালো লাগলো আপনার পোস্ট দেখে।
তাঁত ও বস্ত্র মেলায় গিয়ে দারুন সময় উপভোগ করেছেন ভাইয়া। পরিবার নিয়ে এরকম মেলায় ঘুরতে গেলে ভালো লাগে। মেলায় দেখছি বেশ সুন্দর সুন্দর শাড়ি এবং থ্রি পিস এসেছে। আসলে মেলার প্রথম দিকে কোথাওই খুব একটা বেচাকেনা হয় না। সবাই অপেক্ষা করে মেলার শেষে ব্যবসা হবে। মেলায় ভ্রমণ করার দ্বিতীয় পর্ব আমাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ময়মনসিংহ তাঁত এবং বস্ত্র মেলায় আপনি দারুন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। প্রথমেই হাতের চুড়ি ফটোগ্রাফি দেখে ভালো লাগলো। এটা আমার খুবই পছন্দ। বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করেছেন। বর্তমান সময় গুলোতে মানুষ মূলত মেলায় ঘুরতে যায়, কেনাকাটা খুব একটা করে না। তবে যাই হোক আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো। শেষে সবাই মিলে লাড্ডু খেয়েছেন । মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
এখনকার সময়ে মেলায় ঘুরতেই বেশি ভালো লাগে, কেনাকাটা তেমন ভালো লাগে না। আর দামটাও বেশি থাকে।
ময়মনসিংহ তাঁত ও বস্ত্র মেলায় ঘুরতে গিয়ে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। আসলে শীতকাল আসলেই যেন মেলার ধুম পড়ে যায়। আপনি মেলায় ঘুরে ঘুরে ফটোগ্ৰাফি করেছেন এবং সেটা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ময়মনসিংহ শহরের তাঁত ও বস্ত্র মেলায় গিয়ে দারুন সময় উপভোগ করেছিলাম আপনার সঙ্গে। এখন সবাই মূলত মেলায় যায় ঘোরাঘুরি করার জন্য, কেনাকাটা খুব কম করে। তবে আপনার সঙ্গে লাড্ডু খাওয়ার অনুভূতি দারুন ছিল,খেতেও খুবই সুস্বাদু ছিল। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।
মেলা গেলে অনেক ভালো লাগে। অনেক কিছু দেখা যায় এবং অনেক কিছু কিনতে খুব ইচ্ছে জাগে। আপনি ময়মনসিংহ তাঁত ও বস্ত্র মেলাতে গিয়েছেন শুনে ভালো লাগলো। হাতের চুড়ি গুলো বেশ সুন্দর। আর্টিফিশালি ফুল গুলো দেখতে সুন্দর লাগছে। বিভিন্ন ধরনের খাবার দেখে তো খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। ধন্যবাদ আপনাকে মেলাতে যাওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মেলায় ঘুরতে সবসময়ই দারুন লাগে, এটা একটা অন্যরকম অনুভূতি। চেষ্টা করেছি নিজের মতো উপস্থাপন করার।