দি থিওরি অফ এভরিথিং || বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং কে নিয়ে অসাধারণ একটি মুভি || ১০% @shy-fox এর জন্য
অফিশিয়াল পোস্টার স্কিনশর্ট থেকে নেওয়া হয়েছে
আমার প্রিয় স্টিমিট বন্ধুরা,
আমি বাংলাদেশ থেকে @emonv
আজ সোমবার , মার্চ ০৭/২০২২
মুভিটির কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী
নাম | দি থিওরি অফ এভরিথিং |
---|---|
পরিচালক | জেমস মার্শ |
অভিনয় | টিম বেভান ,এরিক ফেলনার,লিসা ব্রুস, অ্যান্থনি ম্যাকার্টেন। |
দৈর্ঘ্য | ১২৩ মিনিট |
ভাষা | ইংরেজি |
মুক্তির তারিখ | ১ জানুয়ারি ২০১৫ (যুক্তরাজ্য) |
দেশ | যুক্তরাজ্য |
নির্মাণ ব্যয় | $১৫ মিলিয়ন |
আয় | $১২৩.৭ মিলিয়ন |
মুভির সারসংক্ষেপ
স্কিনশর্ট থেকে নেওয়া হয়েছে
এই মুভিটি মূলত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং এর জীবনী নিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে । এই মুভির প্রধান চরিত্র হচ্ছে হকিং অর্থাৎ স্টিফেন হকিং। মুভির প্রথম আমাদের দেখানো হয় স্টিফেন হকিং এবং তার বন্ধু একটি সাইকেলে করে পার্টিতে যাচ্ছে তাদের ক্যাম্পাসে একটা বড় পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। এই পার্টিতে ইউনিভার্সিটির সকল ছাত্র-ছাত্রী দের ইনভাইট করা হয়েছে এবং সকলেই এখানে এসে আনন্দ মজা করছে। এই পার্টি থেকে মূলত স্টিফেন হকিং এর সঙ্গে এই মুভির নায়িকা অর্থাৎ জেনের পরিচয় হয়। এই পার্টিতে স্টিফেন হকিং এর সঙ্গে সাধারণভাবে জেনের কথাবার্তা চলতে থাকে এবং কথাবার্তায় উঠে আসে স্টিফেন হকিং একজন সাইন্টিস্ট এবং জেন শিল্পকলায় পড়াশোনা করছে। এভাবে কথা বলতে, বলতে জেনের স্টিফেন হকিংকে অনেক ভালো লেগে যায় এবং কথা বলা শেষের দিকে যে স্টিফেন হকিং কে তার নাম্বার দিয়ে যায়।
স্কিনশর্ট থেকে নেওয়া হয়েছে
স্টিফেন হকিং-এর ভার্সিটির প্রফেসর তাদের এলাকার যতগুলো ব্রিলিয়ান্ট ছাত্র ছাত্রী রয়েছে তাদেরকে নিয়ে একটি বিশেষ ক্লাস করতে অন্য একটি শহরে যান । এটি মূলত ব্রিলিয়ান্ট ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে একটি ক্লাস এটি অনেকটা হায়ার স্টাডির মত। এখানে একজন প্রফেসর ব্ল্যাকহোল সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছিল তখন স্টিফেন হকিং ব্ল্যাক হোল মহাজগৎ এবং মহাশূন্য নিয়ে অনেক ভাবছিল এবং এটা বোঝার চেষ্টা করছিল যে ব্ল্যাক হোল কিভাবে কাজ করে এবং ব্ল্যাকহোলের একটা ধর্ম হচ্ছে এর ভিতরে আলো প্রবেশ করতে পারে না এই বিষয়গুলো নিয়ে সে নিজে নিজে গবেষণা করছিল। এদিকে স্টিফেন হকিংয়ের নতুন বন্ধু অর্থাৎ জেন এর সঙ্গে স্টিফেন হকিং-এর অনেক ভালো একটা সম্পর্ক হয়ে গেছে। স্টিফেন হকিং জেনকে তাদের বাড়িতে খাওয়ার জন্য ডেকেছে স্টিফেন হকিং এর মা অনেক সুন্দর ভাবে মুরগির রোস্ট তৈরি করে এটি খাওয়ানোর জন্যই জেনকে বাড়িতে ডাকা হয়েছে।
স্কিনশর্ট থেকে নেওয়া হয়েছে
এখন স্টিফেন হকিং এর সময় অনেক ভালো কাটছে এবং এভাবে অনেক দিন চলে যাওয়ার পরে হঠাৎ একদিন স্টিফেন হকিং রাস্তায় পা পিছলে পড়ে যাই ।এবং তার পায়ের সঙ্গে পা অটোমেটিক বেঁধে যায় এটা সে অনেকদিন ধরে খেয়াল করছে যাইহোক সেজন্য তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ডাক্টর তাকে বলে তার একটা জটিল রোগ হয়েছে যার ফলে তার পা হাত এবং শরীরের অন্যান্য মাংসপেশিগুলো ধীরে ধীরে কাজ করা বন্ধ করে দিবে শুধুমাত্র মস্তিষ্ক পেশীগুলো সতেজ থাকবে । এটি শুনে তার দুনিয়াটাই পাল্টে যায় এবং সেইসাথে ডাক্তার আরো বলে আপনি শুধু মাত্র দুই থেকে তিন বছর বাঁচবেন। এই কথাটি শুনে স্টিফেন হকিং-এর মনে তার স্বপ্নগুলো উত্থান পাতান করে ওঠে। তার স্বপ্ন ছিল এই মহাবিশ্ব কে নিয়ে অনেক কিছু করবে কিন্তু তার যদি এমন দূর দশা হয় সেক্ষেত্রে সে এগুলো কিভাবে করবে ? কিছুদিন এমন কেটে যাওয়ার পরে সে সিদ্ধান্ত নেয় যে তার যাই হয়ে যাক না কেন তার স্বপ্ন সে পূরণ করেই তারপরে থামবে। এবার তার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সে কাজ করতে শুরু করে দেয়।
স্কিনশর্ট থেকে নেওয়া হয়েছে
যতদিন যেতে থাকে স্টিফেন হকিং-এর শরীরটা ততো বেশি খারাপ হতে থাকে। সেই সাথে তার হাত-পা এর মাংসপেশিগুলো দিন, দিন কাজ করা বন্ধ করে দিতে থাকে। এক পর্যায়ে সে যখন হুইলচেয়ারে বসে যাই তখন বিশ্ব বিখ্যাত ইন্টেল কোম্পানি তাকে সাহায্য করে এবং তাকে একটি এমন কম্পিউটার তৈরি করে দেওয়া হয় যে তার হাতের আঙ্গুলের ইশারা এবং মুখের অঙ্গভঙ্গি দেখে ওই কম্পিউটার টাইপ করতে পারবে এবং এটি করার জন্য স্টিফেন হকিংকে একটি মেয়ের ট্রেনিং দেয় । যাইহোক ট্রেনিং দেওয়া শেষে স্টিফেন হকিং অনেকটা স্বাভাবিক মানুষের মত কথা বলতে পারে ওই মেশিনের সাহায্যে। এভাবে স্টিফেন হকিং স্বপ্নের তার উপরে কাজ করতে থাকে অর্থাৎ মহাবিশ্ব অথবা মহাশূন্য কে নিয়ে গবেষণা করতে থাকে এবং অবশেষে সে আমাদেরকে ব্ল্যাক হোল, ইউনিভার্স এর মত অনেক বড় বড় বিষয়ের উপরে ধারণা দেয় যেটা আমাদের জন্য অনেক বড় একটা পাওয়া ছিল এবং এগুলো সে প্রকাশ করে একটা বইয়ের মাধ্যমে সেই বইটির নাম হচ্ছে দি ব্রিফ হিস্ট্রি অফ টাইমএভাবেই মুভিটি শেষ হয়ে যায়।
মুভি থেকে পাওয়া শিক্ষা
মুভিটি থেকে আমরা এই শিক্ষাটা নিতে পারি যে আপনার জীবনের যত বড় খারাপ সময় আসুক না কেন আপনি যদি আপনার লক্ষ্যে স্থির থাকেন আপনার লক্ষ্য অবশ্যই একদিন পূরণ হবে ইনশাআল্লাহ। এছাড়াও আপনি এই মুভিটি দেখলে আমাদের মহাবিশ্ব সম্পর্কে অনেক কিছু ধারণা আসবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে স্টিফেন হকিং কে অনেক পছন্দ করি। তার জীবনে অসম্ভব স্ট্রাগল গিয়েছে তবে সে হার মানেনি।
মুভিটির আইএমডিবি রেটিং
আমার ব্যক্তিগত রেটিং
- ১০% বেনিফিসার প্রিয় @shy-fox কে দেওয়া হয়েছে।
❤️ধন্যবাদ!!!❤️
[[প্রিয় স্টিমিট ইউজারগন,,]]"ইমন ব্লগ" এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। আমার নাম মোঃ ইমন রেজা। বর্তমানে আমি একজন মাধ্যমিক শিক্ষার্থী। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাই নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি।
একজন বিখ্যাত বিজ্ঞানীর সম্পর্কে জানলাম। তার জীবনের কিছু অংশ লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরাটা খুব সহজ ছিলনা বলে আমার কাছে মনে হয়।যা আপনি সহজ ভাবে প্রকাশ করেছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
স্টিফেন হকিং একজন বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানীর নাম।মহাবিশ্ব নিয়ে মহাতত্বের অবতারণা করেছেন।বিগব্যাং নিয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রদান করেছেন।বিজ্ঞানের ছাত্র হওয়ার সুবাদে তার সম্বন্ধে আগে থেকেই ধারনা ছিলো।
ছবিটি স্টিফেন হকিং এর কঠিন জীবনের বাস্তবতাকে তুলে ধরেছে।এটা থেকে দারুন শিক্ষা নেওয়া যায়।
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় এমন একটি সুন্দর বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক ধরেছেন ভাই আপনিতো স্টিফেন হকিং সম্পর্কে অনেক কিছু জানেন । ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়ার কারনে কিছুটা ধারনা ছিলো।তবে আপনি চমতকার উপস্থাপন করেছেন শ্রদ্ধেয়।
টুইটার শেয়ার লিংক
ভাই আপনার পড়া মুভিটি আমার এখনো দেখা হয় নাই। তবে আপনার কাছ থেকে পরে অনেক কিছুই জানলাম। একজন বিজ্ঞানী কে নিয়ে মুভি অনেক ভালো হয়েছে। আপনার বর্ণনায় মুভি বিষয়বস্তুগুলো খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ
মুভিটা দেখতে পারেন ভাই আশা করি অনেক মজা পাবেন ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি খুব সুন্দর একটি মুভি রিভিউ করেছেন। আমি দি থিওরি অফ এভরিথিং মুভিটি দেখেছি। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে হে মুভির চরিত্রগুলো খুবই অসাধারণ। মুভিটি থেকে অনেক কিছু শিখার রয়েছে। এত সুন্দর মুভি রিভিউ করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
আপনাকেও আমার মনের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাই ।
খুব অসাধারণ একটি মুভি রিভিউ করেছেন আপনি। মুভি রিভিউ পোস্ট আমার কাছে খুবই ভালো লাগে দেখতে। কারণ যে মুভিগুলো আমি এখনো দেখিনি সেই মুভি গুলো দেখতে সুবিধে হয়। আপনি খুব চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আমি এই মুভিটা দেখি নি সময় করে দেখে নিব। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
মহাবিশ্ব সম্পর্কে ইন্টারেস্টিং আপনি যদি হন সেক্ষেত্রে মুভিটা দেখতে পারেন ধন্যবাদ আপনাকে।