লাইফ স্টাইল পোস্টঃ- বাইকের ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন
আজ - শুক্রবার
বাইক প্রত্যেকটা ছেলের শখের একটা জিনিস। আমি অনেক কষ্ট এবং অনেক পরিশ্রম করার পরেই এই বাইকটা অর্জন করতে পেরেছিলাম তাই আমি বাইকটাকে সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং যত্ন করতে অনেক বেশি পছন্দ করি। আজকে আমি এই লাইফটাই পোস্টে বাইকের ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তনের মুহূর্ত আপনাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেব আশা করি আপনাদের আজকের পোস্টটি ভালই লাগবে তবে চলুন শুরু করি। অন্যান্য ১৬০ সিসি বাইকের তুলনায় 4v তে ইঞ্জিন অয়েল একটু বেশি লাগে যেমন সুজুকি জিক্সার এ অথবা ১৫৫ এবং ৬০ সিসি সেগমেন্টের যে বাইকগুলো রয়েছে এগুলোতে প্রায়ই ৭৫০ মিলি থেকে ৮৫০ মিলি এর মধ্যেই হয়ে যায় কিন্তু 4v তে সেখানে ১২০০ মিলি ইঞ্জিন অয়েল দেওয়া লাগে যার কারণে দামটা একটু বেশি পড়ে যায়। যাইহোক তবুও আমি আমার সাধ্যের মধ্যে এটি ১০০০ কিলো থেকে শুরু করে ১৫০০ কিলোর এর মধ্যেই পরিবর্তন করে ফেলার চেষ্টা করি। তবে বাইক চালিয়ে একটা নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে সেটা হচ্ছে বাইকের ড্রাইভিং লাইসেন্স,ট্যাক্স টোকেন এবং রেজিস্ট্রেশন না থাকার কারণে নিজের টাকার বাইক কিনেও অনেকটা লুকিয়ে চুরিয়ে বাইক চালাতে হয়।
![]() |
---|
কারণ যদি রাস্তায় কোন সার্জেন বাইক আটকায় তাহলে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মামলা দিবে নিশ্চিত। আসলে এখন পর্যন্ত আমার এনআইডি কার্ডটা করতে পারিনি এই বছরে 18 বছর হয়ে গেছে তবে এন আই ডি কার্ড করার চেষ্টা করেছিলাম ওনারা বললেন যে আগামী বছর করতে। আমি ঠিক বলতে পারলাম না এটা কিসের জন্য উনারা করলেন কারণ আমাদের গ্রামে অনেক ছেলে মেয়ে রয়েছে যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে কিন্তু তাদের আইডি কার্ড হয়ে গেছে। কিন্তু আমার তো ১৮ বছর হয়ে গিয়েছে তবুও এমনটা করতেছে। আম্মু বলেছিল যে হয়তোবা কোন স্থায়ী লোকে সাহায্য নিয়ে এ কাজটি সম্পন্ন করতে হবে দেখি আমার এক্সামটা শেষ হলে এমন কিছু একটা করার চিন্তাভাবনা রয়েছে। বাইক সার্ভিস এবং ওয়াশ করার জন্য আমার বিশ্বাসের জায়গা হচ্ছে গাংনী শহর কারণ এখানে অনেক সুলভ মূল্যেই বাইকে সকল রকম সার্ভিস করা যায়। সেইসাথে রাসেলের দোকানে গেলে অনেক ক্ষেত্রে অনেক জিনিস এর প্রতি ছাড় পাওয়া যায়। যেমন আমি যদি শোরুম থেকে বাইকের ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করি সে ক্ষেত্রে ১০০০ টাকা করে নিয়ে থাকে কিন্তু যদি রাসেলের দোকানে যাই সে ক্ষেত্রে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকার মধ্যেই হয়ে যায়।
![]() |
---|
সেদিন সকালবেলায় ভয়ে ভয়ে চলে গেলাম বাইকটা নিয়ে ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করার জন্য। কারণ আমাদের এই গাংনী শহরে অনেক সার্জেন্ট রয়েছে মাঝেমধ্যে বাইক আটকে থাকে ওই জন্য একটু ভয় ,ভয় লাগে গাংনী যেতে। তবে কি আর করার যদি পরিবর্তন করা না হয় সেক্ষেত্রে ইঞ্জিনের অনেক রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে এমনকি ইঞ্জিন সিজ পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। সেজন্য সবকিছু মেনে নিয়েই চলে যেতে হয় গাংনীতে। তো ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তনের পাশাপাশি আমি ইঞ্জিন ফিল্টারটাও পরিবর্তন করে নিলাম কারণ এই দুটো যদি একসঙ্গে পরিবর্তন করা যায় সে ক্ষেত্রে বাইকের পারফরমেন্স আর ভালো হয়। ইঞ্জিন ফিল্টারটার দাম তেমন একটা বেশি না তবে এটি ইঞ্জিন অয়েল দুইয়ের অধিক পরিবর্তনের পরে ব্যবহার করলে সবচেয়ে বেশি ভালো হয়। তো ওখানে গিয়ে রাসেলের হাতে বাইকটা ছেড়ে দিলাম এবং ও সবকিছু দেখে শুনে রক্ষণাবেক্ষণ করে সবকিছু পরিবর্তন করে দিল। এবার আমি সবশেষে বিলটা মিটিয়ে দিয়ে বাড়ির দিকে আবার রওনা হলাম। এ পর্যন্ত বাইক অনেক চালিয়েছি তবে সেদিন হঠাৎ করে এমন একটা এক্সিডেন্ট হয়ে গেছিল যে আমার মুখে কোন কথাই ছিল না।
![]() |
---|
আমার ভাষ্যমতে ওই এক্সিডেন্টে আমার হয়তোবা কোন দোষ ছিল না, কারণ আমি বাইক ধীরে, ধীরে চালাচ্ছিলাম কিন্তু কোথা থেকে একটা কুকুর এসে ছুটে আমার বাইকের সামনের চাকার সাথে ধাক্কা দিয়ে দিল। ধাক্কা দেওয়ার সাথে, সাথে আমি অনেকটা ঘাবড়ে গেলাম এবং সামনের এবং পিছনের দুটা ব্রিকই খসে ধরে ফেললাম তারপর বাইকটা দাঁড়িয়ে যায় কারণ আমি যদি ওখানে বাইক না থামাতাম তাহলে হয়তো বা কুকুরটা মারা যেতে পারতো তবে ব্রেকটা ধরার সাথে, সাথে আমি গাড়ি থেকে ছিটকে পড়ে গেলাম আর আমার হাত এবং হাতের বাম পাশ রাস্তার সাথে অনেকক্ষণ ঘষা খেলো এবং কিছুক্ষণ পরে হাত এবং এক পাশের অবস্থা মোটামুটি খারাপ হয়ে গেল। তবে আল্লাহ তায়ালার রহমতে হাত-পা কিছু ভাঙ্গে নাই কিছুদিন হয়তো কষ্ট হয়েছিল কিন্তু তারপরে ঠিক হয়ে গেছে এখন। সেদিন বুঝতে পারলাম যে বাইক চালানোর সময় অবশ্যই চোখ কান খোলা রাখতে হবে তাহলে হয়তোবা অ্যাক্সিডেন্ট অনেক ক্ষেত্রে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব। তবে আমি একটা জিনিস মেনে চলি সেটা হচ্ছে প্রত্যেকটা ব্যাক এবং কোন একটা সমস্যা হলেই আমি বাইকের হন ব্যবহার করে থাকি সেক্ষেত্রে সবাই সাবধান হয়ে যায় এবং নিজের নিরাপত্তা টা একটু বেড়ে যায়।
![]() |
---|
যাইহোক এই ছিল আজকের পোস্ট আশা করি আপনারা যে কোন যানবাহন চালানোর সময় সাবধানে চলাফেরা করবেন সে ক্ষেত্রে এক্সিডেন্টের হাত থেকে বেঁচে যাবেন। ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে এতক্ষন পাশে থেকে ব্লগ টি উপভোগ করার জন্য আবার খুব শীঘ্রই দেখা হচ্ছে নতুন কোন পোস্টে ততক্ষণ সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন আল্লাহ হাফেজ ❤️
ব্লগার | @emonv |
---|---|
ডিভাইস | Infinix note 11 pro |
শ্রেণী | ক্রিয়েটিভ রাইটিং |
আমার নাম মোঃ ইউনুস আলী ইমন। বর্তমানে আমি সিরাজগঞ্জ মৎস ইনস্টিটিউট এর একজন ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করছি। এছাড়া পরিচয় দেওয়ার মতো এখনো কিছু করে উঠতে পারেনি তবে নিজের ব্যক্তিত্ব এবং ক্যারিয়ারের উপরে কাজ চলমান......। আমি নিজেকে ভেঙে চুড়ে নতুন করে আবিষ্কার করতে অনেক পছন্দ করি এবং আমি মানুষকে সাহায্য করতে অনেক ভালোবাসি। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাতে নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি। আপনাকে স্বাগতম আমার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হওয়ার জন্য। ভালোবাসা রইলো অবিরাম সবাইকে 💝।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
![]()
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মাঝেমধ্যে নিজেদের গাড়িগুলো এভাবে সার্ভিসিং করলে ভালো থাকে। বেশ অনেকদিন হয়ে যাচ্ছে আমাদের গাড়িতে মবেল চেঞ্জ করতে হবে। যাহোক ইঞ্জিন সার্ভিসিং এর এই সুন্দর মুহূর্ত দেখে ভালো লাগলো। গাড়িটা কি বাড়িতে রয়েছে না কোথায়?
হঠাৎ করে কুকুর কিংবা কোন প্রাণী যদি সামনে চলে আসে তখন ব্রেক করা অনেক কঠিন হয়ে যায়। আর অনেক সময় বড় ধরনের বিপদ ঘটে যায়। তাই আমাদেরকে সাবধানে বাইক চালানো উচিত। বাইকের ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করেছেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া।