আত্মবিশ্বাস!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ইঞ্জিনিয়ারিং হলো একটা সার্বজনীন পেশা। কেন এই কথা বলছি। কেউ মেডিকেল পড়লে সে ডাক্তার হয়, কেউ আইন পড়লে আইনজীবী হয় কেউ তো আবার ব্যবসা নিয়ে পড়ে। কিন্তু একমাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাই আছে যারা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে কিন্তু সবসময় ইঞ্জিনিয়ার হয় না। কেউ সাংবাদিক, কেউ ব্যবসায়ী, কেউ লেখক আবার কেউ বা অভিনেতা হয়ে যায়। এটা একেবারে বাস্তব। অবস্থা টা এমন ইঞ্জিনিয়ার দের সব জানতে হবে। এবং মজা হলেও ব্যাপার টা সত্যি আসলেই ইঞ্জিনিয়ার রা সব পারে। এরা পরীক্ষার আগের রাতে পড়ে সিলেবাস শেষ করতে পারে। এইজন্যই ডিপ্লোমায় থাকতে আমরা মজা করে বলতাম ইঞ্জিনিয়ার রা সব পারে। এমন কিছু নেই যা আমরা পারি না হা হা। এখন পযর্ন্ত যে কত বিষয় পড়েছি তার কোন ঠিক নেই।
আমি ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাএ। এই সাবজেক্ট টার সাথে আছি প্রায় ৫ বছর। প্রথমে ডিপ্লোমা এবং বতর্মানে ব্যাচেলর করছি। এই সেমিষ্টারে আমাদের একটা সাবজেক্ট আছে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং। প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ হিসেবে "সি" নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে ফ্যাকাল্টি থেকে। গত শুক্রবার আমার এই প্রোগ্রামিং সাবজেক্ট টা পরীক্ষা ছিল। মোটামুটি ভালো হয়েছে আমার পরীক্ষা। কিন্তু মজাটা শুরু হয় পরীক্ষা দিয়ে আসার পরে। যেখানে আমাদের কোর্স শিক্ষক নিজের অসাধারণ একটা বুদ্ধির পরিচয় দিয়েছেন। প্রশ্নপত্র দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উনি বলেছেন সবার প্রশ্নের উপর নিজের নাম লিখতে। এবং আমাদের ইউনিভার্সিটি পরীক্ষার পরে আমাদের প্রশ্ন নিয়ে নেয় খাতার সঙ্গে।
মোটামুটি পরীক্ষা শেষ করে যখন বাইরে আসি তখন একটা ঝামেলা হয়ে যায়। কারণ আমাদের মধ্যে কয়েকজনের মধ্যে একটা কন্ট্রোভার্সি সৃষ্টি হয়। কেউ বলে সর্বোচ্চ মান বের করার প্রোগ্রাম করতে বলেছিল আবার কেউ বলছে সর্বনিম্ন। অনেকেই আবার প্রশ্ন পড়েনি অন্যজনের টা দেখে লিখে দিয়েছে। কিন্তু আমি ভালো'ভাবেই দেখেছিলাম আমার প্রশ্নে উল্লেখ ছিল সর্বোচ্চ সংখ্যা কোনটা এইটা বের করার প্রোগ্রাম লিখতে। আমি সেই অনুসারেই লিখে আসি। কিন্তু বাইরে এসে অন্যদের কথা শুনে বেশ ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় । মোটামুটি বেশ কয়েকটা প্রশ্নে এইরকম বিভ্রান্তি ছিল। একজনের সঙ্গে অন্যজনের মিলছে না। আমি তো চিন্তাই পড়ে যায়। যেখানে আমি ৮০% এর বেশি পাব সেখানে আমার মার্ক অনেক কমে আসছে আমার হিসেবে।
কিন্তু আমার তো এতোবড় ভুল হওয়ার কথা না। যদিও প্রশ্নপত্র পাওয়ার পরে আমি বেশ উওেজিত হয়ে গিয়েছিলাম কিন্তু এতোবড় ভুল আমি করিনি। এরপর আরও কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে ব্যাপার টা নিশ্চিত হয়ে যায়। স্যার আমাদের প্রশ্ন ঘুরিয়ে দিয়েছেন। অর্থাৎ কাউকে বলেছেন সর্বোচ্চ সংখ্যা বের করার প্রোগ্রাম করতে আবার কাউকে সর্বনিম্ন। কাউকে বলেছে সেলসিয়াস থেকে ফারেনহাইট এ তাপমাত্রা বের করার প্রোগ্রাম করতে আবার কাউকে তার উল্টা টা। এইজন্যই হয়তো উনি আমাদের প্রথমেই বলেছেন প্রশ্নের উপর নাম লিখতে এবং পরীক্ষার শেষে সেটা খাতার মধ্যে দিয়ে দিতে। যদিও এটা উনার চালাকি। উনি আমাদের আগে এই বিষয়ে বলেনি যে আমাদের প্রশ্নে এইরকম ভিন্নতা থাকবে। সাধারণত পরীক্ষার হলে সবার প্রশ্ন একই থাকে।
এই ঘটনা থেকে আমি আরও কিছু বিষয় ক্লিয়ার হয়ে গিয়েছি। বেশ কিছু জিনিস শিখেছি। অন্যের কথায় কখনোই প্ররোচিত হওয়া যাবে না। সর্বদা নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মনের অনুভূতি গুলো খুব চমৎকার ভাবে তুলে ধরেছেন। পোস্ট পড়ে এটা বেশ বুঝতে পেরেছি আপনি ঠিক উত্তরটাই লিখেছেন।আমিও একবার কিছু পড়ে বেশ ভালো ভাবে বুঝে নেই।তবে অন্যের কথায় বিশ্বাস হারালে টেনশনে মরে যাওয়ার মতো ই হয়।এজন্য নিজের প্রতি নিজের আত্মবিশ্বাস ভীষণ দরকার।
যখন আমাদের পরীক্ষার সময় সেট ভিন্ন থাকতো তখন আসলে প্রশ্নগুলো এলোমেলো হয়ে গেলেই আমাদের নিজেদের মধ্যে পরীক্ষার পর একটা ঝামেলা হয়ে যেত এভাবে। যাইহোক পরবর্তীতে স্যারের এই কাজটার কথা আমি শুনে নিজেই হাসছি। কারণ যেখানে আপনারা নিজেরা নিজেদের মতো করে দিয়ে এসেছেন সেখানে পরীক্ষার পর আপনারা নিজেরাই নিজেদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন। তবে এভাবেই নিজের প্রতিভা দেখা যায়।
আপনার লেখাগুলো পড়ে ভালো লাগলো। আমরা সব সময় পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে অন্যদের কথা শুনে নিজেদের উত্তর ভুল মনে করে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস থাকা দরকার আপনার লেখাটা পড়ে বেশ ভালো বুঝলাম। ঠিক বলেছেন ভাইয়া ইঞ্জিনিয়ারিং হলো একমাত্র যেটা পড়ার পর সবাই ইঞ্জিনিয়ার হয় না একেক জন একেক পেশায় নিয়োজিত হয়। খুব ভালো লাগলো আপনার লেখাগুলো পড়ে।