মাদ্রিদ ডার্বি!!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
Bein Sports channel থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া।
মাদ্রিদ ডার্বি ব্যাপার টা আপনাদের অজানা থাকতে পারে। তবে যদি আপনি ফুটবল দেখেন তাহলে বলব এটা আপনার কাছে পরিচিত। স্প্যানিস লীগের মাদ্রিদের দুই ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ এবং অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের মধ্যে যখন ম্যাচ হয় সেটাকে বলা হয় মাদ্রিদ ডার্বি। এরা একে অন্যের রাইভাল। গতকাল রাতে ছিল মাদ্রিদ ডার্বি। তবে উওেজনার চেয়ে আমার ভয় করছিল বেশি। রিয়াল মাদ্রিদে রয়েছে অনেক গুলো ইঞ্জুরি সমস্যা। বিশেষ করে ডিফেন্স লাইনের অবস্থা খুবই বাজে। প্রায় সবগুলো ডিফেন্ডার ইঞ্জুরিতে। কিন্তু একটু ভরসা ছিল ম্যাচটা ছিল রিয়ালের ঘরের মাঠে সান্তিয়্যাগো বার্নাব্যুতে। রিয়াল মাদ্রিদ মাঠে নামে ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে। অন্যদিকে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের ফর্মেশন ছিল ৪-৪-২। ম্যাচটা ছিল বাংলাদেশ সময় রাত ২ টাই।
পয়েন্ট টেবিলে এই দুই দলের পয়েন্ট ব্যবধান মাএ ১। এইজন্য অবস্থা টা এমন ছিল ম্যাচে যে জিতবে সেই শীর্ষস্থান দখল করবে। সঠিক সময়ে খেলা শুরু হয়। শুরু থেকে রিয়াল মাদ্রিদ বল দখলে কিছুটা পিছিয়ে পড়ে। অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ অধিকাংশ বল দখলে রেখে আক্রমণ বিল্ডআপ করতে থাকে। তবে খুব একটা পজেটিভ আক্রমণ করতে একেবারেই পারছিল না। কিছুক্ষণ পর রিয়াল মাদ্রিদ বল নিয়ন্ত্রণে আধিপত্য বৃদ্ধি করে। বেশ গুছিয়ে খেলছিল। তবে কাউন্টার অ্যাটক করছিল অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। সেরকম কোন ভালো কিছু করতে তারা পারছিল না। তবে যখন কাউন্টার অ্যাটাক করছিল আমার বেশ ভয় করছিল। কারণ ডিফেন্সের যে বাজে অবস্থা কখন জানি গোল খেয়ে যায়। এভাবে বেশ কিছুক্ষণ খেলা চলে।
ম্যাচের তখন ৩৪ মিনিট। রিয়াল মাদ্রিদ ডিবক্সে চুয়োমিনি ফাউল করে লিনো কে। তবে সেটা সেরকম হার্ড কোন ট্যাকেল ছিল না। এবং টাচ হয়েছিল খুবই সামান্য। কিন্তু রেফারি ভিএআর চেক করে পেনাল্টি দেয় অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ কে। এটা বিতর্কিত পেনাল্টি ছিল বলা যায়। রেফারির এই সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ করে মাদ্রিদ খেলোয়ার রা। যাইহোক পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে লিড এনে দেয় হুলিয়ান আলভারেজ। ০-১ গোলে পিছিয়ে থেকে প্রথমার্ধের খেলা শেষ করে রিয়াল মাদ্রিদ। উল্লেখ করা ভালো প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষের গোলে কোন শর্ট করতে পারেনি রিয়াল মাদ্রিদ। তবে দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে খেলার ধরণ পাল্টে যায় রিয়াল মাদ্রিদের। আক্রমণ করতে থাকে। ডানদিকে রদ্রিগো বাম দিকি ভিনিসিয়াস দারুণ ভাবে বল নিয়ে ঢুকে যাচ্ছিল অ্যাতলেটিকো এর রক্ষণভাগে।
ম্যাচের ৫০ মিনিটে দারুণ ভাবে কয়েকজন কে ড্রিবল করে ডিবক্সে ঢুকে পড়ে রদ্রিগো। সুন্দর করে বল বাড়িয়ে দেয় বেলিংহাম কে। বেলিংহাম এর শর্ট প্রতিহত করলেও ফিরতি শর্টে দারুণ একটা গোল করে কিলিয়ান এমবাপ্পে। সমতায় রিয়াল মাদ্রিদ। গোল করার পরে রিয়াল মাদ্রিদ একের পর ওক আক্রমণ করতে থাকে। রীতিমতো দিশেহারা হয়ে যায় অ্যাতলেটিকো। ভিনিসিয়াস এর দেওয়া বলে বেলিংহাম হেড দিলে সেটা ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়। আরও দারুণ কিছু আক্রমণ করে রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু প্রতিবারই বাঁধা হয়েছে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক ওবলাক। দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ ফুটবল উপহার দেয় রিয়াল মাদ্রিদ।তবে অনেক চেষ্টা করেও গোল করতে পারেনি তারা। ম্যাচ শেষ হয় ১-১ এর সমতায়। পয়েন্ট ভাগাভাগি করে দুই দল। মধ্যমাঠে অসাধারণ পারফরম্যান্স করে দানি সিবালোস। বলতে গেলে মধ্যমাঠে অ্যাতলেটিকো এর খেলোয়ারদের সে একাই নাচিয়েছে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
যেহেতু এক পয়েন্টের ব্যাপার তাই দুই দলই চাইবে নিজেকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রাখতে আর এজন্যই হয়তো ম্যাচটি অনেক জমজমাট হয়েছে। তবে ম্যাচটি যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে এটা আশা করাই যায়। রিয়াল মাদ্রিদের অনেক প্লেয়ার আছে যারা সেই রকমের ফর্মে আছে। দুই দ্বারা অনেক ভালো খেলেছে যার কারণে ফলাফল সমতায় রেখে ম্যাচ শেষ হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এই ম্যাচটি রিয়াল মাদ্রিদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল । পয়েন্ট ব্যবধান আরো বাড়িয়ে নেওয়ার দারুন একটা সুযোগ ছিল। কিন্তু সেই সুযোগটি হাতছাড়া করেছে। তাছাড়া ফুটবলের সকল ধরনের খেলা থেকে মার্সেলো বিদায় নিয়েছে । যেটা অনেক কষ্টের ছিল । যাইহোক, প্রিয় লিজেন্ডদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।