পঞ্চবিশ্বাসের মেলা ভ্রমণ। ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আমাদের বাঙালীদের কাছে মেলা একটি অতীব পরিচিত একটি উৎসব। এটা বাঙালির ঐতিহ্য বলা যায়। আগে প্রচুর পরিমাণ মেলার আয়োজন করা হলেও বর্তমানে মেলার প্রভাব ততটা নেই। কেন জানি না মেলা টা প্রায় বিলুপ্তির পথে। আমার শহর কুমারখালীতে একটি জায়গাই প্রতিবছর দূর্গা পুজোর পরের দিন মেলা হয়। মেলা টার নাম পঞ্চবিশ্বাসের মেলা বলা হয়ে থাকে। পঞ্চবিশ্বাস এর বাড়ির আঙ্গিনায় সর্বপ্রথম এই মেলার প্রচলন করে। গতকাল দূর্গা পুজোর পরের দিন যথারীতি মেলা টা অনুষ্ঠিত হয়। আমি গিয়েছিলাম সেখানে ঘুরতে। আজ এই বিষয়ে আপনাদের সাথে কথা বলব। সবাই সাথেই থাকুন।এই পোস্টের ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।
আমি অনেক ছোটবেলা থেকেই এই মেলা দেখে আসছি। কিন্তু গতবছর করোনার কারণে এই মেলার আয়োজন করা হয় নাই। এবং আমিও কয়েকবছর এই মেলায় যেতে পারি নাই। বলা যায় দীর্ঘ চারবছর পর এইবার পঞ্চবিশ্বাসের মেলায় গিয়েছিলাম। শনিবার মেলা হবে এটা আমার বন্ধু নাভিদ আমাকে বলে। কারণ নাভিদের বাড়ির পাশেই মেলাটা হয়। তাই আমি এবং আমার বন্ধু নাভিদ ইকরা তুহিন মেলায় যাওয়ার প্ল্যান করি। যথাসময়ে আমরা কোচিং এ যায়। আমাদের কোচিং শেষ হয় ৫:৩০ এর সময়। তখন আমরা মেলায় যায়। তখনও মেলা সেরকম জমে নাই।
এরপর আমি এবং আমার বন্ধুরা একসঙ্গে মেলাটা ঘুরে দেখতে থাকি। আমরা প্রথম থেকে শুরু করে শেষ পযর্ন্ত মেলাটা ঘুরে দেখি। দেখলাম বেশ অনেকগুলো ছোট ছোট দোকান বসেছে। অনেক প্রকারের জিনিসের দোকান। মাটির খেলনা, খাবারের দোকান, ছোটদের খেলনার দোকান আরও কত কী। যাই হোক অনেক দিন পর মেলায় এসে খুব ভালো অনুভূতি হচ্ছিল। আমরা বেশ মজা করি। এছাড়া আমি আমার বন্ধুদের সাথে প্রথম কোনো মেলায় এসেছি। ব্যাপারটা একটু আলাদা ছিল বলা যায়।
ছোট থেকেই দেখে আসছি মেলায় মাটির পাএের বেশ ভালো প্রভাব থাকে। এখানেও তাই। দেখি মাটির হরেক রকম দ্রব্য রয়েছে। হাঁড়ি পাতিল মাটির ব্যাংক কাপ প্লেট আরও কত কী। মাটির ব্যাংক খুবই স্মৃতি বিজড়িত একটি বস্তু। ছোটবেলা কত ব্যাংক কিনেছি মেলা থেকে টাকা জমানোর জন্য। কিন্তু কিছুদিন পরেই ব্যাংকটা ভেঙে ফেলতাম। কারণ এই বিষয়ে আমার ধৈর্য ছিল খুব কম। এভাবেই আমরা ঘুরতে থাকি। কিছুক্ষণ পরেই সন্ধ্যা লেগে যায়।
সন্ধ্যা হওয়ার সাথে সাথে মেলায় জ্বলে উঠে লাইট। চারদিকে আলো জ্বলে উঠে। এ যেন অন্যরকম এক জগত। এর পাশাপাশি লোকজনের সংখ্যা বাড়তে থাকে। তখন যেন মেলা মেলা মনে হচ্ছিল। রাত না হলে যেন মেলা জমে না। আমরা অনেকক্ষণ ঘোরাফেরা করছি। ভাবলাম কিছু খাওয়া যাক। দেখি বেশ কয়েকজন চিংড়ি মাছের চপ বিক্রে করছে। আর দেরী না করে আমি এবং আমার বন্ধুরা চিংড়ির চপ খাই। সত্যি কথা খুবই সুস্বাদু ছিল চিংড়ির চপ। প্রতি পিস চপের দাম ছিল মাএ ১০ টাকা।
চিংড়ির চপ খাওয়ার পর আমরা পান দেখতে পাই। এই পান নাকী খুবই টেস্টে এবং বিভিন্ন ধরনের মশলা দিয়ে তৈরি। এর পূর্বে আমি কখনো খাইনি। কিন্তু আমার বন্ধুরা বলল পান নাকী অনেক টেস্টি। তাই ওদের পাল্লায় পড়ে আমি পান খাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পানের টেস্ট সত্যি খুব ভালো ছিল। আমি এই প্রথমবার এই পান খেলাম। প্রতি পিস পানের দাম ছিল ২০ টাকা।
এরপর আমি আমার বাসার জন্য কিছু কেনাকাটা করি। কেনাকাটা শেষ হলে আমরা বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কারণ যতই সময় যাচ্ছে ততই লোকজনের সংখ্যা বাড়ছে। আর জনসমাগম মানে সেই করোনা। সেজন্য কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা মেলাটা ত্যাগ করি। সত্যি সময়টা আমরা খুব উপভোগ করি। অনেক সুন্দর সময় ছিল।
----- | ----- |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | VIVO Y91C |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
আমি ইমন হোসেন। আমি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় বসবাস করি। আমি একজন ছাএ। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে লেখাপড়া করি। আমি খেলাধুলা ভালোবাসি। বিশেষ আমি ফুটবল পছন্দ করি।
ভাই এক কথায় অসাধারণ হয়েছে, দীর্ঘ চার বছর পর আপনি আবার পঞ্চ বিশ্বাসের মেলা দেখতে গিয়েছিলেন, দেখে একদম মনটা পুরো ভরে গেল। অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ভাই। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য
ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।
ইনশাল্লাহ ভাই এখন থেকে প্রতি বছর আবার নিয়মিত এ মেলায় আসলে করবেন এই দোয়া রইল। সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটি সময় পার করেছেন আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া আর ভালবাসা রইল প্রিয় ইমন ভাই।
ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।
ভাই এক কথায় অসাধারণ হয়েছে, দীর্ঘ চার বছর পর আপনি আবার পঞ্চ বিশ্বাসের মেলা দেখতে গিয়েছিলেন, দেখে একদম মনটা পুরো ভরে গেল। অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ভাই। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।।
দারুন উপভোগ করেছেন আপনি মেলা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আমাদের শহরে প্রতিবছর জসীম পল্লী মেলা হতো আমরা সবাই মিলে মেলায় ঘুরতে যেতাম পুতুল নাচ সার্কাস এগুলো দেখতাম। সেই দিনগুলো এখন খুব মিস করি ।আপনার মেলার লাইটিং অসাধারণ ছিল ।মেলার খাবার গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে পানটা দেখতে অনেক সুন্দর ছিল। খুব সুন্দর ভাবে আপনি আপনার অনুভূতি গুলো তুলে ধরেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপনার মেলায় ঘোরার অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করার জন্য।
পঞ্চবিশ্বাসের মেলা নামটা প্রথম শুনলাম। মেলা দেখেতো বেশ জাকজমক মনে হচ্ছে। মাটির তৈরি ছোট ছোট বিভিন্ন মৃৎশিল্প উঠেছে দেখছি, মাটির তৈরি মৃৎশিল্প আমার কাছে বেশ লাগে। এছাড়া ভাজা জাতীয় খাবারও বেশ ভালো উঠেছে। আপনার মেলা ভ্রমণ এর দৃশ্যগুলো বেশ ভালো লাগলো দেখে। তবে এই মেলা কতদিন হয়?
দাদা মেলাটা প্রতিবছর দশমির পরের দিন হয়। শুধুমাত্র একদিন হয় মেলাটা। ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
আপনার প্রতিটি ছবি আমার ছোটবেলায় মেলাতে ঘুরতে যাওয়ার কথা মনে করিয়ে দিল।আমাদের বাসার পাশে ও এরকম প্রতিবছর মেলা বসতো। আমরা খুব মজা করে সেই মেলায় যেতাম। আপনার ছবিগুলো সে মেলার কথাই মনে করিয়ে দিল। ধন্যবাদ আপনাকে কিছু সময়ের জন্য হলেও ছোটবেলায় ফিরে গেলাম আপনার ছবিগুলো দেখে।
ধন্যবাদ আপু। আপনার ছোটবেলা মনে পড়েছে আমার পোস্ট পড়ে এতে আমি খুবই আনন্দিত। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।
Hi, @emon42,
Thank you for your contribution to the Steem ecosystem.
Please consider voting for our witness, setting us as a proxy,
or delegate to @ecosynthesizer to earn 100% of the curation rewards!
3000SP | 4000SP | 5000SP | 10000SP | 100000SP
Thanks to visited my post..
আমি অনেকবার মেলাটার নাম শুনেছি,,, কিন্তু যাওয়া হয় নাই। তোমার পোষ্টের মাঝে বেশ সুন্দর ভাবে মেলাটার বিষয়বস্তু ফুটে উঠেছে। সাজিয়ে রাখা পানগুলো খুব সুন্দর লাগছিল। শুভ কামনা রইল।
ধন্যবাদ তোমার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।
মেলার লাইটিং অসাধারণ ছিল ।মেলার খাবার গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে পানটা দেখতে অনেক সুন্দর ছিল। খুব সুন্দর ভাবে আপনি আপনার অনুভূতি গুলো তুলে ধরেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল। ধন্যবাদ আপনাকে কিছু সময়ের জন্য হলেও ছোটবেলায় ফিরে গেলাম আপনার ছবিগুলো দেখে।
ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্ট টা পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।।
মেলা,, নাম টা শুনতেই কেমনে জানি ভাল লাগা কাজ করে। ছোটবেলা কত কি কিনেছি মেলা থেকে। হাড়ি, পাতিল, খেলনা, এখান ও কিনা বন্ধ হয়নি। কিন্তু এখন কিনা হই কস্মেটিক্স। যা মেলা হলে মিস নাই।
আপনার ছবিতে অনেক সুন্দর করে মেলার সব কিছু ফ্রেম বন্দী করেছেন। যা সত্যি প্রসংশনীয়।
ধন্যবাদ আপনার পছন্দ আমার সাথে শেয়ার করার জন্য। এবং ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।।