ডুবে গেছে ব্রাজিল ফুটবলের সূর্য!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
Bein sports channel থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া হয়েছে
আজ সকালে ব্রাজিল এবং উরুগুয়ের মধ্যকার কোয়ার্টার ফাইনাল এর ম্যাচ ছিল। প্রথমে ভেবেছিলাম ম্যাচটার রিভিউ দেব আজ কে। কিন্তু ম্যাচটা দেখার পর আর রিভিউ দেওয়ার ইচ্ছা নেই। ব্রাজিল নামটা শুনলেই যেন ভেসে উঠে ফুটবলের শৈল্পিকতা। কিন্তু সেই ব্রাজিলের অবস্থা আজ খুবই করুণ। বিগত চার বছর ধরে এই দলটা যেন ধুকছে। ব্রাজিলের লিজেন্ড ফুটবলার রাও আর এই দলকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে না তারাও আর এই দলের উপর বিশ্বাস রাখতে পারছে না। এর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। আজ সেগুলো নিয়েই কথা বলব আমি। ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছিল ব্রাজিলের মারাকানায়। সেই ম্যাচে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ ছিল উরুগুয়ে।
ম্যাচের একেবারে শেষ মূহূর্তে গোল হজম করে বসে ব্রাজিল এবং ফাইনাল হেরে যায়। ঐদিন ব্রাজিলের হারে মারাকানা স্টেডিয়ামে আত্মহত্যা করেছিল ৭ জন ব্রাজিল ভক্ত। কিন্তু ব্রাজিল ফিরেছিল কঠিনভাবে ফিরেছিল তার ফলাফল পরবর্তী চারটা বিশ্বকাপের ৩ টা ১৯৫৮,১৯৬২,১৯৭০ নিজেদের করে নেয় ব্রাজিল। এবং ফিফার ঘোষণা অনুযায়ী পুরোপুরিভাবে জুলে রিমে ট্রফি টা নিজেদের করে নেয় ব্রাজিল। পরবর্তীতে নিয়ে আসা হয় বিশ্বকাপ নতুন ডিজাইনেই এই ট্রফি টা। ব্রাজিলের সেই দিন আর নেই। এখন রবার্তো কার্লোস, কাফু না আছে এদের মতো ডিফেন্ডার না আছে জিকো, সক্রেটিস, কাকা এদের মতো মধ্যমাঠের খেলোয়ার আর না আছে রোনালদো এর মতো স্টাইকার।
কোনকালেই ব্রাজিল ফুটবলে প্রতিভার ঘাটতি হয়নি। এখনও যথেষ্ট প্রতিভা রয়েছে। তাহলে এই অবস্থা কেন দলটার এমন প্রশ্ন মনে আসা স্বাভাবিক। এটার একমাএ কারণ অল্প বয়সে ফুটবলারদের ইউরোপের লীগে পাঠিয়ে দেওয়া। হ্যা আমার মতে এটাই সবচাইতে বড় কারণ। ফুটবলার রপ্তানিতে ব্রাজিল সবাই শীর্ষে। ব্রাজিলের খেলোয়ার দের উচিত নিজেদের লীগে সময় দেওয়া। ইউরোপে গিয়ে এরা মিডিয়া এর অতিরিক্ত হাইপ টাকার কাছে সহজেই নিজেদের হারিয়ে ফেলছে। এগুলো দেখে সবার আগে বের হয়ে আসতে হবে। দ্বিতীয় ব্যাপার টা হচ্ছে ডেডিকেশন। সত্যি বলতে ব্রাজিলের এই দলটার মধ্যে একটা খেলোয়ারেরও দলের প্রতি কোন ডেডিকেশন নেই সেটা তাদের খেলা দেখলেই বোঝা যায়।
ব্যাপার টা এমন তারা যেন মাঠে নেমেছে শুধু মাঠে থাকার জন্য। মাঠে তাদের প্রভাব একেবারেই বোঝা যায় না। একটা সময় যে ব্রাজিলের খেলোয়ারদের আক্রমণ ঠেকাতে ঠেকাতে বিপক্ষ দলের অবস্থা খারাপ হয়ে যেত তারা এখন পুরো ম্যাচে দুইটাও অন টার্গেট শর্ট করতে পারে না। জানি না এই সমস্যার সমাধান আসলেই হবে কীনা। সর্বোপরি সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ একটা সমস্যা ব্রাজিলের লিজেন্ডারী খেলোয়ার রা কেউ কোচিং এ আশে না। এটাও অনেক বড় একটা সমস্যা। ব্রাজিলের দরকার একটা মাস্টারমাইন্ড কোচ যে কীনা ব্রাজিলের শৈল্পিক ফুটবলের সাথে খুব ভালো করে পরিচিত। কিন্তু এমন কেউ নেই। হয়তো সত্যি সত্যি ব্রাজিলের ফুটবল সূর্য টা ডুবে গেছে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
খেলাধুলায় হারজিত থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এ নিয়ে বড় কোন টেনশন দূর চিন্তা প্রয়োজন নেই। কারণ এগুলো বিনোদন। আর আমি মনে করি নতুন নতুন দল ভালো খেলুক এবং মানুষকে উৎসাহিত করুক এটাই সবচেয়ে বেটার।
২০২২ সালের পর থেকে ব্রাজিল ফুটবল টিম একদম কাঁদায় পড়ে গিয়েছে, তারা যেন আর সেই কাঁদা থেকে উঠতেই পারছে না। তবে আজকের ম্যাচে ব্রাজিল টিম বেশ ভালোই খেলছিল, কিন্তু ট্রাইফিকারে তারা পরাস্ত হয়ে যায়।আর আজকে প্যারাগুয়ে দলের গোল কিপার একদম শক্তিশালী ভাবে তার দায়িত্ব পালন করেছিল।
ব্রাজিলের এই পরিণতি ব্রাজিল ভক্তদেরকে অনেক বেশি কষ্ট দিচ্ছে। সবকিছুই মেনে নিতে হয়। সময়ের সাথে সাথে সবকিছু বদলে যায়। ভাইয়া আপনার অনুভূতি থেকে সুন্দর করে লেখাগুলো উপস্থাপন করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
গত কয়েক বছর ধরে লক্ষ্য করে দেখছি যে ব্রাজিল খুবই খারাপ ফুটবল খেলা খেলছে। কোনভাবেই যেন তারা তাদের নিজেদের আসল ফুটবল খেলা খেলতে পারছে না। এবারের কোপা আমেরিকাতে ও তারা আগে থেকেই বিদায় নিয়ে নিল।