বিপিএল সমাচার( প্রথম পর্ব )!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
কয়েকদিন আগে আমি আমার এক বড় ভাইয়ের সাথে কথা বলছিলাম। কথা বলার এক পর্যায়ে উনি আমাকে বলেন ইমন তোমার জীবনের এখনও অনেক বাকি। নিজের জীবন কে উপভোগ করো। নিজেকে সময় দাও। যা ভালো লাগে সেটা করো। যাইহোক সেসব বাদ দেয়। বিপিএল ২০২৫ এর আসর শুরু হয়েছে ডিসেম্বরের ৩০ তারিখে। অন্যদিকে অনেক দিন হলো খেলা দেখতে যাওয়া হয় না। যদিও আমি ক্রিকেট দেখা বাদ দিয়েছি প্রায়। কিন্তু স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখার আলাদা একটা আনন্দ আছে। তো ভাবলাম যাই বিপিএল এর একটা ম্যাচ দেখে আসি। এই কথাটা আমি আমার বন্ধু সৈকত এবং ইয়ামিন কে বলতে ওরা রাজি হয়ে গেল। কিন্তু সমস্যা হলো আমরা কবে যাব। যেহেতু আমি একটা জব করি সপ্তাহের অন্য দিন আমার একেবারেই সময় নেই। এইজন্য ঠিক করলাম ৩ জানুয়ারি শুক্রবারের ম্যাচটা দেখব।
তবে ঐদিন আমার ক্লাস ছিল। আমরা সিদ্ধান্ত নেই ৪ টা পযর্ন্ত ক্লাস করে বাকি গুলো আর করব না। কিন্তু সবচাইতে বড় সমস্যা ছিল টিকিট কাটার ব্যাপার টা। যেহেতু শুক্রবার ছুটির দিন ঐদিনের টিকেটের ডিমান্ড অনেক বেশি। তবে আমার বন্ধু সৈকত আমাদের আশ্বস্ত করে টিকিট ম্যানেজ করার দায়িত্ব ওর। এবার বিপিএল এর টিকিট অনলাইনেও পাওয়া যাচ্ছে। আমার বন্ধু সৈকত বুধবার রাতেই আমাদের চারজনের জন্য চারটা টিকিট কেটে ফেলে। টিকিট ম্যানেজ হয়ে গেলে মোটামুটি টিকিটের চিন্তা দূর হয়। আমরা ২৫০ টাকার টিকিট নেয়। এটা বাদেও ৩৫০,৫০০,১৫০০,২০০০ টাকার টিকিটও রয়েছে। যথারীতি শুক্রবার ইউনিভার্সিটি তে চলে যায়।
সকাল ৯ টা থেকে ক্লাস শুরু হয় আমাদের। প্রথমে আমাদের পরিকল্পনা ছিল বিকেল চারটা পযর্ন্ত ক্লাস করে আমরা খেলা দেখার জন্য বেরিয়ে পড়ব। আমার ক্যাম্পাস তেজগাঁও থেকে মিরপুর স্টেডিয়াম বেশ অনেক টা দূর। তবে দুপুরের দিকে আমরা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করি। ৪ টার পরিবর্তে ৩ টার সময় আমরা বেরিয়ে যায় খেলা দেখতে। মোটামুটি ৩ টা ক্লাস আমরা মিস দেয়। আমাদের লক্ষ্য ছিল সন্ধ্যা ৭ টার ঢাকা ক্যাপিটাল বনাম খুলনা টাইগার্স এর ম্যাচ দেখব। কিন্তু ওরা বলে প্রথম ২ টার ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংস দেখবে। এইজন্যই বেরিয়ে পড়ি আর কী। আমাদের দ্রুত যেতে হবে। খুব একটা দেরি করা চলবে না। কিন্তু বাসে গেলে অনেক টা সময় লেগে যাবে। এইজন্যই আমরা ঠিক করি উবার বা অন্য কিছুতে যাব।
তবে উবার কল করলে আশেপাশে কোন উবার না থাকায়। আমরা একটা সিএনজি ঠিক করি। সিএনজিওয়ালা মামা ২৫০ টাকায় রাজি হয়ে যায়। সিএনজিতে উঠে পড়ি। ঢাকা শহরে সারাদিন সূর্যের দেখা নেই। তাপমাত্রা বেশ অতিরিক্ত বলা যায়। মোটামুটি ৩০ মিনিটের মধ্যে আমরা মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পৌছে যায়। রাস্তায় খুব একটা যানজট না থাকায় আমাদের বেশি সময় লাগেনি। আমাদের এন্ট্রী ছিল ৫ নাম্বার গেট দিয়ে।স্টেডিয়ামের সামনে অনেক কালোবাজারি টিকিট বিক্রি করছে ২৫০ টাকার টিকিট ১০০০ টাকা হা হা। যাইহোক আমরা চলে যায় ৫ নাম্বার গেটে। এরপর আমরা আমাদের টিকিটের পিডিএফ দেখিয়ে কয়েক পর্যায়ের চেকিং এর পরে চলে যায় স্টেডিয়ামে। আমরা আপার ক্লাসে চলে যায় কারণ ওখান থেকে খেলা দেখা যায় ভালো । স্টেডিয়ামের ভেতরে যেতেই অন্যরকম একটা অনূভুতির সৃষ্টি হয়।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
স্কুল ফাঁকি দিয়ে বিশ্বকাপ খেলা দেখেছিলাম। ২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপটা দেখার কথা মনে পড়ে গেল তোমার এই পোস্ট পড়ার পরে। ভার্সিটির ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বিপিএল খেলা দেখার মুহূর্তটা তুলে ধরেছো। তিনটা টিকিট সংগ্রহ করে তেজগাঁও থেকে মিরপুর গিয়ে খেলা দেখার পুরো বিষয়টা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
কোনো কিছু দূর থেকে দেখার থেকে সামনাসামনি দেখার মজাটাই দ্বিগুণ।তেমনি আপনি সরাসরি স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো।আসলে আপনি যে খেলা প্রিয় মানুষ সেটা আবারো বেশ বোঝা যাচ্ছে, দারুণ সময় পার করেছেন আশা করছি।ধন্যবাদ আপনাকে।