দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে!!

in আমার বাংলা ব্লগ21 days ago


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ সোমবার, ৮ ই জুলাই, ২০২৪।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


1000558206.jpg

Source


আপনি যদি একটা দেশ বা জাতিকে ধ্বংস করতে চান তবে সেই দেশের শিক্ষার মধ্যে নকল চাকরিতে ঘুষ প্রশ্ন ফাঁস এসব শুরু করে দেন এবং যুবকদের মধ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে দেন তবে ঐ দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। এটা আমার কথা না। অনেক বড় বড় মানুষ এমন কথায় বলে গিয়েছেন। এই কথা কেন বলছি। মেডিকেল সহ বিভিন্ন ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস তো নতুন কিছু না একেবারে স্বাভাবিক একটা বিষয়। কিন্তু গত দুইদিন আরেকটা চাঞ্চল্যের তথ‍্য এসেছে সামনে। এবং তথ‍্যটা প্রমাণসহ সামনে নিয়ে এসেছে বাংলাদেশের একটা সংবাদ চ‍্যানেল নিউজ টুয়েন্টিফোর। এখানে তারা একটা অভিযানের মাধ্যমে বের করেছে বিপিএসসি বা পিএসসি ( বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন) এর বিষয়ে।

বিসিএস সহ বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি চাকরির নিয়োগগুলো দিয়ে থাকে পিএসসি। এতদিন সবার ধারণা ছিল এখান থেকে প্রশ্ন ফাঁস হয় না। কিন্তু সেই ধারণা পুরো বদলে গিয়েছে গত দুই দিনে। ৩০ তম ৩৩ তম বিসিএস সহ প্রায় ৩০ এর বেশি সরকারি চাকরির প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে এই পিএসসি থেকে। পিএসসি এর মধ‍্যকার একদল কর্মজীবী এমনটা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এটার ভিডিও ফুটেজ প্রমাণ পযর্ন্ত আসে। সবশেষ গত শুক্রবার রেলওয়ে এর উপ সহকারী প্রকৌশলী এর পরীক্ষায় এই প্রমাণ আরও পরিষ্কার হয়। সেখানে ৫৬২ টা পদের বিপরীতে প্রশ্নপত্র পেয়েছে ৭০০ জন। অর্থাৎ পদের চেয়ে প্রায় ১৫০ জন বেশি মানুষ প্রশ্নপত্র পেয়েছে। অর্থাৎ এই দেশে আপনি টাকা দিয়ে প্রশ্ন কিনেও সেফ না।


1000558207.jpg

source


এখন একটা জিনিস বলেন যারা প্রশ্ন কিনেছে তারা তো আগের রাতেই সব কমপ্লিট করে যাবে। কিন্তু যারা মেধাবী আমার আপনার মতো সাধারণ বেকার তাদের কী হবে। এটা কী তাদের সাথে একটা প্রহসন না আপনারাই বলেন। এমনকি বিসিএস এর গুরুত্বপূর্ণ পদেও হয়েছে এই প্রশ্নফাঁস। অর্থাৎ বাংলাদেশের একজন ক‍্যাডার বা একজন আমলা পুরোপুরি দূর্নীতির মাধ্যমে হয়েছে। তার মেধার কোন প্রয়োজন হয়নি। এমনভাবে যে নিয়োগ পাবে সে তো দূর্নীতি করবেই। গত কয়েকদিন ধরে এটা দেখার পরে আর কোন কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছি না। মনে হচ্ছে এই দেশে জন্মগ্রহণ করে অনেক বড় ভুল করেছি। এই দেশ আমার আপনার মতো সাধারণ মানুষের জন্য না।

একটা বিষয় ভাবেন ধরেন একটা সরকারি চাকরিতে ১০০ জন লোক নিবে। সেখানে আগে থেকেই কোঠাধারী ৩০-৪০ জন বসে আছে। বাকি ৩০-৪০ জন প্রশ্ন পেয়েছে এবং এরপরও ১০-২০ জনের আছে উচ্চ মন্ত্রী বা সচিব পর্যায়ের সুপারিশকারী। তাহলে আপনার আমার মতো সাধারণ ছেলে মেয়ের চাকরি কী আদেও হবে?? বিভিন্ন চাকরির সার্কুলার দিলে অসংখ্য বেকার কে দেখেছি অনেক কষ্ট করে ৫০০-১০০০ টাকা ব‍্যবস্থা করে আবেদন করে লেখাপড়া করে এবং তারপর পরীক্ষা দেয়। কিন্তু এটা করে কী লাভ বলেন কী লাভ। চাকরি তো সে পাবে না। দিনশেষে হয়তো হতাশ হয়ে ফিরতে হবে। এই দেশের এই জাতির ধ্বংস নিকটে। এখানে কাউকে কিছু বলার নেই। প্রতিটা সিস্টেমে সিস্টেমে ঝামেলা। কে কী করবে। সরকার কিছু করবে? সে নিজেও তো প্রশ্নবিদ্ধ!!



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png



Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 21 days ago 

বর্তমান সময়ে মেধাবীরা থাকবে গাছ তলায় আর মূর্খরা থাকবে পাঁচ তলায়।এটাই হয়তো বর্তমান সময়ের নিয়ম। বর্তমান চাকরির আশা নিয়ে পড়ালেখা হয়তো তেমন একটা কাজের হবে না। কেননা যেখানে মেধাবীদের সম্মান দেয়া হয় না, সেখানে পড়ালেখা করা শুধু মাত্র একটি কাল্পনিক স্বপ্নের মতো।ভাই আপনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।

 21 days ago 

কি আর বলার আছে, আর কি করার আছে। যেখানে গোড়ায় গণ্ডগোল সেখানে তো সবকিছু বিফলে যাবে আর সব অনর্থই হবে। আসলে যে সরকার দেশ গঠনে ভূমিকা রাখার কথা সেই সরকারই দেশ গঠনে দুর্নীতি ছড়াচ্ছে।সব চোখে দেখেও কোন কিছুই করছে না। যারা যারা পূর্বে থেকে এভাবে ঘুষ দিয়ে টাকা লেনদেন করে সরকারি চাকরি পেয়ে এসেছে তারা নিজেরাও ঠিক একইভাবে বাকিদেরকেও সরকারি চাকরি দেয় টাকার বিনিময়ে। আর এই জন্যই সাধারণ ছেলে যারা কষ্ট করে পড়ালেখা করে তারা কোনভাবে টিকতে পারে না। তাই আমার মনে হয় ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আমরা সরকারি চাকরির প্রতি উৎসাহিত না করে নিজের পায়ে নিজে দাঁড়িয়ে নিজের উদ্যোগে কিছু করার মত উদ্দীপনা জাগিয়ে তুলি তাহলে অন্তত দেশের বিভিন্ন সিস্টেমের কারণে তারা নিজেরা ঠকবে না।

 21 days ago 

যে বিষয়টি এখন দেশের এক নম্বর ইস্যু, সেটির প্রভাব ও পরিণতি খুবই মারাত্মক হবে৷ কোটা ব্যবস্থার এমন বিশৃঙ্খলা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দেশের প্রধান পর্যায়গুলোকে মেধাশূন্য করে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবে।
সবাই বিষয়টির গভীরে যেতে পারে নি, শিক্ষা ও চাকরিক্ষেত্রে এখন যা হচ্ছে, তা বিশাল আইসবার্গের ভাসমান অংশটি মাত্র। ভেতরে আরো চক্রান্ত চলছে, যা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের চিন্তা ঝাপসা ।
অনেক কথাই বলার আছে এ ব্যপারটি নিয়ে, হতাশা আর ক্ষোভ যে কতটুকু জমা আছে তা বলে বোঝানো যাবে না। ততটুকু নাই বলি, শুধু এতটুকু বলে শেষ করি, শিক্ষা ব্যবস্থার চরম অবক্ষয় নিয়ে আসার জঘন্য ষড়যন্ত্র চলছে, তা দেশীয় এমনকি আন্তর্জাতিকও হতে পারে।

তবে শেষ পর্যন্ত তরুন সমাজকে ও মেধাবীদের মেধা কেউ কেড়ে নিতো পারবে না৷ দুশ্চরিত্র মুখোশধারীদের চক্রান্ত সফল হবে না, সত্যের বিজয় হবে।
শুধু ধৈর্য্য ও সময়ের অপেক্ষায়৷
ধন্যবাদ । বিষয়টি সামনে আনার জন্য ।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 66937.04
ETH 3270.78
USDT 1.00
SBD 2.74