নির্বাসিত নক্ষত্র ( প্রথম পর্ব )!!

in আমার বাংলা ব্লগ4 days ago


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ রবিবার, ১৯ ই জানুয়ারি,২০২৫।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


1000572210.jpg

ছবিটি Pixabay নিয়ে নেওয়া এবং Canva দিয়ে এডিট করা


সৃষ্টিকর্তা এক অদ্ভুত দুনিয়া সৃষ্টি করেছে। এই দুনিয়া বড়ই আজব। সৃষ্টিকর্তা তার প্রতিই আপনার ভালোবাসা সৃষ্টি করাবে যাকে ছাড়া আপনাকে সারা জীবন বেঁচে থাকতে হবে। এটা উনার একটা আজব খেলা। উনি হয়তো মানুষের মধ্যে ভালোবাসার সৃষ্টি করে আবার সেটা দূরে সরিয়ে নিতে পছন্দ করেন।

সকাল ১০ টা ১০ মিনিটে কক্সবাজারের ফ্লাইট। ঢাকা বিমানবন্দরের লঞ্জে বসে রয়েছে ম্রিয়মান। আর কিছুক্ষণ পরেই উঠে যেতে হবে। প্রথমবার কক্সবাজার ভ্রমণে যাচ্ছে ম্রিয়মান। একটা সময় ঘোরাঘুরির অনেক শখ থাকলেও হয়ে উঠেনি। অল্প বয়সেই অনেক দায়িত্ব এসে পড়ে। এখন তার দায়িত্ব কমেছে অর্থ আছে সময় ও হয়ে যায় মোটামুটি কিন্তু সেই বয়সটা আর নেই। বয়স নেই বলতে নিজের বয়সের তুলনায় তার মনটা যেন বেশি বুড়িয়ে গিয়েছে। তবু নিজের একঘেয়েমি কাটানোর জন্যই তার কক্সবাজার ঘুরতে যাওয়া। এয়ারপোর্ট লঞ্জে বসে রয়েছে ম্রিয়মান। পাশের সিটে তার ব‍্যাগ। হঠাৎ একজন ভদ্রমহিলার কন্ঠ ভেসে আসে কানে।

হ‍্যালো মিস্টার ব‍্যাগ টা কী আপনার। মুখ তুলে তাকায় ম্রিয়মান। মুখের দিকে তাকাতেই চোখে চোখ পড়ে যায় দুজনের। ম্রিয়মান কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে চোখ সরিয়ে নেয়।

হ‍্যা আমার। কেন?

আরে এখানে মানুষের বসার জায়গা নেই আপনি ব‍্যাগ রেখে দিয়েছেন। সরান ব‍্যাগ টা। মেয়েটার কথাটা একটু অদ্ভুত লাগল ম্রিয়মানের। তবে সে বেশি কথা না বলে ব‍্যাগটা নিচে নামিয়ে রাখল। ম্রিয়মান নিজের মতো ব‍্যস্ত হঠাৎ পাশ থেকে মেয়েটা বলে উঠল

আমি তৃপা। আপনি??

আমি ম্রিয়মান।

কক্সবাজার যাচ্ছেন নাকী আপনি।

হ‍্যা। বলে আর কিছু বলল না ম্রিয়মান।

আমিও তো কক্সবাজার যাচ্ছি। হেঁসে বলল তৃপা, কিন্তু তার সাথে কথা বলার খুব একটা আগ্রহ নেই ম্রিয়মানের। এইজন্য ম্রিয়মান চুপ করে রইল।

ম্রিয়মান বরাবরই মেয়েদের থেকে দূরে থাকে। বিশেষ করে অদিতির সাথে ওর ঐ ঘটনার পর ও আর কখনোই কোন মেয়েকে বিশ্বাস করতে পারেনি। এতগুলো বছর কেটে গেলেও অদিতি কে ভুলতে পারেনি ও। ম্রিয়মান তার জীবনে এখন সফল। অন্তত সমাজের মানুষ সেটাই বলে। যদিও এর জন্য নিজের জীবনের সবচাইতে সুন্দর সময় টা ও কাটিয়েছে নিজের ভবিষ্যৎ তৈরির জন্য পরিশ্রম করে।

কিছুক্ষণ পর ভেতরে গিয়ে প্লেনে উঠে পড়ল ম্রিয়মান। ঢাকা থেকে কক্সবাজার আকাশপথে বেশি সময় লাগে না। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই পৌছে গেল কক্সবাজার এয়ারপোর্টে।

এয়ারপোর্টে নেমে খুব একটা দাঁড়ায়নি ম্রিয়মান। নিজের ব‍্যাগ নিয়ে চলে গিয়েছে সরাসরি হোটেলে। আগে থেকেই হোটেল "সি ভিউ" তে রুম বুকিং দিয়ে রেখেছিল ম্রিয়মান।

তৃপা এয়ারপোর্টে বেশ কিছুক্ষণ খুজেছিল ম্রিয়মানকে। কিন্তু সে পাইনি। এরপর তৃপাও তার হোটেলে চলে যায়।। হোটেল "ইন্টার কন্টিনেন্টাল "। পুরোপুরি ফাইভ স্টার না হলেও কক্সবাজারের মধ্যে টপ রেটেড হোটেলের মধ্যে একটা এটা। অনেক টাকা ভাড়া। টাকার কোন সমস‍্যা নেই ত‍ৃপার। বরং যে টাকা এখনও রয়েছে সে হয়তো সেটা খরচ করার সময়ও পাবে না।

পরের দিন সকালে। একেবারে ভোরে সমুদ্রের পাড়ে চলে যায় ম্রিয়মান। কক্সবাজার এসে সকালের সূর্যদ্বয় না দেখলে তার জীবনই বৃথা এমনটা ম্রিয়মান শুনেছিল তার কিছু বন্ধুদের থেকে। সকালে আরও বেশ কিছু পর্যটক এসেছে। সমুদ্রের পাড়ের সূর্যদ্বয় দেখতে। এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। সমুদ্রের থেকে যেন সকালের সূর্যটা উঠছে। সমুদ্রের টেউ এসে ম্রিয়মানের পায়ে আচড়ে পড়ছে। সকালটা বেশ দারুণ কাটল ম্রিয়মানের। এখন হোটেলে যেতে হবে সকালের নাস্তা করতে হবে। এটা ভেবে সে হাঁটা শুরু করেছে সমুদ্রের পাড় দিয়ে।

হঠাৎ পেছন থেকে একটা নারীকন্ঠ। এই যে মিস্টার। শুনুন দাঁড়ান। পেছনে তাকাতেই ম্রিয়মান দেখতে পাই আরে এতো সেই মেয়েটা।

কাল এয়ারপোর্ট থেকে কোথায় গেলেন। খুজেঁ পেলাম না আপনাকে। বলল তৃপা।

খুজেঁছিলেন নাকী আমাকে??

হ‍্যা।

কেন খুজছিলেন?

নাস্তা করেছেন সকালে বলল তৃপা। না এখনও হয়নি ম্রিয়মান বলল।

ঠিক আছে চলুন নাস্তা করতে করতে বলি। আমার সাথে নাস্তা করতে কোন সমস্যা আছে আপনার। ম্রিয়মান ঠিক কী বলবে বুঝতে পারল না। কয়েক মূহূর্ত পরে বলল, না চলুন।

চলবে.....



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png


1000561739.png


Sort:  
 4 days ago 

Daily task

1000572238.jpg

1000572237.jpg

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 4 days ago 

খুব সুন্দর করে গল্পটি উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া। গল্পটির পড়েই মনে হচ্ছে বেশ রোমান্টিক হবে গল্পটির কাহিনী। ছেলেটির নামটিও বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে। যাই হোক খুব গুছিয়ে গল্পটা উপস্থাপন করেছেন। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

 4 days ago 

পড়তে থাকেন আপু ক্লাইমক্স আছে।

 4 days ago 

গল্পের শুরুটা ভালো ই লাগলো।আশাকরি গল্পটি খুব ভালো হবে।শেষটা জানার অপেক্ষায় রইলাম।অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।

 3 days ago 

ম্রিয়মানের ভেতর আমি কেমন যেন ভিন্ন কিছু খুঁজে পাচ্ছি। মানুষটা একটু অন্যরকম, যাইহোক সামনের পর্বে হয়তো অনেক কিছু আরো পরিষ্কার হবে। তবে মেয়েটা আসলেই কি চাইছে এখনো বোঝা যাচ্ছে না।

ম্রিয়মান একাই নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ব্যাপারটা জেনে প্রথমে একটু খারাপ লাগছিলো। পরবর্তী পর্বের প্রতিক্ষায় থাকা আমি।।।।

 3 days ago 

Coin Marketplace

STEEM 0.21
TRX 0.25
JST 0.039
BTC 102839.57
ETH 3231.39
SBD 5.29