শখের ফটোগ্রাফি!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমি মোটামুটি ভালো আছি। আমাদের জীবনে অনাকাঙ্খিত অনেক ঘটনাই হয়তো ঘটে যেগুলো আমরা মেনে তো নিতে পারি কিন্তু সেগুলো আমরা কখনোই চাই না যে আমাদের সাথে হোক। আজ আপনাদের সাথে আমি কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করে নিব। ইদানিং সেরকম ফুলের ফটোগ্রাফি একেবারেই করা হয় না। সেরকম ফুল নজরেই আসে না। বাইরে বর হলে ঐ প্রকৃতির যা একটু ফটোগ্রাফি করি আর কী। আশা করি আমার ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের ভালো লাগবে।
- প্রথম ফটোগ্রাফি টা দেখছেন এটা হলো বৃষ্টিস্নাত সকালের ফটোগ্রাফি। সাধারণত আমি সকালে উঠি না একেবারেই উঠি না। তবে ঐদিন আমি ঢাকা আসছিলাম আমার বাস ছিল অনেক সকালে। আমি যখন বাসের জন্য হাইওয়ে তে দাঁড়িয়ে তখনও বৃষ্টি হচ্ছিল। ঐ সময় আমি ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলাম। বেশ চমৎকার লাগছে দেখতে ওয়েদার টা।
- এটা আমার অনেক পরিচিত একটা জায়গা। এটা হলো হাসপাতাল রোড। আমার শহরের সবাই এটা চেনে। যখন আমি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়তাম এই রাস্তা দিয়ে সাইকেল নিয়ে যাতায়াত করতাম। রাস্তা টা এখনও আগের মতোই আছে কোন পরিবর্তন হয়নি। কতশত স্মৃতি জড়িয়ে আছে শুধু এই পথটুকু তেই।
- এটা হলো কফি। একবার ভাবুন তো বিকেলের মেঘলা ওয়েদারে আপনি নদীর বাসে বসে আছেন। এবং এইরকম কফিতে চুমুক দিচ্ছেন তাহলে ব্যাপার টা কেমন হবে। ঐদিন আমি নদীর পাশে ঘুরতে গিয়েছিলাম। গিয়ে একটা কফি নিলাম খাওয়ার জন্য। তখন এই ফটোগ্রাফি টা করার চেষ্টা করেছিলাম আমি।।
- আমি খুব একটা ঘোরাঘুরি করি না। ঘোরাঘুরি আমার পছন্দ না ব্যাপার টা মোটেও এমন না। বলতে পারেন সঙ্গী এবং অর্থ সংকটের জন্য ঘোরাঘুরি খুব একটা হয় না আর কী। এটা আমার অনেক পছন্দের জায়গা। আমি যখনই বাড়ি যায় এই জায়গাটাই যায়। এটা আমার স্কুলের পেছনের নদীর ধারে। অসাধারণ একটা জায়গা। বিকেলে গেলে মন ভালো হয়ে যায়।
- প্রতিবারের মতো এবারেও ঈদে আমাদের ঈদগাহ টাকে সাজানো হয়েছিল। চারপাশে বেশ সুন্দর বিভিন্ন রংয়ের পতাকা লাগানো হয়েছিল। ঈদের পরের দিন আমি হেঁটে যাচ্ছিলাম। তখন বেশ সুন্দর লাগছিল দেখতে। বাতাসে সবগুলো পতাকা দুলে উঠছিল। ঐসময় আমি এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম।
- এটা মে মাসের ফটোগ্রাফি। ঐদিন আমার একটা ইন্টারভিউ ছিল। তখন মোটামুটি রাত সাড়ে দশটা। আমি বসেছিলাম ব্যালকনিতে। হঠাৎ বাইরে ঝড়ো হাওয়া এবং বাতাস শুরু হলো। তীব্র গরমে মূহূর্তের মধ্যে আবওহাওয়া পরিবর্তন হয়ে গেল। তখন আমি এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম। এখনও গ্যালারিতে রয়ে গিয়েছে।
- আমার পুরাতন জিনিস গুলো নষ্ট হয়ে গেলে বেশ কষ্ট হয়। তো আমার এক স্যার বলতেন সমস্যা কী পুরাতন নষ্ট হলে নতুন আসবে। নতুন জিনিসের ব্যাপার টাই আলাদা। যাইহোক এটা ছিল আমার নতুন ফোন কেনার সময়ে ধারণ করা। যদিও এই ফোনটা আমার ছিল না। আমার চাচাতো ভাইয়ের জন্য কিনেছিলাম। তবে আমার ফোন এবং এই ফোন একই মডেলের শুধু কালার ভিন্ন। ব্ল্যাক টাই যেন বেশি ভালো লাগছে।
----- | ----- |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ডিভাইস | Redmi 12 |
সময় | জুন, ২০২৪ |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অসাধারণ কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফিগুলো দেখে খুবই ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি ঠিক বলছেন একটা সিজন থাকে ফুল ফুটার। এখন তেমন ফুল দেখা যাবেনা। তবে বর্ষাকালীন ফুলগুলো আমার দেখতে খুবই ভালো লাগে। যদিও ফুল বাগান খুবই কম হয় বর্ষাকালে। পানি সহ্য করতে পারে এমন ফুল গুলো দেখা যায় বেশি। আপনার শেয়ার করা প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো দেখতে খুব ভালো লেগেছে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খুবই সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি দেখলাম। আপনাদের স্কুলের পেছনে নদীর ধারের ফটোগ্রাফি গুলো দারুন লাগছে। এখানে বসে চা কফি খেলে সত্যিই অনেক ভালো লাগবে। জায়গাটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।
চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন ভাইয়া। খুবই ভালো লেগেছে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ও বর্ননা পড়ে। আপনার মতো আমার ও ঘুরতে ইচ্ছে হয়।কিন্তু সবাইকে একসাথে পাওয়া হয় না।তাই ঘোরাঘুরিও কম হয়।