রিয়াল মাদ্রিদের আরেকটা জয়!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
Bein Sports থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া হয়েছে।
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন লীগের ব্যস্ত সূচির জন্য এই বছর খেলোয়াদের বেশ ঝামেলায় পড়তে হবে। চ্যাম্পিয়ন লীগের নতুন এই ফরম্যাটে সবাইকে খেলতে হবে আগের সিজেন থেকে বেশি ম্যাচ। এর একটা প্রভাব সরাসরি এসে পড়েছে লীগ গুলোতে। গত শনিবার রাতে স্প্যানিওল এর মুখোমুখি হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। মাঝে তিনদিন বিরতি দিয়ে গতকাল রাতে আবার মাঠে নেমেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ঘরের মাঠে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল আরেক স্প্যানিস ক্লাস ডেপর্তিভো আলভেস। ম্যাচ টা ছিল বাংলাদেশ সময় রাত ১ টায়। এই সময়ে ম্যাচ দেখে আমার জন্য এখন একটু ঝামেলার। কারণ সকালে উঠেই অফিসে ছুটতে হয়। কিন্তু নিজের প্রিয় দল যখন মাঠে নামে চাইলেও চোখে ঘুম কেন জানি আসে না।
গতকাল যথারীতি পূর্ণশক্তির দল নিয়ে মাঠে নামে রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়াল মাদ্রিদের ফর্মেশন ছিল ৪-৩-৩। অন্যদিকে ডে প্রোর্তিভো আলভেস এর ফর্মেশন ছিল ৪-৪-২। এই সিজেনে রিয়াল মাদ্রিদ আগের ৬ টা ম্যাচে গোল করেছে ১৭ টা যার ১৬ টাই করেছে দ্বিতীয়ার্ধে। অর্থাৎ এমন একটা ব্যাপার লক্ষ্য করা যাচ্ছিল রিয়াল মাদ্রিদ প্রথমার্ধে কোন গোলই পাচ্ছে না। সেটাই হয়তো মাথায় নিয়ে নেমেছিল খেলোয়ার রা। ম্যাচের প্রথম মিনিটের কথা। ম্যাচের বয়স তখন ৩০ সেকেন্ড। ভিনিসিয়াসের উদ্দেশ্যে লং একটা বল বাড়িয়ে দেয় ফেদে ভালভার্দে। বলটা রিসিভ করে কয়েকটা খেলোয়ার কে বোকা বানিয়ে প্রতিপক্ষের আক্রমণ ভাগে ঢুকে যায় ভিনিসিয়াস। এবং শেষ মূহূর্তে বলটা বাড়িয়ে দেয় লুকাস ভাসকেজ এর দিকে। লুকাস ভাসকেজ ম্যাচের ১ মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
এই ম্যাচে পুরো রিয়াল মাদ্রিদ শুরু থেকেই যেন উজ্জীবিত ছিল। একের পর এক আক্রমণ করছিল। কখনও অফ টার্গেট শর্ট আবার কখনও গোলরক্ষকের সেভ বাঁচিয়ে দিচ্ছিল প্রতিপক্ষ কে। ম্যাচের ৩২ মিনিটে ভিনিসিয়াসের সহযোগিতায় গোল করে কিলিয়ান এমবাপ্পে। কিন্তু সেটা অফসাইড এর বাতিল হয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর ম্যাচের ৪০ মিনিটে বেলিংহাম এর অ্যাসিস্টে গোল করে এমবাপ্পে। তবে এবার আর অফসাইড হয়নি। গোল করে দলকে ২-০ এগিয়ে নিয়ে যায় কিলিয়ান এমবাপ্পে। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই রদ্রিগোর ঝলক দেখা যায়। লুকাস ভাসকেজ এর থেকে বল পেয়ে প্রতিপক্ষের ডিবক্সে ঢুকে একক প্রচেষ্টায় অসাধারণ একটা গোল করে রদ্রিগো। এবং ম্যাচের ৪৮ মিনিটেই রিয়াল মাদ্রিদ এগিয়ে যায় ৩-০ গোলে। তবে ম্যাচের কিছু ক্লাইমেক্স যেন তখনও বাকি ছিল।
ম্যাচ জয় যখন মোটামুটি নিশ্চিত তখন কার্লো আনচেলওি কিছু পরিবর্তন করে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াদের তুলে নেয়। ম্যাচের ৭০ মিনিটে মাঠে নামে এন্ড্রিক। আজ তাকে প্লেইং টাইম কিছুটে বেশি দেওয়া হয়। তবে ম্যাচের ৮৫ এবং ৮৬, দুই মিনিটে প্রতিপক্ষ দুই গোল করে বসে। ম্যাচের অবস্থা দাঁড়ায় তখন ৩-২। তবে ম্যাচের বাকি সময়ে আর কোন গোল হয়নি। এন্ড্রিক প্রতিপক্ষের গোল অভিমুখে কয়েকটি শর্ট করলেও ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়। ম্যাচে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট অর্জন করে রিয়াল মাদ্রিদ। এই সিজেনের প্রথমে দলের মধ্যে একটা বোঝাপড়ার অমিল দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু আস্তে আস্তে সেটা ঠিক হয়ে যাচ্ছে। এমবাপ্পে দারুণ ভাবে মানিয়ে নিচ্ছে দলের সাথে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.