আবার আসিব ফিরে!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
গতবারের মতো এবারেও ঈদের দিন আর কোথাও যায়নি। সারাদিন বাড়িতেই ছিলাম। সন্ধ্যার সময় আমার কয়েকজন বন্ধু ফোন করলেও আমার বের হতে ইচ্ছা হয়নি। ইদানিং একাকিত্ব টা আবার আপন করেছে আমাকে। যদিও এর জন্য খুব একটা খারাপ লাগছে ব্যাপার টা সেটা না। একাকিত্ব খারাপ কিছু না। তো এটা ঈদের দুইদিন পরের কথা বাড়িতে থেকে যেন একেবারে হাফিয়ে উঠেছিলাম কোথাও যাওয়া দরকার। একটু রিফ্রেশমেন্ট দরকার। আর কুমারখালীতে যখন কোথাও ঘুরতে যাওয়ার কথা আসে আমার সবার আগে এই জায়গাটার কথায় মনে পড়ে। এটাক সবাই এম এন পার্ক হিসেবেই চেনে। একেবারে গড়াই নদীর তীরে। যদিও এটা পার্ক হয়েছে মাএ ৫-৬ বছর। তবে এই জায়গাটা আমার পরিচিতি সেই ২০১৩ সাল থেকে যখন আমি এই স্কুলে ভর্তি হয়।
আর ঐদিন আবওহাওয়া টাও ছিল দারুণ অসাধারণ। বিকেল হতেই মেঘে আকাশ টা ঢেকে গেল। মনে হচ্ছিল বৃষ্টি হবে কিন্তু আমি একটু ঝুঁকি নিয়ে ছাতাটা নেয়নি। যাচ্ছি ঘুরতে ঐসময় ছাতা টানতে ইচ্ছা হয় বলেন যাইহোক বাড়ি থেকে বের হয়ে একটা ভ্যানে চলে গেলাম সেখানে। গিয়ে দেখি অনেক লোকের সমাগম। সাধারণত বিকেলে এখানে মোটামুটি লোকজন হয় বিশেষ করে বর্ষার সময়ে নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে। তবে ঈদের পরে হওয়াই আমার চিন্তার চেয়েও বেশি লোক ছিল। সবাই ঘুরতে এসেছে। সত্যি বলতে গিয়ে দেখি দাঁড়ানোর পযর্ন্ত জায়গা নেই। আর আমি একা এই জন্য একটু ইতস্তত লাগছিল। অবশেষে গিয়ে দাঁড়ালাম।
তখনই পশ্চিম দিক একটা একটা ঠান্ডা হাওয়া এসে আমার শরীরে একটা শিহরণ সৃষ্টি করে দিয়ে গেল। আমি দাঁড়িয়ে আছি। মেঘলা ওয়েদার বেশ সুন্দর বাতাস হচ্ছে সুন্দর স্বচ্ছ নদীর পানি প্রবাহিত হয়ে যাচ্ছে। এ যেন অন্যতম সুন্দর একটা ওয়েদার। এর জন্য কতগুলো দিন অপেক্ষা করেছি ঠিক নেই। এইরকম একটা দিনের জন্য অনেকদিন অপেক্ষায় থাকতে হয়। ঐসময় আমি কিছু ফটোগ্রাফি করি। যদিও একটা ভিডিওগ্রাফিও করেছি। কিন্তু সেটা আপনাদের সাথে পরবর্তীতে শেয়ার করে নিব। এরপর একটা চেয়ার ফাঁকা হলো। পাশেই একটা দোকানে কফি মেকারে কফি বিক্রি করছিল। একটা কফি নিয়ে এলাম।
কফি টা নিয়ে এক চুমুক দিয়ে দেখলাম না খারাপ না। তখন কফি-ওয়েদার-নদীর সমন্ধয়ে কয়েকটা ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করেছিলাম। কফি টা শেষ করে বসে রইলাম। সবাই সঙ্গী নিয়ে এসেছে হয় বন্ধু না হয় পরিবার। শুধুমাত্র আমিই একা গিয়েছি সেখানে। যাইহোক বসে থাকার সময় মনে হচ্ছিল ইস আবার যে কবে আসব এখানে তার ঠিক নেই। তখনই মনটা খারাপ হয়ে গেল। ঢাকা চলে গেলে এই পরিবেশ এই ওয়েদার এই নদী সবকিছু অনেক মিস করব। ততক্ষণে দিনের আলো নিভে গেছে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে। পাশেই স্ট্রিট লাইটগুলো জ্বলে উঠেছে। আমি প্রায় দেড়ঘন্টার উপর সময় অতিবাহিত করে ফেলেছি। শুধুমাত্র নদীর দিকে তাকিয়ে সময় উপভোগ করতে করতে। তবে ঐ সবই নিয়ম। শেষমেশ আমাকে উঠে আসতে হলো। আবার খুব দ্রুতই ফিরে যাব এখানে,হয়তো ছয় মাস বা এক বছর পরে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া বর্তমানে সবাই চায় প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে কিছুটা সময় কাটাতে। সব থেকে বেশি দেখা যায় শহর এলাকার মানুষগুলোকে এরকম সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশে। তবে একটা কথা আপনি ঠিক বলেছেন কোথাও ঘুরতে গেলে ছাতা হাতে নিয়ে বেড়াতে একদমই ভালো লাগেনা। কফির সঙ্গে ওয়েদার টা দেখতে বেশ ভালো লাগছে। কিছু কিছু জায়গা যদি একবার গিয়ে ভালো লাগে ইচ্ছে করে বারবার যেতে। আবার আসিব ফিরে আপনার সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে ভাইয়া প্রাকৃতিক মৃদু হাওয়া সব সময় মানুষকে মুগ্ধ করে দেয়। আপনার একাকীত্ব লাগে জেনে ভালো লাগলো তবে সব সময় একা থাকা আসলে উচিত নয়। যাইহোক আপনি নদীর পাড়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এরকম ঘুরাঘুরির জায়গায় সাধারণত একা গিয়ে খুব বেশি উপভোগ করা যায় না। কয়েকজন মিলে গেলেই এনজয়মেন্টটা বেশী হয়।
যাহোক। আপনার ঘুরাঘুরির বর্ণনা শুনে ভাল লাগলো। সুন্দর একটা জায়গা বলে মনে হচ্ছে।
স্বাভাবিক একজন মানুষের তুলনায় একজন ডায়াবেটিস আক্রান্ত রুগীর-
⚠️অন্ধ হওয়ার ঝুকি ২৫ গুন বেশী
⚠️পা কেটে ফেলার ঝুকি ২০ গুন বেশী
⚠️ব্রেন স্ট্রোকের ঝুকি ৬ গুন বেশী
⚠️কিডনি বিকল হওয়ার ঝুকি ৫ গুন বেশী
⚠️হার্ট এটাকের ঝুকি ২-৩ গুন বেশী
✔️ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা ছাড়া কোন উপায় নাই!!
জায়গাটা বেশ সুন্দর ভাইয়া। পাশে নদী সেই নদীর কিনারে বসে খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করা যাবে। যেহেতু সেখানে পার্ক হলো অনেক ভালো লাগবে। কুমারখালীর সেই নদীর পাশে এন পার্কে গেলেন। খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করলেন। অনেক ভালো লাগলো আপনার অনুভূতিগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।