🚃🚅ট্রেন ভ্রমণ 🚃🚝। ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ভ্রমণ পছন্দ করে না এইরকম মানুষ পাওয়া কঠিন। এবং আমি তো ভ্রমণ খুবই পছন্দ করি। তবে ট্রেন ভ্রমণের মধ্যে আলাদা একটা মজা রয়েছে। ট্রেনকে সবচেয়ে নিরাপদ যানবাহন বলা হয়। কিছুদিন আগে আমি এবং আমার বন্ধু ট্রেন ভ্রমণ করেছিলাম। ভ্রমণ টা আমরা দুজন খুবই উপভোগ করি। ট্রেন ভ্রমণের সিদ্ধান্ত টা আমরা হঠাৎ করেই নিয়ে নেয়। তারপর আর কী উঠলো বাই তো কটক যায়। আজ সেই ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। সবাই সাথে থাকুন। এই পোস্টের ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।
কলেজের ক্লাসগুলো আগেই শেষ হয়ে গেল। এবং দুইটা ক্লাস স্যার নেই। তাই আমি এবং আমার বন্ধু নাভিদ ঠিক করি একটা ট্রেন ভ্রমণ দেওয়া যাক। যদিও আমরা ট্রেনে করেই বাড়ি যেতাম। এরই ধারাবাহিকতায় ঠিক ১১:৩০ এর পর পর আমরা দুজন কুষ্টিয়া কোর্ট রেলওয়ে স্টেশনে চলে যায়। এরপর আমরা পুরাদহ রেলওয়ে জংশন পযর্ন্ত টিকিট কেটে নেয়। এরপর ট্রেন চলে আসে। ট্রেনে সেইরকম ভীড় ছিল না। আমরা ট্রেনে উঠে যায়। এরপর দুজন জানালার ধারের সিট দেখে বসি। কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ে ১১:৪৮ এর সময়।
ট্রেনের মধ্যে আমি এবং নাভিদ সামনা সামনি বসে বাইরের দৃশ্যগুলো দেখছি। অহ কী সুন্দর গাছপালা সবুজ মাঠ। কিন্তু অনেক গরম থাকায় একটু অসহ্য ও লাগছিল। কিন্তু ট্রেন ছাড়ার পর বাতাস লাগায় অনেকটা গরম কেটে যায়। বেশ ভালোই লাগছিল। মাঝে মাঝে আমি একটু ডিসকোর্ডে উকি মারছি। এভাবেই চলতে থাকে ভ্রমণ। বেশ ভালোই অনূভুতি হচ্ছিল।
এরপর আমরা চলে আসি পরবর্তী স্টেশনে। এটা হলো বাংলাদেশের প্রথম রেলওয়ে স্টেশন। হ্যা ঠিকই পড়েছেন এটাই হলো বাংলাদেশের প্রথম রেলওয়ে স্টেশন। ইংরেজরা এখান থেকেই ট্রেন চলাচল শুরু করে। এই স্টেশনটার নাম জগতি। এটা কুষ্টিয়া জেলার মধ্যে অবস্থিত। এটা বাংলাদেশের প্রথম স্টেশন হলেও এর সেইরকম কোনো উন্নতি নেই বললেই চলে। এর অবস্থা আগের মতই আছে। এখানে অনেক বড় বড় শিল্পকারখানা ছিল। এবং সেই কারখানার শ্রমিকদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য এই স্টেশন টা স্থাপিত করা হয়। এখানে শুধুমাত্র লোকাল ট্রেন দাঁড়ায় তাও আবার ৫ মিনিটের জন্য। তবে স্টেশনটার প্রাকৃতিক পরিবেশ বেশ সুন্দর। এরপর এখান থেকে আবার যাএা শুরু হয় পরবর্তী স্টেশনের উদ্দেশ্যে। এরপরের স্টেশন হলো পুরাদহ জংশন।
এটা হলো পোরাদহ জংশন। এই ট্রেনের গন্তব্য এই স্টেশন পর্যন্তই। এরপর এখান থেকে ট্রেনের অপারেটর বগি ঘুরিয়ে আবার কুষ্টিয়া কুমারখালী হয় রাজবাড়ী যাব্র। এই পোরাদহ জংশনে চারটা প্লাটফর্ম আছে। এখানে খুলনা, রাজশাহী, ঢাকা এবং কুষ্টিয়া এর চারটি লাইন বের হয়েছে।এখানে মোটামুটি ২০-২৫ মিনিট ট্রেন দাঁড়াবে। তাই আমি নিচে নামি। কিন্তু আমার বন্ধু নাভিদ নিচে নামে নাই। আমি নেমে পুরো জংশনটা ঘুরে দেখি। অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করি আপনাদের জন্য। জংশনটা মোটামুটি বেশ ভালো। এখানে দিনরাত ২৪ ঘন্টা মানুষের আনাগোনা থাকে। এরপর ট্রেন ছাড়ার সময় হলে আমি ট্রেনে উঠি পড়ি। এবং ঠিক ১:০৫ এর সময় ট্রেন পুরাদহ জংশন ত্যাগ করে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে।
এরপর আবার শুরু হয় যাএা। এবার বাড়ি ফেরার পালা। একে একে কুষ্টিয়া হতে আমরা কুমারখালী স্টেশনে গিয়ে নেমে পড়ব। আমাদের ভ্রমণের শেষ হতে চলেছে। এবং ট্রেনের মধ্যে লোকজনের সমাগমও বাড়তে থাকে। এভাবেই অনেকক্ষণ যাএা করে ঠিক ১:৫০ এর সময় ট্রেন কুমারখালী স্টেশনে থামে। আমি এবং নাভিদ ট্রেন থেকে নেমে পড়ি। এভাবেই শেষ হয় আমাদের ট্রেন ভ্রমণ। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
----- | ----- |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | VIVO Y91C |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
আমি ইমন হোসেন। আমি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় বসবাস করি। আমি একজন ছাএ। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে লেখাপড়া করি। আমি খেলাধুলা ভালোবাসি। বিশেষ আমি ফুটবল পছন্দ করি।
অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন ভাইয়া। আর অনেক স্টেশনেও ঘুরেছেন। জায়গা গুলো অনেক সুন্দর।
আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।
ভাইয়া আপনি নৌকা ভ্রমন করে অনেক ভালো সময় পার করেছেন তা দেখে বোঝা যাচ্ছে। আসলে আমরা কয়েকজন মিলে মাঝে মধ্যে এরকম করে থাকি। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি অনেক ভালো হয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য। এবং ওটা নৌকা না ট্রেন ভ্রমণ ছিল😂।
আপনার এটা পড়ে কিন্তু বেশ লাভ হলো।লাভ বলতে একটা এমসিকিউ শিখে ফেললাম আপনার এই পোস্ট পড়ে।আমি আসলেই জানতাম না যে বাংলাদেশের প্রথম রেলওয়ে কোনটা।
বাহ তাই নাকী✌।
স্কুলের ফাঁকে অবসর সময় গুলোতে ট্রেন ভ্রমণ করলে মন্দ হয় না। ট্রেন ভ্রমণ এর মাধ্যমে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। ছবিগুলো খুব সুন্দর হয়েছে ।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।।
কার কেমন লাগে জানি না ভাই
তবে ট্রেন ভ্রমণ আমার খুব ভালো লাগে
আর আপনার লেখনীর মাধ্যমে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও পেয়ে গেলাম
খুব ভালো লাগলো ভাই
ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।
ভাইয়া,আপনি ট্রেন ভ্রমন করে অনেক ভালো সময় পার করেছেন তা দেখে বোঝা যাচ্ছে। আসলে আমরা কয়েকজন মিলে মাঝে মধ্যে এরকম করে থাকি। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি অনেক ভালো হয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।।
খুবই আনন্দঘন একটি ট্রেন ভ্রমণ ছিল আশা করছি। ট্রেন ভ্রমণ বরাবরই আমার কাছে খুব ভাল লাগে। আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম বাংলাদেশের প্রথম রেলওয়ে স্টেশন এটিই। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাই তথ্যবহুল একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।।
ট্রেন ভ্রমন আমার কাছে দারুন লাগে। আমি সুযোগ পেলেই ট্রেনে ভ্রমন করতে পছন্দ করি। আপনি খুব সুন্দর একটা সময় কাটিয়েছেন।
😍। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।
আপনি আর আপনার বন্ধু মিলে দারুণ একটি ভ্রমণ করেছেন ভাইয়া।আমার ও ট্রেনে চড়তে খুব ভালো লাগে তবে স্বল্প পথ।ট্রেনের জানালার পাশে বসে ফুরফুরে হাওয়া উপভোগ দারুণ একটি অনুভূতির সৃষ্টি করে।ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যা জানালার পাশে বসার একটা আলাদা মজা আছে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।।
অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে
ট্রেন ভ্রমণ আসলে অনেক ভালো লাগে আমার। আমি জীবনে ৩-৪ বার ভ্রমণ করছি৷
শুভকামনা ইমন ভাই
বাহ তাহলে তো আপনার ট্রেন ভ্রমণ সম্পর্কে ধারণা আছে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।