সেরা 'রা সবসময় আড়ালেই থেকে যায়।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
মহাভারত হিন্দুধর্মাবলম্বীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটা ঘটনা। মহাভারতের ঘটনার প্রায় সবকিছুই আমার জানা। এটা জানার অবশ্য একটা কারণ আছে। সেটা অন্যদিন বলব। মহাভারতের দুই প্রধান ব্যক্তি বা চরিত্র ছিল অর্জুন এবং কর্ণ। তারা একে অন্যের শএু হলেও তারা কিন্তু একই মায়ের সন্তান। তাদের দুজনেরই মাতা ছিলেন কুন্তী। কথায় পঞ্চপান্ডব বললেও এই পান্ডবরা ছিল ৬ ভাই। যদিও কর্ণকে কুন্তী জন্ম দেয় পান্ডুর সঙ্গে বিবাহ হওয়ার আগে। এর পেছনেও একটা কাহিনী আছে। যাইহোক এই ঘটনা শুধু কুন্তীই জানত যে কর্ণ তার ছেলে অন্য কেউ জানত না। কর্ণ এবং অর্জুন দুজনই ছিল সেরা ধর্নুবিদ। দুজনের মধ্যে কে সেরা যোদ্ধা এইরকম একটা প্রতিযোগিতা সবসময়ই ছিল। অর্জুন ছিল গুরু দ্রনাচার্জ এর শিষ্য। অন্যদিকে কর্ণ ছিল গুরু দ্রনাচার্জ এর গুরু পরশুরাম এর শিষ্য। দুজনের মধ্যেই সেরা হওয়ার সব গুণই ছিল।
তবে ব্যক্তি জীবনে কর্ণ একজন রথচালক এর পুএ হওয়াই সর্বএ সে বঞ্চিত হয়েছে। যদিও পরবর্তীতে দূর্যোধন এর বন্ধুত্বে সে একটা প্রদেশের রাজা হয়। এবং শেষ দিকে কুরুক্ষেএের যুদ্ধে কর্ণ অর্জুনের তীরের আঘাতে মারা যায়। তার মানে এই না যে অর্জুন কর্ণের চেয়ে সেরা ছিল। এটা মাএ একটা উদ্দেশ্য ছিল। কে সেরা যোদ্ধা ছিল কর্ণ না অর্জুন এই তর্ক যেমন চলছে ঠিক তেমনি এই সময়ে কে সেরা ফুটবলার এই তর্কটাও চলছে আমাদের জেনারেশনের মধ্যে। আমরাই সম্ভবত সবচাইতে সেরা জেনারেশন যারা সর্বকালের সেরা দুইজন ফুটবলারের খেলা একসঙ্গে উপভোগ করতে পারছি। তারা হলেন লিওনেল মেসি এবং ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। কর্ণ এবং অর্জুনের মধ্যে যেমন সেরা হওয়ার প্রতিযোগিতা ছিল তেমনি এদের মধ্যেও রয়েছে। তবে একেবারে ব্যক্তিগতভাবে কিন্তু আমি রোনালদোর ভক্ত। রোনালদো আমার পছন্দের খেলোয়ার।
২০০৭ সাল থেকে দুজনের লড়াই চলছে। এই লড়াইটা আরও জমে উঠে যখন ২০০৯ রোনালদো ম্যান ইউনাইটেড থেকে রিয়াল মাদ্রিদে আসে। ২০০৭ থেকে এখন পযর্ন্ত চলছে দুজনের লড়াই। আজকে রোনালদো মেসিকে তো কালকে মেসি রোনালদো কে ছাড়িয়ে যাচ্ছে এমনটা চলে আসছে আজ ১৭ বছর ধরে। কেউ রোনালদো কে বলে সেরা আবার কেউ মেসি কে বলে সেরা। এখানে যে যার নিজস্ব পছন্দ প্রকাশ করে। তবে একটা কথা তীক্ত হলেও সত্য মেসি সবসময় ছিল মিডিয়ার বরপুএ। অন্যদিকে মিডিয়া গুলো সবসময়ই রোনালদো কে অবজ্ঞা করেছে। ঠিক যেমনটা মহাভারতে হয়েছিল। কুরুবংশের সন্তান হওয়াই অর্জুন যেমন সবকিছু খুব সহজেই পেয়ে গেছে কিন্তু কর্ণ যোগ্য হওয়ার পরেও সবকিছু তাকে লড়াই করে অর্জন করা লেগেছে। তারপরেও বহু ক্ষেএে কর্ণের কিন্তু অবিচার হয়েছিল শুধু তার জন্মপরিচয় নিয়ে।
মেসি রোনালদোর ক্ষেএেও ব্যাপার টা এমন। আর্জেন্টিনার মতো একটা ফুটবল টিম থেকে উঠে আসা এবং বিভিন্ন কারণে মিডিয়া সবসময়ই মেসিকে করেছে হাইলাইট। অন্যদিকে পর্তুগালের মতো একটা দেশ থেকে উঠে আসা এবং সেই দলকে সেরার কাতারে নিয়ে যাওয়ার পরেও রোনালদো কে কখনোই মিডিয়া সেইভাবে হাইলাইট করেনি। যারা অন্তত ফুটবল টা ঠিকভাবে অনুসরণ করে দীর্ঘদিন ধরে তারা এটা খুব সহজেই বুঝতে পারবে। না আমি মেসিকে ছোট করছি না। মেসি অবশ্যই সেরা। কিন্তু মেসি যা খুব সহেজেই পেয়ে গেছে অর্জুনের মতো অথচ রোনালদো সমান যোগ্যতা সম্পন্ন হওয়ার পরেও সেই সবকিছু তার লড়াই করে অর্জন করে নেওয়া লাগছে কর্ণের মতো। কিন্তু ২০২২ সালে বিশ্বকাপ জেতার পরে তো অনেকে মেসির সঙ্গে রোনালদোর তুলনা করতেই আর রাজি না। তাদের বলি ঐটা হয়েছিল ফিফার সুন্দর পরিকল্পনার জন্য। না হলে বিশ্বকাপের ৮ ম্যাচে ৬ পেনাল্টি ভাবতে পারেন। মহাভারতের যুদ্ধে যেমন অর্জুনের রথের সারথী হয়ে কৃষ্ণ অর্জুন কে করেছিল সেরা। এবার মেসির বিশ্বকাপে জেতার ক্ষেএে কৃষ্ণের সেই কাজটা করেছে ফিফা হা হা হা। এই যে গতরাতে কোন কারণ ২০২৩ সালে একেবারে উল্লেখযোগ্য কোন পারফরম্যান্স না থাকার পরেও কী সুন্দর ফিফা দ্যা বেস্ট জিতে গেল মেসি।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
মেসিকে অর্জুনের সাথে আর রোনালদোকে কর্ণের সাথে উদাহরণ দেওয়ার মাধ্যমে পুরো বিষয়টাকে অনেক সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন ভাই।
যাইহোক, মিডিয়া মেসিকে একটু বেশি হাইলাইটস করেছে, এটা ঠিক। তবে মেসির একটা গড গিফটেড ট্যালেন্ট রয়েছে ,সেটা সবাইকে মানতেই হবে। অন্যদিকে রোনালদো নিজের পরিশ্রমের বলে এতটা উপরে উঠেছে। দুজনেই বিশ্বসেরা, কম কেউই না। আমি এখানে কাউকে ছোট বড় করব না, আমার কাছে দু'জনেই সমান।
এটা ঠিক বলেছেন মেসি গড গিফটেড।
আমি তো ভাই মেসির অনেক বড় ফ্যান । আপনার এই পোস্টটি পড়ে মনে হলো আপনি রোনালদো এর অনেক বড় ফ্যান।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সময়ের সেরা দুজন ফুটবলারকে নিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনি ঠিকই বলেছেন, আমরা সেরা জেনারেশন, সর্বকালের সেরা দুইজন ফুটবলারের খেলা একসঙ্গে উপভোগ করতে পারছি। রোনাল্ড আর মেসি তারা স্বমহিমায় উজ্জ্বল। তাদের নিয়ে ভালো লিখেছেন। লেখাটি শেয়ার দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি মেসি এবং রোনালদো দুজনকেই অনেক সম্মান করি। কারণ এই দুজনেই ফুটবলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। ভাই এবারের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার পাওয়ার পেনাল্টি গুলো যে, অযৌক্তিক ছিল এমনটা নয়! যে ব্যক্তি সবসময় নিজেকে সেরা দাবি করে সে কখনোই সেরা হতে পারে না। তবে ২০২৩ সালের ব্যালন ডি অর এর যোগ্য দাবিদার ছিল আরলিং হল্যান্ড। সমান পয়েন্ট পেয়েও ফিফার বেঁধে দেওয়া নিয়মের কারণে মেসির লিওনেল মেসির হাতে উঠেছে শেষ পর্যন্ত ফিফা দ্যা বেস্ট। তবে এখানে যে দুর্নীতি হয়েছে এমনটা নয়! এবারে যারা ভোটাভুটিতে ছিলেন তারা অবশ্যই মেসিকে অনেক বেশি ভালোবাসেন। এবারে আরলিং হল্যান্ডের হাতে পুরস্কারটা উঠলে আমিও অনেক খুশি হতাম কারণ পারফরমেন্স ছিল অনবদ্য।
কিছু বলার নেই। এগুলো পারফরম্যান্স বিবেচনা করে দেওয়া উচিত। ভোট বিবেচনা করে না। এইজন্যই মিডিয়া এবং ফিফার বরপুএই বলেছি মেসিকে।
এই সময়ের সেরা দুজনকে নিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন৷ আপনার কাছ থেকে পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো৷ আপনি একদম ঠিক বলেছেন আমাদের মত ভাগ্যবান মানুষ হয়তো খুব কম রয়েছে৷ যারা সেরা দুজন খেলোয়াড়ের খেলা একসাথে উপভোগ করতে পারছি৷ আমি তাদের সবগুলো খেলাই দেখার চেষ্টা করি৷ তাদেরকে নিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ।