মুখোশধারীদের থেকে সাবধান!!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
মানুষ মানুষের জন্য। কথাটা আমরা কম বেশি সবাই শুনেছি। এটা কিন্তু শুধু কোন কথা না। সৃষ্টিকর্তা মানুষের সহযোগিতার জন্য পৃথিবীতে মানুষকে পাঠিয়েছেন। পুরো মানবজাতি একে অন্যের ভাই। জন্ম এবং মৃত্যুর মাঝে আমাদের সবচাইতে বেশি প্রয়োজন হলো মনুষ্যত্ব। কিন্তু জাত, ধর্ম, ক্ষমতা, ভূখণ্ড এসবে ভেঙে আমরা এতো টুকরো হয়েছি যে মনুষ্যত্ব ব্যাপার টা আসে সবার শেষে। বাংলাদেশের বতর্মান সংকটকালীন অবস্থা সম্পর্কে আমরা সবাই অবগত। অনাকাঙ্ক্ষিত বন্যা বা স্মরণকালের সবচাইতে বড় বন্যায় ফেনী, লক্ষীপুরো, নোয়াখালী এবং কুমিল্লার অবস্থা খারাপ। বিশেষ করে ফেনীর অবস্থা বেশি খারাপ। যদিও আমি প্রায় ১২ দিন মতো স্যোসাল মিডিয়ায় নেই। কিন্তু তারপরও নিউজগুলো পাচ্ছি।
বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসছে পুরো দেশের মানুষ। বাংলাদেশের অনেক অফিসের মানুষ তাদের এক দিনের বেতন দিচ্ছে বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য। গতকাল আমাদের এখানেও একদিনের বেতন কেটে নিয়েছে। যদিও আমাদের কোম্পানির ওনার চাইলে এই সহযোগিতার পরিমাণ হয়তো আরও বাড়াবে। পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুল কলেজ অসংখ্য ফাউন্ডেশন নিরবিচ্ছিন্নভাবে তাদের কাজ করে যাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি বন্যার্তদের সাহায্য সংগ্রহের সময় মানুষের দারুণ সাড়া পাওয়া গিয়েছে। আমাদের অনেক হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভাইয়েরা তাদের সবচাইতে বড় উৎসব দূর্গা পূজার বাজেট কমিয়ে সেটা বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য দান করছেন। সত্যি বলতে এগুলো দেখলেও ভালো লাগে। এমন বাংলাদেশই তো আমরা চেয়েছিলাম।
বন্যার্তদের এান দিতে অসংখ্য মানুষ বন্যা কবলিতে এলাকায় চলে যাচ্ছে। তবে এর মধ্যে আবার কিছু সমস্যা দেখা গিয়েছে। দেখলাম এমন অনেকে আছে যারা বন্যার্তদের সাহায্য করার জন্য টাকা তুলে তাদের জন্য কিছু এান কিনে ১০-১২ জন মিলে পিকনিক করতে যাচ্ছে। এমন ট্যুরের নাম দিয়েছে তারা বন্যা ট্যুর। তাদের মনুষ্যত্ব বিবেক আছে নাকী আমার সন্দেহ হয়। আবার অসংখ্য ব্লগার কনটেন্ট ক্রিয়েটর এই সুযোগ লুফে নিচ্ছে। নাম মাএ এান সহযোগিতা দিয়ে তারা ভিডিও করছে ছবি তুলছে তারা কনটেন্ট তৈরি করছে। এরা হচ্ছে নিকৃষ্ট জীব। তাদের বোঝা উচিত যারা এমন বিপদের মধ্যে আছে তাদের বর্তমান অবস্থা। তারা সবাই পরিস্থিতির স্বীকার। অসংখ্য মানুষ আছে যাদের প্রয়োজন এখন কিন্তু এই ছবি তোলা ভিডিও করা দেখে লজ্জার জন্য আসতে পারছে না এান নিতে।
এই ব্যাপার টা আমার কাছে বরাবরই খারাপ লাগে। আপনাদের উদ্দেশ্যে বলব যারা অতিরঞ্জিত ভাবে এসব অসহায় মানুষদের ভিডিও করে কনটেন্ট ক্রিয়েট করে তাদের বর্জন করেন। সৃষ্টিকর্তা আমাদের প্রতিনিয়ত পরীক্ষার মধ্যে ফেলেন বিপদ দিয়ে। তেমনি এই বন্যাটাও তার একটা পরীক্ষা। এইরকম একটা অবস্থায় পুরো বাংলাদেশ একএিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলার চেষ্টা করছে। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সবার মাঝে একটা ভাতৃত্বের সৃষ্টি করেছেন। যেটা আগেও ছিল কিন্তু এতোটা পরিমাণে ছিল না। অসংখ্য বাচ্চাদের দেখলাম যারা তাদের জমানো টাকার পুরোটা দিয়ে দিয়েছে। তারাও পিছিয়ে থাকতে রাজি না। তারাও এগিয়ে এসেছে। আমাদের সবার উচিত নিজের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ টা দিয়ে আমাদের ভাইদের পাশে থাকা। আজ তারা এই অবস্থায় কাল যে আমরা বিপদে পড়ব না এর কোন নিশ্চয়তা নেই।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
শুক্ষো! আমি ইমন হোসেন। আমার একটা বলিউথ নাম ইটুকুই। আমরা প্রকৃত চিরশখা আমরা, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এই ধরনের বিবেকহীন মানুষ আমাদের সমাজে রয়েছে। যারা এমন বন্যার্তদের সহযোগিতার কথা বলে টাকা তুলে ট্যুর করতে যাচ্ছে সৃষ্টিকর্তা তাদেরকে ছাড়বে না। কারণ কাউকে ঠকিয়ে কেউ কখনো ভালো থাকতে পারে না। যেহেতু সবাই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তারা এটা তামাশা করা ছাড়া আর কিছু করছে না। আপনার লেখাগুলো পড়ে খুব খারাপ লাগলো।