স্প্যানিস সুপার কাপ সেমিফাইনাল!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
bein sports থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া
যে রাতে ফুটবল থাকে না ঐরাত টা আমার কাছে ভীষণ বিরক্ত লাগে। যদিও আমি রিয়াল মাদ্রিদের ফ্যান। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদের খেলা না থাকলে অন্য দলগুলার খেলা দেখি। গতকাল রাতে রিয়াল মাদ্রিদের ম্যাচ ছিল। স্প্যানিস সুপার কাপ এর সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ মুখোমুখি হয় আরেক স্প্যানিস ক্লাব মালোর্কার। এবং এই ম্যাচটা অনুষ্ঠিত হয় সৌদি আরবের জেদ্দায়। সুপার কাপের প্রথম সেমিফাইনালে অ্যাতলেটিকো বিলাবাও কে হারিয়ে ইতিমধ্যে ফাইনালে চলে গিয়েছে বার্সেলোনা। দেখার অপেক্ষায় ছিলাম রিয়াল মাদ্রিদ জিততে পারে কীনা। যদিও প্রতিপক্ষ দূর্বল ছিল। কিন্তু মাঠে তারা বেশ ভালো পারফরম্যান্স করেছে। ম্যাচটা ছিল বাংলাদেশ সময় রাত ১ টাই। যথারীতি ম্যাচ দেখার জন্য আমি জেগে ছিলাম।
কার্লো আনচেলওি তার দলকে মাঠে নামায় ৪-৩-৩ এর চিরচেনা ফর্মেশনে। যেখানে আক্রমণভাগে ছিল ভিনিসিয়াস, এমবাপ্পে এবং রদ্রিগো। এবং গতকাল ছিল রদ্রিগোর জন্মদিন। এইজন্য আমি খুব করে চেয়েছিলাম নিজের জন্মদিনে যেন ছেলেটা গোল পাই। অন্যদিকে মালোর্কা এর ফর্মেশন ছিল ৪-৪-২। যথা সময়ে ম্যাচটা শুরু হয়। রিয়াল মাদ্রিদ বেশ দেখে খেলছিল। নিজেদের মধ্যে বল পাস খেলছিল বেশি। এবং মালোর্কা এর ডিফেন্স লাইন বেশ ভালো হওয়ার কারণে রিয়াল মাদ্রিদ খেলোয়ার রা ডিবক্সের বাইরে থেকেই শর্ট করছিল। ডিবক্সের বাইরে থেকে গোলে বেশ কিছু শর্ট করে বেলিংহাম, এমবাপ্পে, ভিনিসিয়াস রা। এরমধ্যে কিছু গোলরক্ষক সেভ দেয় এবং কিছু খেলোয়ারদের গায়ে লেগে প্রতিহত হয়।
এভাবেই খেলা এগিয়ে যেতে থাকে। মালোর্কা মাঝে মাঝে আক্রমণে গেলেও খুব একটা কিছু করতে পারছিল না। তবে মালোর্কা খেলোয়ারদের সাথে রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়ারদের একটা শারীরিক দ্বৈরথ দেখা যাচ্ছিল। প্রথমার্ধ শেষ হয় একেবারে গোলশূণ্যভাবে। দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসে রিয়াল মাদ্রিদ তাদের খেলার মধ্যে। তারা ডিবক্সের বাইরে অতিরিক্ত পাস খেলছিল। এবং বলটা নিয়ে ডিবক্সে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। ম্যাচের ৬৩ মিনিটে ভিনিসিয়াস বল দেয় ডিবক্সের মধ্যে রদ্রিগো হেড দিলে গোলবারে লেগে প্রতিহত হয়। ফিরতি বলে শর্ট নেয় এমবাপ্পে মালোর্কা গোলরক্ষক সেটা সেভ দেয়। বল চলে যায় বেলিংহামের কাছে। বেলিংহামের শর্টটা সেভ দিতে পারেনি গোলকিপার। গোল হয়ে যায়। এবং রিয়াল মাদ্রিদ ম্যাচে ১-০ গোলে এগিয়ে যায়।
এরপর আবার খেলা চলতে থাকে। এরমধ্যে রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়ারদের সাথে বেশ কয়েকবার মালোর্কা খেলোয়ার রা দ্বন্দ্বে জড়ায় মাঠে। ম্যাচের তখন অতিরিক্ত সময় চলছে ৯৩ মিনিটে ব্রাহিম দিয়াজ বল বাড়িয়ে দেয় এমবাপ্পের দিকে। তবে মালোর্কা খেলোয়ার আর আত্মঘাতী গোলে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটের খেলা চলছে। ডান দিক থেকে অসাধারণ একটা লং বল দেয় লুকাস ভাসকেজ। এবং গোল করে রদ্রিগো। অবেশেষ বার্থডে বয় রদ্রিগো গোল পায়। মোটামুটি ৩-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচ শেষে দুই দলের খেলোয়ারদের মধ্যে একটা ঝামেলা লেগে যায়। যদিও পরে সেটা নিয়ন্ত্রণে আসে। ১২ তারিখ সোমবার রাতে সুপার কাপ এর ফাইনালে বার্সেলোনার মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
যেহেতু রিয়াল মাদ্রিদ সেমিফাইনালের এই খেলাটাতে খুব ভালোভাবে জয় লাভ করেছে তাই আমার কাছে মনে হয়েছে অনেক ভালো হয়েছে। কারণ এবার ফাইনালে বার্সেলোনা এবং রিয়াল মাদ্রিদ এর মধ্যকার একটা জমজমাট খেলা দেখার সুযোগ পাবে ফুটবল বিশ্ব।