হতাশ হবেন না,ধৈর্য্য ধরুন!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আমাদের সবার জীবনে এমন একটা সময় আসে যখন সবকিছু আপনার সামনে থাকে কিন্তু কোনটা ঠিক কোনটা ভুল আপনি বুঝতে পারেন না। সত্য মিথ্যা সবকিছুই আপনি জানেন কিন্তু তারপরও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না আসলে কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল। ঐসময় টা আসলে আমাদের বিবেকের থেকে আমাদের মন বেশি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে আমাদের মস্তিষ্ক কে। এমন সময় সবার জীবনেই এসেছে কম বেশি। আমি নিজে এখন এই সময় টা অতিবাহিত করছি এইজন্য বিষয় গুলো বেশি উপলব্দি করতে পারছি। সবকিছু আমার সামনে আছে তবুও আমি বুঝতে পারছি না। গল্পের আড়ালেও নাকি গল্প থাকে। ব্যাপার টা মানুষের জীবনের সাথে যেন পুরোপুরি মিলে যায়। একটা মানুষ কে আমরা যতই কাছ থেকে দেখি না কেন তার কতটুকুই বা জানতে পারি বলেন।
মানুষের সাথে অনেক বেশি আবদ্ধ হলেও সে সবকিছু বললেও হয়তো অনেক কিছু আমাদের অজানা থেকে যায়। মানুষের জীবনের গল্পের আড়ালেও তো অনেক গল্প থাকে। আমরা মানুষ সাধারণত একটা বয়স অতিবাহিত করি যখন আমাদের আবেগ বেশি থাকে। আমরা পুরোপুরি আবেগ দ্বারা পরিচালিত হয়। এই সময় যাদের সঠিক পরামর্শ দেওয়ার মানুষ থাকে না তারা অধিকাংশ সময় ভুল পদক্ষেপ নিয়ে থাকে আবেগের বশবর্তী হয়ে। আর সেই ভুলের খেসারত দিতে হয় সারাজীবন ধরে। এদিক থেকে আমি অবশ্য আমার কিছু শুভাকাঙ্খির পরামর্শ সবসময় পেয়েছি। তক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত গুলো আমার মোটেও পছন্দ হয়নি। কিন্তু পরবর্তীতে ঠিকই অনুধাবন করেছি হ্যা তিনি আমাকে সঠিক পরামর্শ দিয়েছিলেন।
সাধারণত আমাদের বয়স যখন ১৬-১৮ ঐসময় আমরা সবচাইতে বেশি আবেগ দ্বারা পরিচালিত হয়। এবং ২০-২২ বছর বয়সের দিকে এই আবেগ আমাদের কাটতে শুরু করে। তখন আমরা বাস্তবতা বুঝতে শিখি। আবেগ এবং এই বাস্তবতা যখন আমরা বুঝতে শিখে যায় ঐসময় টা আমার মতে জীবনের সেরা সময়। আমি জানি আমরা সবাই জীবনের একটা সময় একটা বিশেষ মানুষের বিচ্ছেদে কেঁদেছি। সবাই না তবে অধিকাংশের সাথে এমন হয়েছে আমার ধারণা। কিন্তু একটা সময় গিয়ে ঐ কথাগুলো যখন আমাদের মনে পড়ে তখন কিছুটা হাসি পায়। মনে হয় সত্যি এমন করেছিলাম। না আমার আপনার অনূভুতির পরিবর্তন তো হয় না। তবে আমরা পরিস্থিতি সামলে নিতে শিখে যায়। আবেগ কে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখে যায়।
তখন চাইলেও আমরা কান্না করতে পারি না। কিন্তু ঐ হারিয়ে যাওয়া মানুষের উপর আমাদের একটা অনূভুতি সবসময় কাজ করে। ম্যাচিউরিটি কখনও নাকী বয়স দেখে হয় না । কথাটা শতভাগ সত্য। যে মানুষ যত দ্রুত বাস্তবতা বুঝতে শেখে যে মানুষ যত দ্রুত বাস্তবতার মুখোমুখি হয় সে তত দ্রুত ম্যাচিউরড হয়। জীবন কে নিয়ে সবারই একটা পরিকল্পনা থাকে। আমাদের সবার থাকে। সবকিছু আমরা ভেবে রাখি। কিন্তু সবসময় আমাদের ইচ্ছামতো সবকিছু আমাদের জীবনে হয় না। তখন আমাদের মন ভেঙে যায়। তবে আমাদের বোঝা উচিত। আমাদের চেয়ে বড় পরিকল্পনাকারী সৃষ্টিকর্তা। আমাদের চেয়ে উনার পরিকল্পনা অবশ্যই কল্যাণকর। আর সেটাই আমাদের সাথে হয়। সুতরাং জীবনে যেটা হচ্ছে না ঐটা নিয়ে মন খারাপ করবেন না। ভাববেন সৃষ্টিকর্তা আপনার জন্য আরও ভালো কিছু রেখেছে। ।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সফলতা আর ব্যর্থতা সবকিছু নিয়ে হচ্ছে আমাদের জীবন। সফলতার প্রথম পর্যায়ে মানুষকে অবশ্যই ব্যর্থ হতে হয়। ব্যর্থ হতে হতে মানুষ একদিন সফলতায় পৌঁছায়। তার জন্য অস্থির হলেই চলবে না আমাদেরকে ধৈর্য ধারণ করে সবকিছুকে সামনের দিকে মোকাবিলা করতে হয়। তাহলে আমাদের জন্য সুন্দর একটি ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করে।
মানুষের মধ্যে একটা সময় অনেক আবেগ থাকে। আর ওই আবেগের কারণে মানুষ অনেক সময় বড় ভুল করে। তবে সবকিছুতে হতাশ হওয়ার কোন দরকার নেই আর ধৈর্য ধরলে যে কোন কিছুর ফলাফল পাওয়া যায়। আর বেশিরভাগ মানুষ যে কোন কাজে অস্থির হয়ে যায়। আর অস্থির না হয়ে ধৈর্য ধরে কিছু করলে সফলতা অর্জন করা যায়। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।
বর্তমানে আমার অফিসে বড় ধরনের একটি ঝামেলা হয়েছে। তবে হতাশ হচ্ছি না, ধৈর্য ধরে আছি। আশা করি সৃষ্টিকর্তা যেটা করে আমাদের ভালোর জন্যই করবে। দোয়া করবেন যেন উত্তম সিদ্ধান্ত আসে। ধন্যবাদ।