ভারতের সেমিফাইনাল গেঁড়ো।।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ইউটিউব থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া হয়েছে।
২০১১ সালের পর বিগত কিছু আইসিসি টুর্নামেন্ট এর দিকে নজর রেখেছেন তারা হয়তো জানেন ভারত এই সেমিফাইনাল টাই পাড় করতে বাধাগ্রস্ত হতো। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে অসাধারণ খেলার পরেও এই সেমিফাইনালে এসে হেরে যেত ভারত। যেমনটা ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০১৬ টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ,২০২২ টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপ প্রতিবারই গ্রুপ পর্বে অসাধারণ খেললেও সেমিফাইনালে এসে হেরে যেত ভারত। ২০২৩ বিশ্বকাপের দিকে একটু আলাদাভাবেই যেন নজর দেয় টিম ইন্ডিয়া। এর কারণ ছিল দুইটা প্রথমত নিজেদের মাঠে বিশ্বকাপ আর দ্বিতীয়ত রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলির এটাই শেষ বিশ্বকাপ হতে পারে। এবারেও যথারীতি গ্রুপ পর্বে অসাধারণ পারফরম্যান্স করে ভারত। শতভাগ জয় নিয়ে সবার আগে উঠে সেমিফাইনালে। গতকাল প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত।
যাইহোক ম্যাচটি নিয়ে আমি নিজেও বেশ উৎসুক ছিলাম। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নেয় রোহিত শর্মা। এবং ব্যাটে নেমেই অসাধারণ ব্যাটিং এর প্রদর্শন করতে থাকে ভারত। তবে এইদিন প্রথমে তরুন শুভমান গিল কিছুটা শান্ত ছিল। ঝড়ো একটা ইনিংসের পর ৪৭ রানে টিম সাউদির বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে যান রোহিত শর্মা। ক্যাচটা অসাধারণ ধরেছিল কেন উইলিয়ামসন। এরপরে মাঠে নামে বিরাট কোহলি। শুভমান গিল এবং বিরাট কোহলি বেশ দারুণ খেলছিল। শুভমান ফিফটি করে ফেলে। এরপর ঘটে যায় এক অঘটন। নিজের ইঞ্জুরির জন্য মাঠ থেকে উঠে যান শুভমান গিল। উঠে যাওয়ার সময় তার রান ছিল ৭৩। পরে শৈয়াস আইয়ার নামে। বিরাট কোহলি দেখেশুনে খেললেও শৈয়াস আইয়ায বেশ মেরে খেলছিল। এরপর কোহলি রচনা করেন অনবদ্য এক ইতিহাস। শচিন টেন্ডুলকারের ওয়ানডে তে ৪৯ সেঞ্চুরির রেকর্ড ধরেছিলেন তিনি দুই ম্যাচ আগেই। কিন্তু এই দিন সেঞ্চুরির মাধ্যমে ছাড়িয়ে যান তিনি শচিন টেন্ডুলকার কে। করেন সেঞ্চুরির ফিফটি।
শেষমেশ কোহলি থামেন ১১৭ রানে। ততক্ষণে দারুণ একটা ইনিংসের মাধ্যমে মাএ ৭০ বলে ১০৫ রানের অসাধারণ একটা ইনিংস খেলে শৈয়াস আইয়ার। শেষদিকে রাহুলের ঝড়ো ২০ বলে ৩৯ রানের ইনিংসের উপর ভর করে ৩৯৭ রানের এক শক্তিশালী সংগ্রহ পাই ভারত। এখান থেকে ম্যাচ জিততে গেলে রেকর্ড রান চেজ করতে হবে। যা অসম্ভব বলা যায়। নিউজিল্যান্ড ব্যাটে নেমেই প্রথম ওভারে বেশ দারুণ দুইটা বাউন্ডারি মারে কনওয়ে। বেশ ভালোই ব্যাটিং করছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু হঠাৎ মোহাম্মদ শামি এসে পরপর দুইটা ব্রেক থ্রু এনে দেন। মোহাম্মদ শামি তুলে নেয় নিউজিল্যান্ডের অপেনিং জুটিকে। তারপর জুটি করে কেন উইলিয়ামসন এবং মিচেল। দুজন বেশ বড় একটা পার্টনারশিপ করে ফেলে। কোনো কিছুতেন যেন কোন কাজ হচ্ছিল না। না জাদেজার স্পিন না কুলদ্বীপ এর লেগ স্পিন না ভুমরার গতি। নিউজিল্যান্ডের রান তড়তড়িয়ৃ এগিয়ে যাচ্ছিল। তার উপর মোহাম্মদ শামি একেবারে সহজ একটা ক্যাচ ফেলে দেন।
কিন্তু তারপর ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা বলে নিয়ে আসেন মোহাম্মদ শামিকে। এবং এসেই উইলিয়ামসনকে আউট করে ব্রেক থ্রু এনে দেন মোহাম্মদ শামি। ঐ ওভারেই টম লাথাম কে ফিরিয়ে দেন মোহাম্মদ শামি। নিউজিল্যান্ডের চারটা উইকেটই শিকার করেন মোহাম্মদ শামি। মিচেল সেঞ্চুরি তুলে নিলেও কোন কাজ হয়নি। বলের সঙ্গে পাল্লা আর এগিয়ে যায়নি নিউজিল্যান্ডের রান। শেষমেশ ৩২৭ রানে থামে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। নিউজিল্যান্ড বেশ ভালো খেলেছে। কিন্তু অতো রান চেজ করে ম্যাচ জেতা একেবারে অসম্ভব। ম্যাচ শেষে মোহাম্মদ শামির পকেটে যায় সর্বোচ্চ সাতটা উইকেট। এবং কোহলির থেকে যেন তিনি মান অফ দ্যা ম্যাচের পুরষ্কার টা ছিনিয়েই নেন হা হা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৭০ রানের জয় নিয়ে সেমিফাইনাল গেড়ো কাটিয়ে ফাইনালে উঠে যায় ভারত। এখন দেখা যাক দ্বিতীয় সেমিফাইনাল থেকে কে হয় ভারতের প্রতিপক্ষ। অস্ট্রেলিয়া নাকী আফ্রিকা? আর হ্যা জানেন তো মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বসে সরাসরি এই ম্যাচ দেখেছে ইংলিশ, মাদ্রিদ এবং ম্যান ইউ এর লিজেন্ডারি ফুটবলার ডেভিড বেকহাম। উনি কিন্তু আমার অনেক পছন্দের একজন ফুটবলার।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কালকের খেলাটা বেশ দারুন লেগেছে। কাল ভারতের প্রতিটি খেলোয়াড় বেশ ভালো খেলেছে। আর বিরাট কলির কথা নতুন করে কিছু বলার নেই। তাছাড়া মো সামীর অসাধারণ বলিং বেশ মন কেরেছে দর্শকের।ভালো লেগেছে। তবে ইংল্যান্ড ও বেশ চেষ্টা করে গিয়েছে। ধন্যবাদ