হৃৎপিণ্ড (তৃতীয় পর্ব)।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
তখন মধ্যরাত। সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে । পিয়াসের ঘরে পিয়াস ঘুমিয়ে রয়েছে। পিয়াস ইদানিং একাই থাকে আর পিয়াসের পাশের রুমে থাকে নার্স সাবিনা বেগম। হঠাৎ সাবিনা বেগম দরজা খুলে পিয়াসের ঘরের দিকে যায়। খুব সাবধানে পিয়াসের ঘরে ঢুকে সাবিনা বেগম। তারপর.......
এটা অনেকদিন ধরেই চলে আসছে। কেউ সেরকম খেয়াল করেনি। কিন্তু একদিন পিয়াসের বাড়িতে কাজ করা মহিলা রহিমা সেটা দেখে ফেলে। প্রথমদিন সে মনে করেছিল নার্স সাবিনা বেগম হয়তো ঔষধ দিতে যায় পিয়াসের ঘরে। কিন্তু কয়েকদিন যেতেই সে বুঝতে পারে নার্স সাবিনা বেগম পিয়াসের ঘরে ঢুকে ঠিকই কিন্তু বের হতে দেখা যায় না। ঐদিন আমান চৌধুরী এবং পিয়াসের মা বাড়ি নেই। বাড়িতে শুধু অদিতি, পিয়াস, নার্স সাবিনা বেগম এবং ঐ কাজের মহিলা। যথারীতি অদিতি তার রুমে ঘুমাচ্ছে। কাজের মহিলা ঠিক করে আজ সে দেখবে নার্স সাবিনা পিয়াসের রুমে গিয়ে কী করে। গভীর রাত যথারীতি সাবিনা বেগম ঘর থেকে বের হয়ে পিয়াসের রুমে গেল এবং এরপর দরজার পর্দাটা টেনে দিল।
কিছুক্ষণ পর খুব সাবধানে ঐ কাজের মহিলা পিয়াসের রুমের সামনে গিয়ে দেখার চেষ্টা করল সাবিনা বেগম কী করছে। কিন্তু কাজের মহিলা যেটা দেখল সেটা দেখার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিল না। সে কখনোই ভাবেনি পিয়াসের মতো ছেলে এই কাজ করবে। একেবারে কোনো শব্দ ছাড়া ঐ রহিমা ঐখান থেকে চলে গেল। পরে সে ভেবে পাচ্ছে না কথাটা কাকে বলবে। কে কী মনে করবে। পরের দিন দুপুরের পরে অদিতি এবং পিয়াসের মা রুমে বসে রয়েছে। ওদিকে পিয়াসকে প্রতিদিনের মতো খাবার খাইয়ে ঔষধ দিল সাবিনা বেগম। তখন ঐ কাজের মহিলা অদিতি এবং পিয়াসের মায়ের কাছে গিয়ে বলছে,
খালা আম্মা। একটু কম্পিত কন্ঠে।
কী রে তুই কিছু বলবি।
খালা আম্মা আমি একটা কথা বলব কিন্তু সাহস পাচ্ছি না। আপনারা কী মনে করেন।
কী এই মাসের বেতন কী অগ্রিম লাগবে?
না খালা আম্মা। পিয়াস ভাইয়ার বিষয়ে বলার ছিল।
কী হয়েছে পিয়াসের।
আসলে খালা আম্মা পিয়াস ভাইয়া এবং ঐ নার্স মহিলার কোনো সম্পর্ক আছে আমার মনে হয়।
এটা শুনে অদিতি বেশ রেগে যায়। বলে উঠে আম্মা আমি আপনাকে আগেই বলেছিলাম ঐ নার্স মহিলার চরিএ ভালো না। এখন দেখলেন তো। কাজের মেয়েও সব জেনে গেছে।
তুই কী দেখেছিস তাই বল বলে উঠে পিয়াসের মা।
খালা আম্মা আপনারা সবাই ঘুমিয়ে যান তখন ঐ নার্স পিয়াস ভাইয়ার ঘরে যায় এবং তারপর......
থাক থাক আর বলতে হবে না। আজ পিয়াসের বাবা বাড়িতে আসুক।
সন্ধ্যার সময় পিয়াসের বাবা আমান চৌধুরী বাড়িতে আসতেই সবকিছু বলে পিয়াসের মা। পিয়াসের বাবা এসব শুনতেই বলে
কী সব বলছ। তোমার মাথা ঠিক আছে। পিয়াস তোমার ছেলে হয়। আর ঐ মহিলার বয়স পিয়াসের থেকে অনেক বেশি।
আমি কিছুই বলছি না। কাজের মেয়ে রহিমা সব দেখেছে।
আমান সাহেব রহিমা কে ডেকে বলে তোর খালা আম্ম যা বলল তা কী সত্যি??
হয় খালু জান। আমি তাই দেখেছি।
ঠিক আছে কাউকে বলবি না। আজ রাতে আমি জেগে থাকব।
সেদিন রাতে যথারীতি নিজের রুম থেকে পিয়াসের রুমে গিয়েছে নার্স সাবিনা। যাওয়ার বেশ কিছুক্ষণ পরে চুপি সারে পিয়াসের বাবা আমান চৌধুরী, পিয়াসের মা, অদিতি, সবাই পিয়াসের রুমে যায়। এবং গিয়ে দেখে রহিমা যা বলেছিল তাই। পিয়াসের বুকের উপর মাথা দিয়ে শুয়ে আছে নার্স সাবিনা বেগম। সেটা দেখে অদিতি বলে উঠে
ঐ হারামজাদা মহিলা এই ছিল তোর মনে।
পিয়াসের মা বলে ছি ছি খোকা শেষ পযর্ন্ত মায়ের বয়সী একজন মহিলার সঙ্গে ছি ছি।
কেউ পিয়াস এবং নার্স সাবিনা কে কিছু বলার সুযোগ দিচ্ছে না। একপর্যায়ে গিয়ে আমান চৌধুরীও বলে
পিয়াস বাবা তুই এমন কাজ করবি কখনো ভাবতে পারি নাই।
এসব কথা শুনে নার্স সাবিনা বেগম কান্না করতে থাকে। এবং নার্স সাবিনা বেগমের কান্না দেখে পিয়াস বলে আপনি কাঁদবেন না প্লিজ।
অদিতি ঠাট্টার ছলে বলে বাহ বাহ এতদূর। এখন ঐ মহিলার কান্না দেখলেও তোমার কষ্ট হয় বাহ।
চলবে.........
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আজকের পর্ব টার মধ্যে কিছুটা রহস্য লুকিয়ে আছে।পিয়াস আর সাবিনা বেগমের মধ্যকার ঘটনাগুলি হয়তোবা এতটাও খারাপ নয়। চোখের দেখাও যে সব সময় ঠিক নয় এরকম কিছু হবে মনে হচ্ছে। যদিও এই পর্বে তেমন কিছুই বুঝে উঠতে পারিনি পরবর্তীতে কি হবে । তবে পরবর্তী পর্বটা তাড়াতাড়ি দিবেন আশা করি।ধন্যবাদ ভাই দারুন একটা গল্প আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আপনার মন্তব্য টা ভালো লেগেছে। আপনি কিছুটা ঠিকই ধরেছেন।। ধন্যবাদ আপনাকে