শেষ ক্লাস এবং প্রেজেন্টেশন।
হ্যালো, স্টিমিট পরিবারের সদস্যগণ সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি আপনাদের ভালোবাসা এবং দোয়ায়। আজকে আমি আপনাদের সাথে গত সেমিষ্টারে আমদের গ্রুফ প্রেজেন্টেশন এর ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
প্রেজেন্টেশেন্টেশনের সাথে এটি ছিল আমাদের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শেষ দিনের ক্লাস। তাই আমাদের অনেকের অনেক খারাপ লাগছিল। ইংলিশ ক্লাসটার সময় আমরা সবাই অনেক ভালো সময় কাটিয়েছিলাম।ইংলিশ ক্লাস এ অনেক গ্রুপ কার্যক্রম থাকার কারণে আমাদের সকলের মাঝে একটি ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়।অন্য ক্লাস থেকে এটি ছিল খুবই প্রফুল্ল এবং উজ্জীবিত ক্লাস। কারণ হলো আমাদের ম্যাডাম। আমাদের ম্যাডামের নাম ছিল তাসনিয়া হাসিন ফারিন। তিনি খুবি বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল আমাদের সাথে, সব কাজে সাহায্য করত এবং তার মাঝে কখনো বিরক্ত দেখিনি।
প্রেজেন্টেশনটি ছিল ইন্ডিভিজুয়াল। একটি দল বা কোন গ্রুপ প্রেজেন্টেশন ছিল না।আর কোন টপিক দেওয়া হয়নি নিজ থেকে টপিক তৈরি করে এবং পাওয়ার পয়েন্টএ স্লাইড বানিয়ে উপস্থাপন করতে হবে। আমাদের প্রত্যেকেরই সময় নির্ধারণ করা ছিল। এই সময়ের মধ্যে আমাদের আমাদের পুরো স্লাইড এর টপিক কভার করা লাগবে। সবার জন্য সময় পাঁচ মিনিট রাখা হলো। এই সময় এর মধ্যে শেষ করতে হবে পুরো স্লাইড টি। আমি অনেক চিন্তা করে আমার জন্য টপিক সিলেক্ট করলাম। আমার টপিক ছিল সর্বকালের শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় লিওনেল মেসির জীবন বৃত্তান্ত। এটি তৈরি করতে আমার বেশি কষ্ট হয়নি,
কারণ লিওনেল মেসি বা ফুটবল আমার খুবই একটি পছন্দের বিষয়। আমার স্লাইডে ১১ পৃষ্টার মতো হয়।আপনাদের সাথে স্লাইডের এর কিছু ছবি শেয়ার করলাম।
প্রেজেন্টেশনটি দুইটা ক্লাস করে নেওয়া হয়।আমার সিরিয়াল নাম্বার ছিল ৩২। তাই আমার দ্বিতীয় দিন প্রেজেন্টেশনটি দেওয়া লাগে।আসলে সবাই প্রেজেন্টেশন দেওয়ার সময় খুবই নার্ভাস ছিলাম। আমিও অনেক নার্ভাস ছিলাম। আমি শুরুতেই মেসির ছোটবেলা জন্মস্থান থেকে ক্যারিয়ার, অর্জন, বাধা, সাফল্য, এসব বিষয়ে কথা বলি। প্রেজেন্টেশন শেষ করে এটি সেমিস্টারের শেষ ক্লাস ছিল তাই সকলে ছিল। তাই সবাই মিলে ম্যাম এর জন্য কিছু করা যায় চিন্তা করলাম। সকলে ফেসবুক গ্রুপ খুলে সবার মতামত নিলাম। সবাই মিলে ঠিক করলাম ম্যাম এর জন্য ফুল এবং কেক কাটা যায়। তাই সকলে মিলে টাকা সংগ্রহ করে ফুল এবং কেক এর ব্যবস্থা করি।ম্যাম আমাদের অনেক অনুপ্রেরণা মূলক বক্তব্য দেন যা আমাদের ভবিষ্যং জীবনে অনেক কাজে লাগবে।আপনাদের সাথে কিছু ছবি শেয়ার করলাম।
আসলে সেমিস্টারের শেষ দিনে সকলের একটু মন হয়। কেননা আমরা আর সেই চেনা পরিচিত শিক্ষক গুলোর ক্লাস করতে পারি না। আপনারা মনে হয় ইংলিশ ক্লাসের সময় অনেক মজা করেছিলেন, এখন হয়তো আর তেমন মজা করতে পারবেন না। যাইহোক আবার নতুন নতুন শিক্ষক পেয়ে যাবেন।
জী আসলে শেষ দিন অনেক বেদনাদায়ক। এত দিন একসাথে ক্লাস করা আর এখন আবার অলাদা হয়ে যাওয়া। আপনাকে ধন্যবাদ মনোবল দেওয়ার জন্য কমেন্ট করে।