লালবাগ কেল্লা ভ্রমণ।
হ্যালো , স্টিমিট পরিবারের সদস্যগণ সবাই কেমন আছেন।আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের ভালোবাসা এবং দোয়ায়। আজ আমি আপনাদের সাথে ঐতিহাসিক স্থান লালবাগ কেল্লা পরিদর্শন সম্পর্কে আমার অভিজ্ঞতা জানাবো।
আমরা সকলে জানি, ভ্রমণ আমাদের মনকে সকল প্রকার ক্লান্তি এবং একঘেয়েমি থেকে মুক্তি দেয়। ভ্রমণের মাধ্যমে আমরা সকল প্রকার দুশ্চিন্তা এবং মানসিক চাপ থেকে মুক্ত হতে পারি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার কলেজ জীবনের বন্ধুদের নিয়ে লালবাগ কেল্লা পরিদর্শনের ঘটনা বিবরণ করবো। আমাদের পরীক্ষার পর আমরা চিন্তা করলাম যে আমাদের কোথাও ঘুরতে যাওয়া উচিত। আমরা সবাই ভাবতে থাকলাম কোথায় যাওয়া যায়, এমন একটি জায়গা যেখানে আমরা কিছু ঐতিহাসিক নিদর্শন এবং ঘটনা জানতে পারবো। আমরা দুটি বিষয় মাথায় রেখেছিলাম: ঐতিহাসিক স্থানটি ঢাকার আশেপাশে বা ঢাকার ভেতরে হতে হবে। চিন্তা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম যে আমরা লালবাগ কেল্লায় যাবো। সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানও অনেক ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে, যেখানে থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
আমরা সকলে তারিখ ঠিক করলাম এবং যাত্রা শুরুর স্থান ঠিক করলাম মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বর। আমরা সবাই উপস্থিত ছিলাম। তারপর দেখলাম আমার গিটারিস্ট বন্ধু দেরি করছে। সে তার গিটার বাসায় রেখে চলে আসছিলো, আবার বাসায় গিয়ে নিয়ে আসলো তাই একটু দেরি হলো। বন্ধু আসার পর আমরা সবাই রওনা দিলাম প্রজাপতি পরিবহন দিয়ে। দিনটা শুক্রবার ছিলো, তাই আমরা এক ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছাতে পেরেছিলাম।
পৌঁছানোর পর আমরা লালবাগ কেল্লার পাশেই ভুতের বাড়ি রেস্টুরেন্টে সকালের নাস্তা করলাম। নাস্তায় ছিলো চিকেন রোল, শর্মা, পাস্তা এবং স্যান্ডউইচ। যার যা পছন্দ ছিলো, সেটি দিয়ে সকালের নাস্তা শেষ করলাম।নাস্তা শেষ করার পর আমরা ২০ টাকা করে টিকিট কেটে লালবাগ কেল্লায় প্রবেশ করলাম। লালবাগ কেল্লার ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলি দেখে আমরা এগুলির ব্যবহার সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে পারলাম, সেখানে থাকা পোস্টার এবং বোর্ড থেকে। আমরা অনেক হতাশ হলাম যখন জানতে পারলাম লালবাগ কেল্লার যাদুঘরটি মেরামতের কাজের জন্য সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ আছে। আমার ব্যক্তিগতভাবে লালবাগ কেল্লায় থাকা প্রাচীন সুড়ঙ্গগুলি অনেক আকর্ষণ করেছে, যদিও সেগুলি এখন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
লালবাগ কেল্লায় আমরা বেশ কিছু সময় কাটালাম। দুপুর ১২টা বাজে তখন, সবার ক্ষিদে লেগে গেছে।
লালবাগ কেল্লা থেকে আমরা দুপুরের খাবারের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে যাবো বলে ঠিক করলাম। রিস্কা নিয়ে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে চলে আসলাম, রিকশা ভাড়া হলো ৭০ টাকা। আমরা একটি পুরান ঢাকার বিরিয়ানি হাউসে গেলাম। আমরা মুরগি পোলাও এবং সফট ড্রিঙ্কস দিয়ে দুপুরের খাবার শেষ করলাম।
খাবার শেষে আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলে আসলাম। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এর পাশেই রয়েছে কলাভবন। কলা ভবনের সামনে অপরাজিত বাংলা ভাস্কর্যের সামনে একটি গ্রুপ ছবি নিলাম যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম
এখানে আমরা গান, বন্ধুদের খুনশুটি এবং আড্ডা দিয়ে দিনটি উপভোগ করলাম।
![](
সন্ধ্যার দিকে সবাই বাসার দিকে রওনা দিলাম। এভাবে একটি সুন্দর দিন অতিবাহিত করলাম আমরা সকল বন্ধুরা মিলে।
(
৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ সকলকে ধন্যবাদ ৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ ৷