সততার পুরস্কার (প্রথম পর্ব)
মেহেদী প্রতিদিনকার মত সকাল সকাল এসে দোকান খোলে। সে দোকান খোলার কিছুক্ষণ পর তার দোকানের মালিক দোকানে আসে। মেহেদী দীর্ঘদিন থেকেই সেই দোকানে কাজ করছে। যার ফলে মালিক তাকে খুবই বিশ্বাস করে। মালিকের সাথে তার বেশ ভালো সম্পর্ক। আর এই ভালো সম্পর্ক হওয়ার পেছনের কারণ হচ্ছে মেহেদির সততা। দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করলেও মেহেদী কখনো কোনো অন্যায় কাজ করেনি। কখনো কোনো টাকা পয়সা এদিক ওদিক করেনি।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
যার ফলে মালিক তাকে অন্ধের মত বিশ্বাস করে। তবে বিশ্বাস করলেও মেহেদী তার বেতন নিয়ে কিছুটা অসন্তুষ্ট ছিলো। দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করলেও মেহেদীর বেতন সেভাবে বাড়েনি। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির এই বাজারে অল্প টাকা বেতনে তার সংসার চালানো দিন দিন মুশকিল হয়ে যাচ্ছিলো। সে মালিকের সাথে কিছুদিন আগে এই ব্যাপারে কথা বললে মালিক তাকে আশ্বস্ত করে যে বিষয়টা সে দেখবে। তবে মালিকের কথার উপরে মেহেদী খুব একটা ভরসা পায় না।
কারণ এই ধরনের কথা সে আগেও বলেছে। তাই মেহেদী ইদানিং চেষ্টা করছে অন্য কোনো জায়গায় চাকরির জন্য। যেহেতু তার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাই তার অন্য দোকানে চাকরি পেতে খুব একটা সমস্যা হবে না। তাছাড়া আশেপাশের বেশ কয়েকজন দোকান মালিক ইশারা ইঙ্গিতে মেহেদিকে বলেছে তারা মেহেদিকে নিতে আগ্রহী। আসলে আজকাল দুনিয়ায় সৎ লোক পাওয়া খুব মুশকিল। যার ফলে যার কাছে সততা রয়েছে বাজারে তার ভালো দামও রয়েছে। তবে মেহেদী যে অন্য জায়গায় চাকরির চেষ্টা করছে এই বিষয়টা তার মালিক ভালোভাবে নেয় না। কিছুদিন ধরে মেহেদী দেখতে পাচ্ছে তার মালিক কিছুটা গম্ভীর হয়ে থাকে। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
আসলেই বর্তমান যুগে সৎ মানুষ পাওয়াটা খুবই কঠিন। তবে মেহেদী যেহেতু সৎ ছেলে,তাই অন্য জায়গায় চাকরি পেতে তার কোনো সমস্যা হবে না। তবে মেহেদী যে দোকানে এখন কাজ করছে, সেই দোকান মালিকের উচিত মেহেদীর বেতন বাড়িয়ে সেই দোকানে রেখে দেওয়া। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।