দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে ভাগ্য বদল (তৃতীয় পর্ব)
তাই সে হোটেলে কাজ করার সাথে সাথে এদিক ওদিক খোঁজখবর করতে শুরু করে। যে কোন ধরনের কাজে টাকা বেশি পাওয়া যাবে। জসিম এটা ভালোভাবেই জানে যেহেতু সে লেখাপড়া বেশি জানে না তাই তার পক্ষে কোথাও ভালো চাকরি করা সম্ভব না। তাকে এই ধরনের ছোটখাটো কাজই করতে হবে। জসিম একদিন তাদের হোটেলে খেতে আসা এক রিকশাওয়ালার সাথে কথায় কথায় জানতে পারে সে রিক্সাওয়ালার দৈনিক প্রায় ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা ইনকাম।
এই কথা শুনে জসিম সাথে সাথে সিদ্ধান্ত নেয় সে আর হোটেল চাকরি করবে না। সে রিক্সা চালাবে। তখন সে সেই রিক্সাওয়ালাকে বলে ভাই আমিও রিকশা চালাতে চাই। আপনি কি আমাকে একটা রিক্সার ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন? তখন সেই রিক্সাওয়ালা বলে কালকে সকালে আমি যেখানে থাকি সেখানে চলে আসবেন। আমি যে গ্যারেজ থেকে রিক্সা নেই। আপনাকেও সেখান থেকে একটা রিক্সা নেওয়ার ব্যবস্থা করে দেবো। জসিম সেদিনই হোটেলের চাকরি ছেড়ে দেয়।
পরদিন সকালে সে গিয়ে সেই রিক্সাওয়ালার সাথে দেখা করে। তারপর সে একটি গ্যারেজ থেকে রিক্সা ভাড়া নিয়ে চালাতে শুরু করে। প্রথম প্রথম তার শহরে রিকশা চালাতে কিছুটা সমস্যা হয়। কারণ জসিম আগে কখনো রিকশা চালাইনি। তবে গ্রামে থাকতে সে তার বন্ধু-বান্ধবদের ভ্যান মাঝে মাঝে চালিয়েছে। যাই হোক কষ্ট হলেও জসিম কয়েকদিনের ভেতরেই রিক্সা চালানোটা শিখে যায়। জসিম রাতদিন পরিশ্রম করতে থাকে টাকা জমানোর জন্য। সে খেয়াল করে দেখে শহরে রিক্সাওয়ালার ইনকাম একেবারে খারাপ না। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
জসিম যেহেতু দ্রুত টাকা জমিয়ে বিদেশে যেতে চায়, তো সেই হিসেবে ক্লিনারের কাজ ছেড়ে দিয়ে রিকশা চালানোর সিদ্ধান্তটা সঠিক ই বলা যায়। কারণ শহরে রিকশা চালিয়ে মোটামুটি ভালোই ইনকাম করে রিকশাওয়ালারা। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।