যৌবনের এই স্রোত রুখে সাধ্য কার (শেষ পর্ব)?
অল্প কয়েক দিনের এই আন্দোলনে তারা যে দুর্নিবার সাহস দেখিয়েছে। রক্ত খেকো সরকারের বিরুদ্ধে তারা যে অসীম সাহসের পরিচয় দিয়েছে। সেটা হতবাক করে দেয়ার মতো। তাদের এই আন্দোলনে মনে হচ্ছে পুরো দেশ নবজাগরণে জাগরিত হয়েছে। দেশের আপামর জনসাধারণ আবার তাদের বুকের ভেতরে সাহস ফিরে পেয়েছে। নষ্ট রাজনীতির বিরুদ্ধে তাদের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর আমাদেরকে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে সাহস যোগাচ্ছে। কিছুদিন আগেও যখন মনে করতাম নষ্ট এই রাজনীতিবিদদের কবল থেকে আমাদের মুক্তি নেই।
এখন মনে হচ্ছে না আমাদের মুক্তির দূতেরা আমাদের সামনেই দাঁড়িয়ে রয়েছে। এখন সময় এসেছে তাদের পাশে দাঁড়ানোর। না হলে নিজের বিবেকের কাছেই অপরাধী হয়ে থাকতে হবে। যে জেনারেশন অল্প কয়েকদিন আগেই সারাদিন ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, আর টিক টকে ডুবে থাকতো। তারাই আজ বুকের তাজা রক্ত দিয়ে দেশটাকে জালিমের কবল থেকে মুক্ত করার আন্দোলনে নেমেছে। একবার চিন্তা করে দেখুন হিংস্র হায়েনার মতো পুলিশের সামনে বুক চিতিয়ে দাড়ানো আবু সায়িদের কথা। আবার অন্যদিকে মুগ্ধোর মত চমৎকার এক মানবিক যুবকের প্রাণ হারানোর কথা। চিন্তা করুন সেই কিশোরীর কথা।
যে হয়তো কয়েকদিন আগেও তার বাবা-মার কাছে আবদার করতো কোনো ভালো জামা অথবা কোন দামি রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়ার জন্য। আজ সেই কিশোরী সমস্ত কিছু ভুলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে উচ্চকিত কন্ঠে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছে। প্রত্যেকটা দৃশ্য আমাদেরকে নতুন করে উজ্জীবিত করে। আমাদেরকে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে সাহস যোগায়। চারপাশে তাকিয়ে মনে হচ্ছে আবার আমরা সেই একাত্তরে ফিরে গিয়েছি। এই কিশোর-কিশোরী যুবকদেরকে মনে হচ্ছে আমাদের একাত্তরের সেনানী। যারা পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রবল সাহসিকতার সাথে লড়াই করে দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলো। আশা করি এই কিশোর কিশোরী যুবক যুবতীরাও আজকের স্বৈরাচারের কবল থেকে দেশের গণতন্ত্র দেশের ভবিষ্যৎ উদ্ধার করবে। এই আশা রেখে আজকের লেখা শেষ করছি।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
আসলেই ছাত্রসমাজ এবার অসাধ্যকে সাধন করলো। তারা যা দেখালো,সারা বিশ্ব অবাক হয়ে গিয়েছে। যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুবসমাজকে এভাবেই রুখে দাঁড়াতে হবে। যাইহোক বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।