খেজুরের রস!
সপ্তাহখানেক আগে নীলফামারী থেকে ট্রেনে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। মাঝপথে ট্রেন একটু দাঁড়িয়ে ছিল। সম্ভবত ক্রসিংয়ের জন্য বেশ কিছুক্ষণ সময় অপেক্ষা করছিল। ট্রেনের মধ্যে সাধারণত ঘুম একটা বেশি হয় না। তাই ট্রেন যেহেতু থেমে আছে তাই একটু বাইরে বের হয়ে দেখার চেষ্টা করলাম যে ট্রেন আসলে কেন দাঁড়িয়েছে। যখন ট্রেনের দরজার কাছে আসলাম দেখি যে চারি পাশে শুধু গাছ আর গাছ। মাঝখানে একটি খেজুরের গাছ দেখা যাচ্ছে। যেখানে খেজুরের রস সংগ্রহ করার জন্য একটি হাড়ি হয়েছে। বিষয়টা বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে তাই সাথে সাথে সেটা ক্যাপচার করে নিয়েছে।
সেদিনের খেজুরের হাড়ি দেখে সেই অতীতের কিছু স্মৃতি মনে পড়ে গেছে। এইতো বর্তমানে শীতকাল চলছে। শীতকালে যে কত খেজুরের রস খেয়েছি তার হিসেব নেই। এর জন্য বাসা থেকেও অনেক বকুনি খেয়ে ছিলাম। আগে শীতে খেজুরের রস বিক্রি করতো আমাদের স্কুলেই। এক গ্লাস দুই টাকা করে নিতো। এটাও স্পষ্টভাবে মনে আছে তখন অনেক এনজয় করতাম সবাই মিলে কত ধরনের বাহানা করতাম তার হিসাব ছিল না। একজনের খেজুরের রস আরেকজন যে কত কাড়াকাড়ি করে খেয়েছি এসব বিষয়গুলোর হিসোব নেই। আমি ট্রেনের দরজায় দাড়িয়ে এসব চিন্তা করছিলাম। এর মধ্যেই ট্রেন ছেড়ে দিলো। তবে দেখতে পেলাম এক শাড়ি করে বহু খেজুরের গাছ রয়েছে। তবে দুর্ভাগ্যবশত তখন অনেক রাত ছিল এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে কোন আলো ছিল না বিধায় আর কোন ছবি তুলতে পারিনি।
ছোটবেলায় আমাদের অনেক স্মৃতি রয়েছে যেগুলো আসলে আমরা মাঝেমধ্যে ভুলে যাই। তবে সেই স্মৃতির সাদৃশ্য যদি কোনো দৃশ্য চোখের সামনে চলে আসে তখন আবার হুট করে সেসব স্মৃতিগুলো মনে পড়ে যায়। এ ধরনের ঘটনা কি আপনাদের সাথে ঘটে নাকি? যদি ঘটে থেকে তাহলে অবশ্যই মন্তব্যে লিখতে পারেন, বিশেষ করে খেজুরের রস নিয়ে যদি কোনো ঘটনা থাকে। আজকের মত এখানেই শেষ করছি আপনার সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।
কিছু কিছু দৃশ্য রয়েছে যেগুলো দেখলে আমাদের ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায়। শৈশবের স্মৃতিগুলো উঁকি দিয়ে সামনে আসে। যেমন আপনার নীলফামারী থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে প্রতিমধ্যে ট্রেন দাঁড়ানোর জন্যে খেজুর গাছে হাড়ি বাঁধার দৃশ্য দেখে আপনার ছোটবেলার শৈশবের স্মৃতি মনে পড়ে গিয়েছিলো। সেই স্মৃতির অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার গল্পটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর গল্প উপহার দেওয়ার জন্য।