অকৃতজ্ঞ সন্তান(তৃতীয় পর্ব)
তখন সোহেল অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে কি ব্যাপার চাচা মিয়া? এতো খুশি মনে হচ্ছে আপনাকে। তখন খলিল মিয়া সোহেলকে জানায় তার ছেলে মাস্টার্স পাশ করেছে। অনেক ভালো রেজাল্ট করেছে। এই কথা শুনে সোহেলের ও অনেক ভালো লাগে। সুসংবাদ দেয়ার পরে খলিল মিয়া মিষ্টি ছোটো প্যাকেটটা সোহেলের দিকে বাড়িয়ে ধরে। সোহেল তখন বলে কি এটা? তখন খলিল মিয়া বলে বাবা আমি গরিব মানুষ বেশি কিছু আনতে পারিনি। আপনার জন্য কয়েকটা মিষ্টি এনেছি। আপনি খেলে আমি খুব খুশি হবো।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
তখন সোহেল বলে এগুলোর আবার কি দরকার ছিলো। এই কথা বলে সোহেল মিষ্টির প্যাকেট খুলে সেখান থেকে একটা মিষ্টি মুখে দেয়। আর বলে বাকি মিষ্টি গুলো আপনি বাসায় নিয়ে গিয়ে পরিবারের সাথে খান। এই কথা বলে সোহেল পকেট থেকে কিছু টাকা বের করে তাকে দেয়। তারপর সোহেল তাকে বলে এখন আপনাদের কষ্টের দিন শেষ হয়ে যাবে। আপনার ছেলে ভালো একটা চাকরি পেলে আপনাকে আর মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে না। তখন খলিল চাচা বলে বাবাজি দোয়া করবেন যেনো ছেলেটা একটা ভালো চাকরি পায়। এ কথা বলে খলিল মিয়া সেখান থেকে চলে যায়।
কিছুদিন পর খলিল মিয়া আরো একটা সুসংবাদ নিয়ে সোহেলের কাছে আসে। বলে বাবাজি আমার ছেলেটা অনেক ভালো একটা চাকরি পেয়েছে। এখন আমার সমস্ত চিন্তা শেষ। জীবনে অনেক কষ্ট করেছি বাবাজি। এখন আশা করি বাকি জীবনটা একটু ভালোভাবে কাটাতে পারবো। সোহেল বলে আমিও আপনার জন্য সেই কামনাই করি। তারপরে বেশ কিছুদিন সোহেলের সাথে আর খলিল মিয়ার দেখা হয় না। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
খলিল মিয়ার ছেলে মাস্টার্স পাশ করলো এবং ভালো চাকরি পেলো,এতে করে একজন বাবা হিসেবে খলিল মিয়ার খুশি হওয়াটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু গল্পের নাম যেহেতু অকৃতজ্ঞ সন্তান, তার মানে খলিল মিয়ার ছেলে অকৃতজ্ঞ। আমার তো মনে হচ্ছে খলিল মিয়ার ছেলে,খলিল মিয়ার ভরণপোষণের দায়িত্ব নিবে না। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। গল্পটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।