জগদ্ধাত্রী পুজোর কিছু ছবি by @bull1(10% shy-fox এর জন্যে)
২রা নভেম্বর‚২০২২‚ বুধবার
পোস্টের নাম | জগদ্ধাত্রী পুজোর কিছু ছবি |
ডিভাইস | Realme 5 |
স্থান | চন্দননগর |
পোস্টদাতা | @bull1 |
কেমন আছেন সবাই? জগদ্ধাত্রী পুজো ঠিকমতো উপভোগ করছেন তো? বাঙালির তো শুধুই পুজো আর পুজো। জগদ্ধাত্রী হলেন শক্তির দেবী। তিনি দেবী দুর্গারই আরেক রূপ মাত্র।
কথিত আছে যে মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায় একবার নবাবের হাতে বন্দী হন। নবাব অর্থাৎ সম্ভবত মীরকাশিম। যেদিন তিনি ছাড়া পান সেদিন ছিলো দশমী অর্থাৎ দেবী দুর্গার বিসর্জন। মায়ের আরাধনা করা হলনা ভেবে মহারাজা যখন প্রবল মনঃকষ্টতে ভুগছেন‚ তখন দেবী তাকে স্বপ্নাদেশ দেন যে পরের মাসের অর্থাৎ কার্তিক শুক্লা নবমীতে তাকে জগদ্ধাত্রী রূপে পুজো করতে। তখন থেকেই বঙ্গদেশে এই পুজোর শুরু।
যাইহোক‚ আজ আমি গিয়েছিলাম চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে। প্রতি বছরই যাই অবশ্য। প্রতিদিনের ব্যস্ততার মাঝে এগুলোই তো একটু মুক্তি পাওয়ার অক্সিজেন। সবসময়ই মুখিয়ে থাকি কোথায় কিভাবে একটু সময় পাওয়া যায় পছন্দের মানুষদের সাথে অবসরকে উপভোগ করা যায়।
এবারও আগের থেকেই প্লানিং ছিলো যে পুজোতে যেতে হবে। সেই মতো ছুটিও দিয়ে দিয়েছিলাম ছাত্রদের। যে ওরাও একটু ঘুরে ফিরে নিক। আমিও ঘুরি। এই তো জীবন! আজ আছে কাল নেই। কি হবে অত চাপ নিয়ে?
তো এদিন বিকাল থাকতে থাকতে বেরিয়ে পড়লাম ঠাকুর দেখার জন্যে। যেতে আসতে সময় তো লাগবেই। তাছাড়া বন্ধুদের সাথে যাচ্ছি। সবারই সময়জ্ঞান অসাধারণ‚ একত্রিত হওয়ার নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে ফোন করে রীতিমতো হুমকি ধামকি না দিলে কেউই বেরোবেই না হয়তো। আর সত্যিই হয়েছেও তাই। গিয়ে দেখি আমি আর দুজন ছাড়া অন্য কেউ পৌঁছায়নি। আবারও সেই ফোন করে ডাকাডাকি করতে হল। কয়েকজন তো ফোন পাওয়ার পর বাড়ি থেকে বেরোলো। কি দায়িত্বজ্ঞানহীন লোকজন সব।
তবুও সব ভাল যার শেষ ভালো তার। সবাই আসল শেষ পর্যন্ত। কেউই হয়তো না আসার ধান্দায় ছিল না। শুধু দেরী করেছে। এই টুকুই যা……! খুব আনন্দ করলাম বন্ধুদের সাথে। ঠাকুর দেখা - ঘোরা - লাইটিং দেখা - খাওয়া মিলিয়ে অসাধারণ সময় কাটালাম আমি।
তারই কিছু স্মৃতি ভাগ করে নিচ্ছি স্টীমিটের বন্ধুদের সাথে।
ডাকের সাজ
এই লাইটিং যে কি সুন্দর লাগছিল সামনের থেকে
মোটামুটি এই কটাই দিলাম। আরো কিছু ছবি দেওয়া যেত। কিন্তু কিছু ছবি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করা হয়ে গেছে। তারা যদি কোথাও সেই ছবি ব্যবহার করে তাহলে আমি আবার কপিরাইটের সমস্যায় পড়ে যাব। সেই ভয়ে কিছু ছবি দিলাম না। যাইহোক খুব তাড়াতাড়িই ফিরব নতুন পোস্ট নিয়ে। ততক্ষণের জনে বিদায়।
আমার কথা -
আমি @bull1 পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় থাকি। বয়স ২৮ বছর। ছাত্রজীবনে ইতিহাসে আর অঙ্কে গ্র্যাজুয়েট কমপ্লিট করেছি। এখন শিক্ষকতা করি। আর টুকটাক লেখালেখি করার অভ্যাস আছে। |
---|
@bull1 পোস্টে এতো কম লেখা কেন? এতো শর্ট লেখার পোস্ট কিউরেশন যাবে না, লিখতে হবে বেশি করে। ফোটোগ্রাফি তে মিনিমাম ৩০০ ওয়ার্ড এর না লিখলে পোস্ট কিউরেশন হবে না।
Ohh. Sorry আমি এটা এডিট করে দিচ্ছি আর পরের গুলোও খেয়াল রাখব অবশ্যই। ধন্যবাদ দাদা।
চিন্তা নেই। আমি আছি তো। সবকটা পুজোর ইতিহাস সহ যাবতীয় কিছু লিখে দেব নাহয়। হা হা।
বাঙালির পূজার শেষ নেই।মায়ের প্রতিমা মানেই অপূর্ব সুন্দর।জগদ্ধাত্রী পুজোর ইতিহাস জেনে ভালো লাগলো।ছবিগুলো ভালো ছিল, ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে। আসলেই বাঙ্গালী হয়ে অনেক ভাগ্যবান আমরা।
আহা তুইও গেছিলি? আমিও গেছিলাম। কাল হয়তো পোস্ট করব। ইতিহাস টা ঠিকই লিখেছিস। এবার সোনাদার গল্পেও এই জগদ্ধাত্রী পুজোর উৎস নিয়ে দেখিয়েছে। চন্দননগরের আলোকসজ্জা ভীষণ বিখ্যাত। ভালো লাগলো পোস্ট টা।
সোনাদা কে?