❤️নতুন অতিথির আগমন।❤️
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও ভালো আছি।
সন্তান হলো সমস্ত মানুষের জন্য একটি বিশেষ উপহার। সেই সন্তানকে লালনপালন করা একটি মহান দায়িত্ব এবং সুখের উৎস।যেদিন প্রথম সন্তানের মুখ দেখা হয় সেই দিনটি বাবার মা'র কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন এবং খুবই আনন্দের মুহূর্ত।যা শুধু একজন বাবা-মা অনুভব করতে পারে।
রবিবার দুপুর ১ টায় আমরা নতুন একজন অতিথিকে পেলাম।আমার একমাত্র ননদের একমাত্র ছেলে পিংকু।ওর প্রথম কন্যা সন্তান হয়েছে যা আমাদের কাছে খুবই আনন্দের একটি বিষয়।পিংকু পিংকি দুই ভাইবোন ওরা আমাদের খুবই স্নেহের।ওর মামারা ওদের এতোটাই ভালোবাসে যে আমার ননদ কে নিজেদের বাড়ির কাছে জায়গা কিনে বাড়ি করে দিয়েছে, যাতে বোন ভাগ্নে-ভাগ্নীর দেখভাল করতে পারে।আমার ননদের হাসবেন্ড অসুস্থ ১৮ বছর হলো প্যারালাইস্ট হয়ে অসুস্থ কোনোরকমে চলাফেরা করতে পারে।তাই আমার হাসবেন্ড রা বোনকে বাড়ির কাছে এনে রেখেছে যাতে ওদের কোনো সমস্যা না হয়।তাই ওদের পরিবারের ভালো মন্দ সবকিছুই আমাদের কে দেখতে হয়।পিংকু পিংকির বড় হওয়া পড়াশোনা বিয়েসাদী সবকিছুই আমরা সবাই দায়িত্ব নিয়ে করেছি।
প্রথমে পিংকি কে বিয়ে দেওয়া হয় ওর বিয়ের পাঁচ বছর হয়েছে ও এক সন্তানের মা।আর বছর দুয়েক আগে পিংকুর বিয়ে দেওয়া হয়।ও এবার কন্যা সন্তানের বাবা হলো আর আমরা দাদু-ঠাম্মা হলাম।আর এটা আমাদের জন্য অনেক আনন্দের।রবিবার সকালে দিপা একটু অসুস্থবোধ করে তারপর ওকে আমাদের এখানকার উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়।সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রচন্ড পেইন থাকে,তারপর দুপুর একটায় নরমাল ডেলিভারি সম্পন্ন হয়। ভালোভাবে ফুটফুটে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়।বাচ্চা হওয়ার সাথে সাথেই আমি বাসায় চলে আসি এবং তাড়াতাড়ি রান্নাবান্না করে হাসপাতালে খাবার নিয়ে আবারও যাই,যাতে করে দুপুরের খাবার টা খেতে পারে ওরা।দুপুরের খাবার খাইয়ে আমি আবার বাসায় চলে আসি,আমার বড় মেয়ের পরীক্ষা চলছে পাঁচ টায় ওকে আনতে যেতে হবে।
বড় মেয়ে স্কুল থেকে আসার পর আমরা রেডি হয়ে বাজারে গেলাম এবং কিছু কেনাকাটা করলাম।ড্রেস কসমেটিকস এগুলো কিনে নিয়ে আমরা আবার হাসপাতালে গেলাম।বড় মেয়ে তো ওকে দেখে সেই খুশি এবং কোলে নেওয়ার জন্য লাফালাফি শুরু করলো।মানা সত্বেও কোলে নিলো কিছুক্ষণ কোলে নিয়ে বসে থাকার পর আমরা বাসায় চলে আসলাম।কারন পরেরদিন সকালে বড় মেয়ের পরীক্ষা আছে পড়াশোনা করতে হবে।হঠাৎ রাত দশটার দিকে খবর পাই বাচ্চা টা শারীরিক ভাবে অসুস্থ তাকে বগুড়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে হবে।খবর টা শুনেই বুকের ভিতর টা কেঁপে উঠলো।রাতেই বগুড়া নিয়ে গেলো এখন ওখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে...।
আজ এখানেই শেষ করছি।আপনারা সকলেই আমাদের নতুন অতিথির জন্য অনেক অনেক আশীর্বাদ,দোয়া করবেন যাতে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসতে পারে।
বাচ্চাটির জন্য দোয়া করি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে মায়ের কোলে চলে আসুক।আপনার ননদের ছেলের ঘরের মেয়ে হলো।আপনি তো আপু ঠাম্মা হয়ে গেলেন।মেয়ের এক্সাম চলছে।তারপরেও নতুন অতিথিকে দেখতে তো সবারই খুব ইচ্ছে হয়।মাশাল্লাহ সুন্দর হয়েছে।সুস্বাদু ভাবে বেঁচে থাকুক মায়ের কোলে। অনেক ধন্যবাদ আপু অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
পোস্ট টি আনন্দদায়ক কিন্তুু বাচ্চা অসুস্থ জন্য খারাপ লাগছে খুব।বাচ্চা টি অনেক সুন্দর ও স্বাস্থ্যবান হয়েছে। তারাতাড়ি সুস্থ হয়ে ওর মা,বাবার কোলে ফিরে আসুক সেই কামনা করছি।
বাহ! নতুন অতিথির জন্য অওন থেকে অনেক অনেক আশির্বাদ রইলো। আশা করছি বগুড়ায় উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছে এবং খুব দ্রুতই নিজের বাড়িতে ফিরে আসবে। আর নরমাল ডেলিভারি তো এখনকার সময়ে বেশ রেয়ার হয়। নরমাল ডেলিভারির বাচ্চারা এম্নিতেই একটু স্ট্রং ও হয়ে থাকে। দু:শ্চিন্তা করো না, ভগবানের উপর ভরসা রাখো। আশা করি খুব দ্রুতই নতুন অতিথির ঘরে ফেরার খবরটাও পাবো।
বগুড়ায় বেশ ভালোই উন্নত চিকিৎসা পাওয়া যায়।আশা করছি খুব ভালো দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠবে।অসম্ভব সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই মনা।
ঠিক বলেছেন দিদি, প্রথম সন্তানের মুখ দেখার অনুভূতিটা হয়তো সেই বাবা- মা ই জানে ,কতটা আনন্দের সেটা। আপনার ননদকে তার ভাইয়েরা দেখছি সবসময়ই খুব সহযোগিতা করেছে। এটা কিন্তু খুবই ভালো বিষয়। তবে ছোট্ট শিশুটি অসুস্থ জেনে অনেক খারাপ লাগলো। তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। আর নতুন অতিথির জন্য অনেক অনেক আশীর্বাদ রইল।
হ্যাঁ বনু প্রথম বাচ্চা হওয়ার অনুভূতি টা সত্যি অন্য রকমের হয়ে থাকে।সবকিছুই ভালো ছিলো হঠাৎ করে বাচ্চা টা অসুস্থ হয়ে পড়ায় আমরা খুবই চিন্তিত হয়ে আছি।আশীর্বাদ করিও যাতে সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসতে পারে।ধন্যবাদ বনু।
বর্তমানে তো সিজার ছাড়া নরমাল ডেলিভারি খুব কমই হয় তারপরেও নরমাল ডেলিভারি হয়েছে তবে বাচ্চাটা একটু অসুস্থ এটা জেনে কষ্ট লাগলো। দোয়া রাখছি খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে আসবে।
বর্তমান সময়ে সকলেই সিজারিয়ানের দিকেই বেশি ঝুঁকেছে,যা একজন মায়ের শরীরে বেশ ইফেক্ট ফেলে পরবর্তী সময়ে।দোয়া করবেন ভাইয়া। ধন্যবাদ।
আপনার ননদের হাসবেন্ড অসুস্থ ১৮ বছর ধরে এটা শুনে খারাপ লাগলো।নতুন অতিথির জন্য অনেক আশীর্বাদ ও ভালোবাসা রইলো।আপনারা উনাদের পাশে আছেন এটা সত্যিই খুব ভালো বিষয়।তাছাড়া বাচ্চাটি অসুস্থ জেনে খারাপ লাগছে,প্রার্থনা করি দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে।অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
আমার বিয়ের কিছুদিন আগেই উনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।তখন থেকেই আর স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন না।হ্যাঁ মামনি আশীর্বাদ করিও যাতে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠে।ধন্যবাদ।
প্রথমেই বাচ্চাটার জন্য সুস্থতা কামনা করছি। আশা করছি সৃষ্টিকর্তা থাকে সুস্থ করে দেবে। আপনার ননদ এবং তার হাজবেন্ড এর কথা শুনে খুবই খারাপ লাগলো। তবে তাদের ভাইবোনের এতো ভালোবাসার কথা শুনে খুবই ভালো লাগলো। বাচ্চা টা দেখতে খুবই কিউট লাগছে। নামটাও বেশ মজার পিঙ্কু 🥰।
জ্বি আপু ওদের মতো ভাইবোনের ভালোবাসা খুব কম মানুষরই হয়।আমার ননদাই অসুস্থ হওয়ার পর তাদের পারিবারিক যে সমস্যা তৈরি হয়েছিলো তা আমার হাসবেন্ডরা তিন ভাই বোনকে বুঝতেই দেয়নি।দোয়া করবেন আপু।ধন্যবাদ।