তিক্ত অভিজ্ঞতার মুহূর্ত|পর্ব-১|
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সকল সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?পরম করুণাময় ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি সুস্থ আছি।
জীবনের প্রতিটি মূহুর্তই নতুন নতুন অভিজ্ঞতার জন্ম দেয়। কখনও সুখ, কখনও কষ্ট আর কখনও হতাশা বা সফলতার মধ্য দিয়ে তৈরি হয় অভিজ্ঞতার ভিত্তি।প্রত্যেক অভিজ্ঞতা, ভালো বা খারাপ যাই হোক না কেনো তা মানুষের একটি অমূল্য সংগ্রহ হয়ে থাকে আজীবন।
উদ্ভাস হলো বাংলাদের নামকরা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যা সবাই এক নামেই চিনে থাকেন।উদ্ভাস’ একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ‘উদ্ভাস’ ভিন্নতর, ‘উদ্ভাস’ সম্পূর্ণ নিজস্ব একটি ধারা।
২৩ সালের অক্টোবর মাসের ২০ তারিখ উদ্ভাস শিক্ষা পরিবার ২০২৪ এসএসসি ব্যাচের জুনিয়র কেমিস্ট পরীক্ষার আয়োজন করেন। সেখানে ফ্রীতে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবে সবাই।এই নিজউ টি যখন উদ্ভাস এর ফেসবুক পেইজে দেখলাম আর সাথে সাথে বড় মেয়ের জন্য রেজিষ্ট্রেশন করে ফেললাম।বাংলাদেশে যতগুলো শাখা আছে সবখানেই একইদিন একই সময়ে পরীক্ষা হবে।৬০ মিনিট এ ১০০টা mcq পূরণ করতে হবে বিষয় কেমিস্ট্রি।নির্ধারিত দিনে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য মেয়েকে নিয়ে বগুড়ার উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়লাম।সকাল ১০ টার ব্যাচে ওর পরীক্ষা ছিলো।সময় মতো পৌঁছে সিট নাম্বার অনুযায়ী ওকে বসিয়ে দিলাম।তারপর অভিভাবক দের একটা রুমে ডেকে নিয়ে যাওয়া হলো।ক্লাস রুমে আমাদেরকে বসিয়ে ওখানকার কিছু টিচার আসলো এবং উদ্ভাস সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা শুরু করলেন।ওনাদের প্রতিটি কথা খুবই মনোযোগ দিয়ে শুনলাম এবং খুবই ভালো লাগলো।
পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে কিভাবে পরীক্ষার খাতায় লিখবে কিভাবে অল্প লিখে বেশি নম্বর পাওয়া যাবে,আরও বিভিন্ন বিষয় গুলো তুলে ধরলেন যা একেকটা শিক্ষার্থীর জন্য জানা খুবই দরকার।আমি তো বরাবরই মেয়েদের পড়াশোনা নিয়ে চিন্তিত থাকি তাই যেখানেই পড়াশোনা ভালো হয় সেখানেই মেয়েকে ভর্তি করানোর চিন্তা করি।ওনাদের প্রত্যেকটি কথা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে এবং মনে হয়েছে এনাদের কাছে মেয়েকে ভর্তি করাতে পারলে হয়তো মেয়ে অনেক ভালো রেজাল্ট করবে।আর আমার মাথায় যদি একবার একটা চিন্তা ঢুকে যায় সেটা যতক্ষণ পর্যন্ত করতে না পারছি ততক্ষণ যেনো আমার শান্তি নেই এরকম অবস্থা।
যাইহোক ১ ঘন্টা পর মেয়ে হাসিমুখে পরীক্ষার রুম থেকে বের হলো।তারপর সামনেই একটা মা কালীর মন্দির ছিলো তাই ওখান থেকে বের হয়ে সোজা মন্দিরে প্রবেশ করলাম।মায়ের মুখ দর্শন করে প্রণাম করে বাসার উদ্দেশ্য রওনা হলাম।মায়ের কৃপায় ভালোভাবে বাসায় পৌঁছালাম।তারপর হাসবেন্ড কে ফোন দিলাম এবং যা যা হলো সবকিছুই তাকে জানালাম এবং বললাম আমি মেয়েকে উদ্ভাস এ ভর্তি করাবো, তখন ও বললো এটা কিভাবে সম্ভব!আমাদের এখান থেকে বগুড়ার দূরত্ব বেশ ভালোই তাহলে ও কিভাবে ওখানে পড়বে!তখন আমি বললাম আমি মেয়েকে অনলাইন এ ভর্তি করাবো তখন হাসবেন্ড খুব ভালোভাবেই বুঝে গেছে যে আর না করার কোনো অপশন নাই। সে খু্ব ভালো করেই জানে যে আমি যখন একবার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলছি মেয়েকে ভর্তি করাবো তার মানে ভর্তি করিয়ে তবেই শান্তি পাবো।মেয়েদের পড়ার বিষয়ে আমি কখনোই কোনো কম্প্রোমাইজ করি না সে এটা ভালো করেই জানে।
আজ এখানেই শেষ করছি,তিক্ত অভিজ্ঞতার মুহূর্ত গুলো পরবর্তী অংশে জানতে পারবেন।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি।
আমাদের উইটনেস কে সাপোর্ট করুন।
OR
উদ্ভাস নিঃসন্দেহে একটা আস্থার জায়গা ভর্তি ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীদের জন্য। আমি নিজেও উদ্ভাসের ছাত্র ছিলাম। ঢাকার মতিঝিল ব্রাঞ্চে ছিল আমার ক্লাস। আপনি যে মেয়ের পড়াশোনা নিয়ে যথেষ্ট কনসার্ন এ ব্যাপারটা দেখে খুব ভালো লাগলো বড়দি। যদিও দূরত্বটা একটু বেশি তারপরও অনলাইনে আশা করি ভালো একটা ফিডব্যাক পাওয়ার কথা। কিন্তু আসল ঝামেলাটা কি হয়েছে এটাই এখন জানার পালা। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম বড়দি।
উদ্ভাস নিঃসন্দেহে এখানে সবাই ভর্তি হওয়ার জন্য চেষ্টা করে। যদিও বগুড়া আপনাদের থেকে অনেক দূরে। তবে ছেলে মেয়েরা যদি ভালো পরীক্ষা বা কিছু করে তাদের মুখটা হাসি দেখলে বোঝা যায়। যেমন আপনার মেয়ের হাসিমুখ দেখে আপনি বুঝতে পারলেন এবং মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা করলেন। দেখি তিক্ত অভিজ্ঞতার পরের পর্বে কি হয় সে অপেক্ষায় আছি। আশা করি পরের পর্বটি আমাদের মাঝে খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন।
এখন বর্তমানে অভিভাবক গুলো বাচ্চাদের পড়ালেখার দিগে অনেক খেয়াল করে।উদ্ভাস হল নাম করে একটা প্রতিষ্ঠান। এখানে সবাই চায় তাদের ছেলেমেয়েদেরকে পড়াতে। তবে উদ্ভাস প্রতিষ্ঠানে শুনে ভালো লাগলো ফ্রীতে রেজিষ্ট্রেশন করাতে পারে। আসলে আপনার মেয়ে এখানে পড়া আগ্রহ আছে শুনে খুব ভালো লাগলো। আর ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার জন্য মা-বাবার অনেক কষ্ট করে। তবে আপনার পরের পর্বে জানতে পারবো আপনার তিক্ত অভিজ্ঞতাটা আশা করি।
উদ্ভাস বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। আপনি আপনার মেয়েদের ব্যাপারে খুবই সচেতন, এটা অনেক আগেই জানতে পেরেছি আপনার পোস্টের মাধ্যমে। তাইতো পড়াশোনা করানোর পাশাপাশি গানও শিখাচ্ছেন। প্রতিটি মায়ের উচিত নিজের সন্তানদের প্রতি যত্নশীল হওয়া। কারণ বাবারা এমনিতেই ব্যস্ত থাকেন চাকরি বা ব্যবসা নিয়ে। যাইহোক অনলাইনে ভর্তি করালে দূরত্ব কোনো ব্যাপার না। তিক্ত অভিজ্ঞতা জানার আগ্রহ অনেকাংশে বেড়ে গিয়েছে আপু। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
উদ্ভাসে ভর্তি করিয়েছিলে ঐশীকে, সেটি তো জানতাম। তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা পুরোপুরি না জেনেও, তিক্ত অভিজ্ঞতা যে হয়েছে এটুকুতেই খারাপ লাগলো। কারণ মেয়েদের পড়াশুনোর বিষয়ে তুমি যে বেশ সিরিয়াস, সেটা তো আমি জানি! পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।