হোম মেইড রামেন রেসিপি-শেষ পর্ব
"হ্যালো বন্ধুরা"
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সকল সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?পরম করুণাময় ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি।
আমি @bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি রেসিপি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আশাকরি আমার আজকের রেসিপি টি আপনাদের ভালো লাগবে।
রামেন হচ্ছে একটি জাপানি নুডলস ডিশ।রামেন জাপানে জনপ্রিয়তা লাভ করে, বিশেষ করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর খাদ্য সংকটের সময়।১৯৫৮ সালে, মোমোফুকু আন্দো দ্বারা তাৎক্ষণিক নুডলস উদ্ভাবিত হয়েছিল , যা খাবারটিকে আরও জনপ্রিয় করে তুলেছিল।রামেনের জনপ্রিয়তা জাপানের বাহিরেও ছড়িয়ে পড়েছে।বিভিন্ন দেশের মতো বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের কাছেও এটা পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
গত পর্বে আমি কিভাবে ঘরে থাকা উপকরণ দিয়ে রামেন তৈরি করতে হয় সেই রেসিপি টি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম।আজ আমি রামেন গুলো কিভাবে রান্না করেছি সেই রেসিপি টি শেয়ার করছি।আশাকরি আপনাদের রেসিপি টি ভালো লাগবে।
চলুন তাহলে রেসিপি টি জেনে নেওয়া যাক...
উপকরণ
১.হোম মেইড রামেন
২.পেঁয়াজ কুঁচি
৩.থেঁতো করা রসুন
৪.চিলি ফ্লেক্স
৫.টমেটো সস
৬.সয়াসস
৭.তেল
প্রথম ধাপ
প্রথমে একটা কড়াই পরিমাণ মতো জল দিয়ে তার মধ্যে সামান্য পরিমাণ তেল দিয়ে জল গুলো ফুটিয়ে নিয়েছি।জল ফুটে উঠলে রামেন গুলো ফুটন্ত জলে ছেড়ে দিয়েছি।তারপর সিদ্ধ হয়ে আসলে একটা ছাকনিতে ঢেলে ঠান্ডা জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এবার কড়াইয়ে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে তার মধ্যে চিলি ফ্লেক্স গুলো দিয়ে হালকা করে ভেজে নিয়ে তার মধ্যে পেঁয়াজ কুচি ও থেঁতো করার ওষুধ গুলো দিয়ে দিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
এবার পেঁয়াজ রসুনগুলো ভেজে নিয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো মরিচের গুঁড়া টমেটো সস সয়াসস দিয়ে দিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
এবার সবগুলো উপকরণ হালকা নেড়েচেড়ে তার মধ্যে সিদ্ধ করা রামেন গুলো দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
হালকা ভাজা ভাজা করে নিয়ে তার মধ্যে এক টুকরো লেবুর রস চিপে দিয়েছি।সবশেষে লেমন জেস্ট ছড়িয়ে দিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
চুলা থেকে নামিয়ে এবার একটা বাটিতে তুলে নিয়েছি তারপর কয়েক টুকরো লেমন স্লাইস দিয়ে সাজিয়ে নিয়েছি।তারপর উপর থেকে সামান্য পরিমাণ সাদা তিল ছড়িয়ে দিয়েছি।আর এভাবেই পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত হয়ে গেলো হোম মেইড রামেন রেসিপিটি।
এই ছিলো আমার আজকের রেসিপি আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে?সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশা করে আজ এখানেই শেষ করছি।
প্রোমোশন লিংক
টুইটার লিংক
দিদি অসাধারণ হয়েছে দেখতে। আর রান্নাও করেছেন আপনি চমৎকার প্রসেসে। সাদা তিলটা আপনি ডেকোরেশনের জন্য হয়তো ব্যবহার করেছেন কিন্তু নুডুলস এর সাথে সাদা তিল দিলে তার স্বাদটাও অসাধারণ হয়, সাদা দিলে অনেক ফাইবার থাকে ফলতো নুডুলসে যে কনস্টিপেশন তৈরি করে ফাইবার সেটা ক্লিয়ার করে দেয়। একদম সঠিক কম্বিনেশন।
অসম্ভব রকমের সুন্দর তথ্য এবং সেইসাথে গঠনমূলক একটি মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ দিদি।🙏শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।❤️
হোম মেইড রামেন রেসিপি অসাধারণ হয়েছে আপু। আপনি সত্যি অনেক ভালো একজন রাধুনী। আর আপনার রান্না গুলো সব সময় প্রশংসনীয়। দারুণ একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো।
এরকম প্রশংসা শুনলে লজ্জা পাই তো আপু!🤭😅 আমি রান্না টা শখের বশেই করি আপু তাই সবসময়ই চেষ্টা করি নতুন কিছু করার। অনেক অনেক ধন্যবাদ শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো প্রিয় আপু।❤️
রেসিপিটি কিন্তু দারুণ স্বাদের হয়েছে এটা আমি দেখেই বলে দিচ্ছি অভিজ্ঞতা হতে, হি হি হি। অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
তারমানে এই রেসিপিটি আপনিও করেছিলেন ভাইয়া!!🤔 সত্যিই ভাইয়া অনেক অনেক ভালো ছিলো।আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া।🙏🙏
দারুন সুন্দর ভাবে রামেন তৈরি করলে তো। রামেন জাপানি একটি পদ সেটা আগেই শুনেছিলাম। কিন্তু কখনো টেস্ট করে দেখা হয়নি। তাই ছবি দেখেই তোমার রামেন থেকে ভাগ বসালাম বোন৷ অসাধারণ দেখতে হয়েছে খাবারটি। নুডুলস খেতে আমি খুব পছন্দ করি।
দাদা বাংলাদেশে আসলে অবশ্যই আপনাকে খাওয়াবো তারজন্য অগ্রীম নিমন্ত্রণ রইলো।🥰 অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।🙏
হোম মেইড রামেন রেসিপি বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। বেশ ইউনিক রেসিপি দেখেছি আপনার মাধ্যমে। রেসিপিটি নিশ্চয়ই বেশ দারুণ স্বাদের হয়েছে । দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।