পার্কে ঘুরতে গিয়ে হতাশ!!!😔
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সকল সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?পরম করুণাময় ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি সুস্থ আছি।
আমি @bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি পোস্টের ভিন্নতা আনার।আজ তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আজ আমি লাইফ স্টাইল পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।তবে চলুন কথা আর না বাড়িয়ে আজকের লাইফ স্টাইল পোস্টটি শেয়ার করি।
বগুড়া শহরে আমরা খুব অল্পদিন হলো এসেছি।এই শহরে আমার যাতায়াত অনেক দিন ধরেই কিন্তু তারপরও খুব একটা চেনা নয়।তার কারণ হলো আমি ডাক্তার দেখানোর জন্য আসতাম কিন্তু কখনো কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়নি।শুধু রাস্তাঘাট গুলো চেনা আছে আর কি।আমরা যেদিন বগুড়ায় আসি সেদিন থেকেই আবহাওয়া খুবই খারাপ একটানা ৭-৮ দিন লাগাতার বৃষ্টি এক সেকেন্ডর জন্য কোনো বিরতি নেই।
গোবিন্দগঞ্জ এ আমরা যেখানে থাকতাম সেখানে একই বিল্ডিংয়ে আমরা ১৬ টা পরিবার একসাথে বসবাস করতাম তাই অনেক লোকজনের মাঝে থাকাটা একটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছিলো।ওখান থেকে চলে আসার পর থেকে এমনিতেই আমাদের সকলের খুবই মন খারাপ তারমধ্যে এখানে প্রতিবেশী বলতে শুধু এক বাড়িওয়ালী আর কেউ নেই।তারপর বৃষ্টি ঘর থেকে বের হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি নেই সবমিলিয়ে মেয়েরা খুবই কষ্ট করে কয়েকটা দিন কাটিয়েছে। ওদের মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছিলো না।
আবহাওয়া একটু ভালো হওয়ার সাথে সাথে ভাবলাম কাছে একটি পার্ক আছে সেখানে থেকে ওদের একটু ঘুরিয়ে আনি তাহলে কিছুই হলেও ওদের ভালো লাগবে।এই ভেবে বিকেলবেলা ওদের নিয়ে বাসা থেকে বের হলাম।পার্ক টি আমারদের বাসা থেকে খুব কাছেই হেঁটে যেতে পাঁচ মিনিটের মতো সময় লাগলো।তারপর আমরা ভিতরে প্রবেশ করছিলাম ঠিক তখনি একজন ভদ্রমহিলা আমাদেরকে বললো আপনারা কোথায় যাবেন?আমি বললাম পার্কে যাবো তখন বললো তাহলে তিনজনের জন্য টিকিট কাটতে হবে!আমি ওনার কথামতো তিনজনের জন্য তিনটা টিকিট কাটলাম জনপ্রতি টিকিটের মূল্য ছিলো ২০ টাকা মোট ৬০ টাকা দিয়ে তিনটা টিকিট কেটে ভিতরে প্রবেশ করলাম।
ভিতরে গিয়ে তো আমি পুরাই হতাশ!পার্কের মধ্যে দুইটা দোলনা একটা স্লিপার আর একটা ইলেক্ট্রিক দোলনা।এই ছিলো পার্কের ভেতরের অবস্থা অথচ রাস্তায় যেভাবে সাইনবোর্ড দেওয়া ছিলো তাতে করে ভবেছিলাম না জানি কি!মনে মনে খুশিই হয়েছিলাম বাসার কাছে সুন্দর একটি পার্ক আছে মাঝে মাঝে মন খারাপ থাকলে বাচ্চাদের নিয়ে গিয়ে বসে থেকে সময় কাটানো যাবে..ওমা পার্ক দেখে তো আমার মনে হলো ৬০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে মশার কামড় কিনলাম।একটু সময় বসে ছিলাম কম করে ১'শ টার বেশি মশা কামড়ে দিয়েছে মশার অত্যাচারে কোনোভাবেই বসা যাচ্ছিলো না।
কি আর করা হতাশ হয়েই ওখান থেকে ফিরে আসলাম।তারপর রাস্তার পাশে ফুসকাওয়ালা দেখে মেয়েরা ফুসকা খেতে চাইলো।দুজনের জন্য ফুসকা অর্ডার করলাম দুই প্লেট। আমি সাধারণত বাহিরের খাবার খুব একটা খাই না তাই ওদের জন্যই অর্ডার করলাম।কিছুক্ষণের মধ্যে ফুসকা হাতে পেলো তারপর মেয়েরা খাওয়া শুরু করলো ফুসকা খেয়ে ওরা দুজন বেশ খুশি অনেক দিন পর মনের মতো ফুসকা খেতে পেয়েছে। গোবিন্দগঞ্জ এ হাতে বানানো ফুসকা পাওয়া যেতো না সব রেডিমেড পাপড় দিয়ে বানানো ফুসকা যা মেয়েরা খেতে একদম পছন্দ করতো না।বগুড়ায় এসে প্রথম হাতে বানানো ফুসকা পেয়ে দুজনেই খুশি।ঘুরেবেড়ানোয় খুশি না হলেও ফুসকা খেয়ে খুশি হয়েছে দেখে আমারও ভালো লাগলো।
বাচ্চাদের মন যদি খারাপ থাকে তাহলে কোনোকিছু যেনো ভালো লাগে না।আমি সবসময়ই ওদের মুখে হাসি দেখতে চাই আর তার জন্য ওদের ছোট ছোট চাওয়া গুলো পূরণ করার চেষ্টা করি,তাতে করে ওরাও খুশি আমিও কিছুটা হলে স্বস্তি পাই।
আজ এখানেই শেষ করছি।আপনারা সকলেই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পার্ক সম্পর্কে ধারণা না নিয়ে গিয়েছেন তাই তো এমন অবস্থা। ভেতরের সামান্য কয়েকটা জিনিস যেখানে দেখার মত ঘুরার মত আনন্দের কিছুই নেই। তবে তার মধ্যে আনন্দ তৈরি করে নিতে হবে যেত কিছুই নেই টাকা তো উসুল করতে হবে। যাইহোক আপু এর চেয়ে সান্ত্বনা দেওয়ার বেশি কিছু নেই।
ঠিক বলেছেন আপু, আগে থেকে ধারণা না নিয়ে কোথাও যাওয়া মানেই বিপদ।পার্কের হতাশা ফুসকা খেয়ে উসুল করেছি আপু😁 ধন্যবাদ।
আসল বিষয় হলো আমরা উপর দিয়ে ফিটফাট কিন্তু ভেতরে একদম সদরঘাট হা হা হা। আপনারা বিজ্ঞাপনের ধোকায় পড়েছেন হি হি হি।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া।পার্কের সামনে বিশাল বড় সাইনবোর্ড আত্মানন্দ বিনোদন কেন্দ্র এটা দেখেই ভেবেছিলাম পার্কে গেলে আত্মা টা ভরে যাবে কিন্তু না!পার্কের ভিতরের পরিবেশ দেখে আত্মা টা হতাশ হয়ে গেলো...।😩😅😅ধন্যবাদ ভাইয়া।