অনেক দিন পর ফুসকা খেতে যাওয়া।
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি,সুস্থ আছি।
কয়েকদিন হলো রংপুরে এসেছি একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজে।তাই কয়েকদিন থাকতে হচ্ছে।ঈশ্বর যদি সহায় থাকেন তাহলে আগামীকাল খুব সকালে নিজের বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হবো।রংপুর শহর আমার কাছে খুব একটা পরিচিত শহর নয়।হাতেগোনা কয়েকবার এসেছি মাত্র।সেরকম ভাবে একা চলাচল করতে পারি না।কিন্তু এবার একটু বাধ্য হয়েই একা একা নিজের কাজ গুলো করতে হচ্ছে।প্রথম দিন আমার দাদা আমাকে সাথে নিয়ে যেখানে আমার কাজ সেই জায়গায় গিয়ে রাস্তাঘাট পরিচিত করিয়ে দিয়েছে,তারপর থেকে আমি আর আমার বড় মেয়ে দুজনেই যেতে পারি।
কোন জায়গায় কত টাকা রিকশা ভাড়া তা আমি জানিনা।রাস্তায় বেড়িয়ে রিকশা ডেকে বলি অমুক জায়গায় যাবেন?তখন বলে যাবো আমি বলি ভাড়া কত!তখন যা বলে আমি তার থেকে কম বলি প্রথমে দুই একবার যেতে রাজি হয় না কিন্তু পরে ঠিকই রাজি হয়ে যায়।তখন আমি মনে মনে ভাবি যে আমি তো কিছুই জানিনা শুধু আন্দাজে ঢিল ছোঁড়ার মতো অবস্থা।রাস্তাঘাট চিনি না এটা একদম রিকশাওয়ালাকে বুঝতে দেই না খুব সাহস নিয়ে চলাফেরা করি।বিষয় টা বেশ ভালোই লাগে আমার কাছে।আর সবচেয়ে বড় সাহস আমার দাদা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর তাই যেখানেই বিপদে পড়ি না কেনো ও খুব সহজেই আমাদের খুঁজে বের করতে পারবে।
দু'দিন ধরেই আমার ছোট মেয়ে ও ভাতিজা বায়না ধরেছে যে তারা ফুসকা খেতে যাবে আমি ওদের কথা দিয়েছি ফুসকা খাওয়াতে নিয়ে যাবো।আজ বিকেলে কাজ সেরে ওদের দু'জনকে ও আমার বড় মেয়ে সহ আমরা চারজন ফুসকা খাওয়ার উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়লাম।কালেক্টর স্কুলের সামনে থেকে একটা রিকশা ডেকে জিজ্ঞেস করলাম সুরভী উদ্দ্যানে যাবেন?বললো যাবো তখন বললাম ভাড়া কত উনি বললেন ৩০ টাকা আমি বললাম কি বলেন কাকু এতো ভাড়া তো নয় উনি বললো কত দিবেন আমি তো আসলে ভাড়া জানিনা তাও বললাম ১৫ টাকা দিবো উনি বললো না সম্ভব না তখন আমি বললাম ঠিক আছে আমি অন্য রিকশায় যাবো।তখন রিকশাওয়ালা কাকু বললেন আর ৫ টাকা বাড়িয়ে দিয়েন তখন ভাবলাম এটা আহামরি কিছু না মাত্র ৫ টাকার বিষয় তাই তাড়াতাড়ি করে রিকশায় উঠে পড়লাম।কিছুক্ষণের মধ্যেই সুরভী উদ্দ্যানে পৌঁছে গেলাম।রংপুরে সবচেয়ে ভালো ফুসকা এখানে পাওয়া যায়। দেখে দেখে একটা পছন্দসই দোকানে গিয়ে বসলাম।তারপর বাচ্চাদের বললাম কে কি খাবে!সবাই ফুসকা খাবে,কিন্তু কেউ ডিম ফুসকা,কেউ দই ফুসকা,কেউ জমজম ফুসকা।
সবার মতামত নিয়ে ফুসকা অর্ডার করলাম কিছুক্ষণ পরে আমাদের সামনে ফুসকা এসে হাজির যার যার পছন্দসই ফুসকা নিয়ে খাওয়া শুরু করে দিলো।আমিও নিজের জন্য একটা ডিম ফুসকা অর্ডার দিয়ছিলাম খেতে বেশ ভালোই ছিলো।দই ফুসকা টাও বেশ মজার ছিলো কিন্তু জমজম ফুসকা টা একদম বাজে খেতে। বড় সাইজের একটা ফুসকার মধ্যে অনেক রকমের আইটেম দিয়ে উপর দিয়ে আনার ছড়িয়ে পরিবেশন করে দেখতে খুবই লোভনীয় লাগে কিন্তু খেতে একদম বাজে টেস্ট।
যাইহোক খাওয়াদাওয়ার পর্ব শেষ করে বিল মিটিয়ে আমার বৌদির জন্য এক প্লেট ডিম ফুসকা পার্সেল নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম কিছুক্ষণের মধ্যেই ঠিকঠাক মতো বাসায় পৌঁছে যাই কোন বিপদআপদ ছাড়াই এটা ঈশ্বরের অশেষ কৃপা বলতে পারেন কারন আমি একদম অচেনা জায়গায় রাত ৮ টায় তিনটা বাচ্চা নিয়ে ঘোরাঘুরি করে ঠিকমতো বাসায় পৌঁছাতে পেরেছি এটা সত্যিই অবাক করার মতো ব্যাপার।এবারে আমার একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে তা হলো আমরা যতো অচেনা জায়গায় যাই না কেনো তা মানুষ কে বুঝতে দেওয়া যাবে না আর নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস রেখে চলতে হবে তাহলে আশাকরি আমরা কোনো বিপদের সম্মুখীন হবো না।আর বাকিটা ভগবান ভরসা।
এই ছিলো আমাদের ফুসকা খাওয়ার মুহূর্ত সবমিলিয়ে সবাই বেশ উপভোগ করেছি সময় গুলো।বাচ্চারা খুবই খুশি মাঝে মাঝে ওদের এরকম মুহুর্ত গুলো উপহার দেওয়া আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করে আজ এখানেই শেষ করছি।
OR
দারুন ছিল ফুচকা খাওয়ার মুহূর্ত এবং গল্পগুলো ।আসলেই রিক্সাওয়ালারা নতুন ব্যক্তিদের দেখলে তাদের কাছে অতিরিক্ত ভাড়া চেয়ে বসে যেটা আপনি বুঝতে দেন নি। একটু চঞ্চল হওয়া উচিত যেমনটা আপনি করেছিলেন ভালো লাগলো।
জ্বি ভাইয়া ওরা যদি বুঝতে পারে নতুন তাহলে তো কথায় নেই ইচ্ছে মতো ভাড়া চেয়ে বসে তাই তাদের বুঝতে দেইনি যে আমি এই শহরে নতুন।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু কি বুদ্ধি আপনার ভাড়া নিয়ে আন্দাজে ঢিল ছোঁড়ে মারেন। আর সেই ঢিল কাজও হয়ে যায়,হা হা হা। আপনার দাদা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর তো তাই সাহসটা একটু বেশি। আর সব গুলো ফুচকাই আমার পছন্দ হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ আন্দাজে ঢিল ছোঁড়ার পর দেখলাম ঢিল জায়গা মতো লেগে গেছে...হা হা হা।জ্বি ভাইয়া ভাই পুলিশ হাসবেন্ড পুলিশ তাই সবমিলিয়ে একটু সাহস তো দেখাতেই হবে তাই নয় কি!😁😁ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে নতুন জায়গায় গেলে, আর পথঘাট যদি চেনাজানা না হয় তাহলে চলাফেরা করতে কিছুটা কষ্ট হয়। কিন্তু আপনি বুদ্ধিমানের মত কাজ করেছেন। রিক্সাওয়ালা যত টাকা ভাড়া বলে আপনি তার থেকে কিছুটা কম বলেন। আর রিক্সাওয়ালাকে একেবারেই বুঝতে দেন না আপনি যে পথঘাট ভালোভাবে চিনেন না। চারজনে মিলে ফুচকা খেতে গিয়েছিলেন। জমজম ফুচকা দেখে এমনিতে লোভনীয় মনে হচ্ছে, কিন্তু এটি তেমনটা সুস্বাদু না বুঝতে পারছি। যাইহোক ভালো লাগলো আপনার পুরো পোস্টটা।
হ্যাঁ আপু অপরিচিত জায়গায় গিয়ে চলাফেরা করা একটু কষ্টদায়ক ও ভয়েরও ব্যাপার।সবগুলো ফুসকা অনেক ভালো ছিলো কিন্তু জমজম ফুসকা টা খুব একটা ভালো লাগেনি আমার কাছে।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
ফুচকা গুলোর কালার অসাধারণ হয়েছে আপনি অনেক দিন পরে বেশ মজার করে ফুচকা খেলেন। ফুচকা এমন এক জিনিস দেখলে এমনিতে খাওয়ার লোভ লেগে যায়। এতো লোভনীয় ছিল ফুচকার প্রেজেন্টেশন বেশ ভালই লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জ্বি আপু ফুসকা গুলো বেশ লোভনীয় ছিলো।আর অনেক দিন পর খাওয়ায় অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু।
অনেকদিন পর ফুচকা খেতে গিয়েছিলেন তাই বেশ ভালোই কেটেছিল মুহূর্ত কেটেছিল দেখেই বুঝতে পারছি। আপনি রংপুরের হাতে গোনা কয়েকবার এসেছিলেন, তাই রাস্তাঘাট সেরকম ভাবে চিনেন না। কিন্তু আপনি এমন ভাবে চলাচল করেছেন যেন কেউ বুঝতে না পারে আপনি কিছুই চিনেন না। আপনার ছোট মেয়ে এবং ভাতিজা বায়না ধরেছিল ফুচকা খাওয়ার জন্য। এরপর সবাই মিলে ফুচকা খেতে গিয়েছিলেন। জমজম ফুচকাটা খেতে বাজে ছিল বুঝতে পারছি। আর অন্য ফুচকা গুলো খেতে ভীষণ মজার ছিল। যাই হোক আপনাদের খাওয়া দাওয়া করার মুহূর্তটা বেশ ভালোই উপভোগ করলাম।
রংপুর শহর আমার বাড়ির খুব কাছে হলেও তেমন একটা যাওয়া হয়নি বিশেষ কোনো কারন ছাড়াআর গেলেও বাসার মধ্যে থেকেছি তাই রাস্তাঘাট পরিচিত নয়। সবমিলিয়ে ফুসকা খাওয়ার মুহূর্ত গুলো বেশ ভালোই ছিলো।ধন্যবাদ ভাইয়া।